সব গ্রহগুলো গোলাকৃতির হয় কেনো? অন্য আকৃতিরও তো হতে পারতো তাই না? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
951 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (123,340 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+9 টি ভোট
করেছেন (105,560 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

নেচারের একটা ল আছে সেটা হচ্ছে প্রকৃতির সবকিছুই "stable state" গেইন করতে চায়।কেমিস্ট্রিতে একটা কথা আছে "এনার্জি যত মিনিমাম স্টেবিলিটি তত বেশী"। এজন্য প্রকৃতির সবকিছুই তাদের এনার্জিকে মিনিমাইজ করতে চায়।

cube, triangle, square, rectangle " এত এত সেপ থাকতে গ্রহ গুলা "spherical" কেন হচ্ছে! গ্রহগুলার সমস্যা টা কি!

আসলে শুরুর দিকে গ্রহ গুলা তাপমাত্রা থাকে ভয়ানক রকমের (এই কথা আমরা সবাই কম বেশী জানি। এ আর নতুন কি?)যার অর্থ এনার্জির পরিমান খুবই খুবই বেশী। শুরুতেই বলেছি প্রকৃতির সবকিছুই চায় "energy minimize" করতে গ্রহের ব্যাপারেও কেইস টা সেম। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন জিওমেট্রিক সেপে এনার্জি "minimized" কন্ডিশনে থাকে? 

জ্বী, উত্তরটা হচ্ছে "sphere"। 

যেহুতু স্পেয়ারে এনার্জি মিনিমাম থাকে তাই এই সেপটায় আসলে পদার্থ হাইয়েস্ট স্টেবিলিটি গেইন করে।আর এই জন্যই গ্রহ গুলা তাপ রিলিজ করে আস্তে আস্তে সুন্দর " "spherical" আকার ধারণ করে।

শুধুমাত্র গ্রহ না আপনি যদি প্রকৃতির অন্য অন্য জিনিসও লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন বেশীরভাগ জিনিসই গোলাকার স্টেট টাই ধারণ করতে চায়।চোখ বন্ধ করে মনে মনে একবার শেষ বৃষ্টিতে ভেজার সময় দেখা বৃষ্টির ফোঁটাগুলোর কথাই চিন্তা করে দেখুন না!

বিশাল গ্রহ থেকে শুরু করে সামান্য বৃষ্টির ফোঁটা সবাই যেন স্টেবিলিটি গেইন করে প্রকৃতিতে টিকতে চাচ্ছে!

তথ্যসূত্র : Quora

+8 টি ভোট
করেছেন (17,740 পয়েন্ট)
ধারণা করা হয় গ্রহগুলো তৈরী হয়েছে, মহাবিশ্বের উপাদান সমূহ যখন একে অপরের সাথে সংঘর্ষ এবং আবার সংযুক্ত হয়েছে। সেই সংঘর্ষের শুরু বিগব্যাংয়ের সময় থেকেই।

ধীরে ধীরে এই গ্রহগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ উপাদান যুক্ত হয়ে এর ভরের বৃদ্ধির সাথে সাথে এর উপর মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব তৈরী হতে থাকে। আইনস্টাইনের মতো যদি বলি তাহলে বলতে হয় Space Time Fabrications এ তার অবস্থান করে নেয়।

গ্রহ উপগ্রহ সবর্দা একটা শক্তিকে কেন্দ্র করে নিজের কক্ষপথে ঘুরে। আবার তাদের নিজেকের কেন্দ্রে একটা বল আছে যা তাদের পৃষ্ঠের সর্বত্র সমান। গ্র‍্যাভিটির টান আর ঘূর্ণন গতির কারণে গ্রহ উপগ্রহ গোলাকার ধারণ করে।

একটি গ্রহ গ্র্যাভিটির টানকে সবদিক দিয়ে সমানভাবে অনুভব করতে থাকে। গ্র্যাভিটি পৃষ্ট থেকে কেন্দ্র বরাবর ক্রিয়া করে, অনেকটা সাইকেলের চাকার মতো। এটি একটি গ্রহের গোলকের সামগ্রিক আকৃতি তৈরি করে, যা একটি ত্রিমাত্রিক বৃত্ত।

→কোরা + অনামিকা রহমান সাইয়্যেদা
করেছেন (4,030 পয়েন্ট)
Wow !!
করেছেন (2,810 পয়েন্ট)

ইন্টারেস্টিং smiley

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (6,150 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন
যেকোনো ভরের বস্তুর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি তার সমস্ত উপাদানকে কেন্দ্রের দিকে টেনে আনে।
এক্ষেত্রে উপাদানগুলোকে কেন্দ্র থেকে সর্বদা সর্বনিম্ন দূরত্বে রাখার চেষ্টা করে।তাই বস্তুটির আশেপাশে থাকা উপাদানগুলো সবদিক থেকে সুষমভাবে বস্তুটির সাথে যুক্ত হতে থাকে।যদি চতুর্ভুজ বা অন্য কোনো আকৃতির হতো,তাহলে সবদিক থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব সমান হতো না।একমাত্র বৃত্তাকার ক্ষেত্রেই সমস্ত দিকে থেকে কেন্দ্রের দূরত্ব সমান হওয়া সম্ভব।
গ্রহ-নক্ষত্রগুলোর ভর তুলনামূলক আশেপাশের সকল বস্তুর তুলনায় বেশি হওয়ায় এগুলো অধিক উপাদানকে নিজের দিকে টেনে গোলাকার হয়।

তবে এটা নিখুঁত গোলাকার নয়,উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সামান্য চ্যাপ্টা হয়।

তথ্যসূত্রঃ নাসা
0 টি ভোট
করেছেন (7,560 পয়েন্ট)

পৃথিবীটা গোলাকার। প্রায় দুই হাজার বছরেরও আগে মানুষ এই সত্যটা আবিষ্কার করেছে। টেলিস্কোপ আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, শুধু পৃথিবীই নয়, কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া চাঁদ–সূর্য এবং গ্রহ–নক্ষত্র–উপগ্রহসহ মহাকাশের বেশিরভাগ বস্তুই গোলাকার।

 

এখন মানুষ গ্যালাক্সি ছাড়িয়ে মহাকাশে উঁকি দিতে পারে। গ্রহের নিজস্ব কোনো আলো নেই, তাই এদের পর্যবেক্ষণ করা কঠিন। তারপরও অসংখ্য গ্রহ পর্যবেক্ষণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। চলতি বছরের শুরুর দিকে নাসা জানিয়েছিল, তারা ৫ হাজার এক্সোপ্ল্যানেটের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, এই বিপুল সংখ্যক গ্রহের সবগুলোই গোলাকার! কোন ঘনকাকার, পিরামিড বা বিষম আকারের গ্রহের দেখা বিজ্ঞানীরা পাননি। আসলে তাত্ত্বিকভাবে সেটা হওয়াও সম্ভব নয়। কিন্তু কেন? কেন গোলাকারই হয় গ্রহ?

 

 

গ্রহের জন্ম হয় মূলত নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে থাকা ধুলিকণা এবং গ্যাসের মিশ্রণে। মহাকর্ষ বলের টানে শুরুতে এসব কণা মিলে একটি স্তুপে পরিণত হয়। এরপর এই স্তুপটা চারপাশের আরও গ্যাস, ধুলিকণা সংগ্রহ করে আরও বড় হতে থাকে।

 

স্তুপের আকার যতো বড় হয়, মহাকর্ষ বলও তত বাড়ে। বাড়ে ভর। ফলে চারদিকে স্থান-কালের চাদরে বক্রতা তৈরি হয়। স্তুপের সবকিছু সবদিক থেকে আরও কাছে আসতে থাকে। একটা সময় বিদ্যুৎ–চুম্বকীয় এবং নিউক্লিয়ার বলের ওপরে মহাকর্ষ বল জয়ী হয় স্তুপের ভর অনেক বেড়ে যাওয়ার কারণে। স্তুপের সবদিকের মহাকর্ষ বল সমান হওয়ায় এটা ধীরে ধীরে গোলাকার ধারণ করে।

 

গ্রহ গোলাকার হওয়ার অর্থ কিন্তু নিখুঁত গোলক হওয়া নয়। এমনকী পৃথিবী নিখুঁত গোলক নয়। মাঝ বরাবর কিছুটা চ্যাপ্টা। এর কারণ, নিজ অক্ষে পৃথিবীর ঘূর্ণন। প্রতিবার পৃথিবী যখন নিজ অক্ষে একবার ঘোরে, তখন এর বিষুবীয় অঞ্চল মেরু অঞ্চল বেশি জায়গা ভ্রমণ করে। দ্রুত এই বেশি পথ ভ্রমণের কারণে মাঝখানের অঞ্চল কিছুটা বাইরের দিকে প্রসারিত হয়।

 

এই ব্যাপারটি সব গ্রহের বেলাতেই ঘটে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর সব গ্রহের মাঝের অংশ কিছুটা স্ফীত হয়ে যায়। ঘূর্ণন এবং মহাকর্ষ বল এ জন্য দায়ী। কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা কাঁকুড় আকৃতির একটা গ্রহের সন্ধান পেয়েছিলেন। সে গ্রহের অদ্ভুত আকৃতির কারণও কিন্তু এটা।

 

 

যাইহোক, গ্যাসীয় গ্রহের বেলায় এই স্ফীতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। আমাদের পৃথিবীর উত্তর মেরু আর দক্ষিণ মেরুর মধ্যকার ব্যাস আর বিষুবরেখা বরাবর ব্যাসের মধ্যে পার্থক্য মাত্র ৪৩ কিলোমিটার। অন্যদিকে শনির ক্ষেত্রে এই দূরত্ব ১১ হাজার কিলোমিটার। এই অতিরিক্ত স্ফীত অবস্থা গ্রহ থেকে আলাদা হয়ে উপগ্রহের জন্ম দেয়। এটা ঘটে সাধারণত গ্রহের জন্মের শুরুর দিকের সময়ে।

 

মহাকাশে শুধু গ্রহই নয়, নক্ষত্র বা বড় কোনো উপগ্রহের আকারও গোলাকার হয়। অনিয়মিত বা বিষম আকার দেখা যায়, গ্রহাণু, উপগ্রহ বা ধুমকেতুর মতো ছোট আকারের বস্তুর বেলায়। আকার ছোট হওয়ায় ভর কম থাকে এসব বস্তুর। ফলে এদের মধ্যে বিদ্যুৎচুম্বকীয় বল এবং নিউক্লীয় বলকে উপেক্ষা করার মতো শক্তিশালী মহাকর্ষ বল তৈরি হয় না। এদের মৌল উপদানগুলোর ওপর নির্ভর করে বিদ্যুৎচুম্বকীয় এবং নিউক্লিয়ার বলের তারমতম্য তৈরি হয়। ফলে চারদিকের আকার সমান হয় না।

 

লেখক: শিক্ষার্থী, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা

 

সূত্র: সায়েন্স ফোকাস

- বিজ্ঞানচিন্তা

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 334 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 339 বার দেখা হয়েছে
27 জানুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,200 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,041 জন সদস্য

65 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 63 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...