লাফিং গ্যাস শুঁকলে হাসির উদ্রেক হয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
1,199 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (54,300 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (54,300 পয়েন্ট)
নিঃশ্বাসের সাথে লাফিং গ্যাস (নাইট্রাস অক্সাইড) গ্রহণ করলে তা ফুসফুস থেকে ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তে প্রবেশ করে দ্রুত মস্তিষ্কে পৌঁছায়। মস্তিষ্কে পৌঁছে এটি 'গ্লুটামেট' ও 'গাবা' নামের দুটি রিসিপ্টরের সঙ্গে বন্ধন সৃষ্টি করে। এর মধ্যে হতে গাবা রিসিপ্টর 'নিউরোট্রান্সমিটার' নামক বিশেষ অনুভূতি সৃষ্টিকারী রাসায়নিক বস্তু ক্ষরণ করায় হাসির উদ্রেক হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (1,990 পয়েন্ট)
১৭৭৫ সালে জোসেফ প্রিস্টলী প্রথম এই গ্যাসটি আবিষ্কার করেন আবার কারো মতে হামফ্রে ডেভী এই গ্যাসের আবিষ্কারক। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চিত যে স্যার হামফ্রে ডেভীই প্রথম এই গ্যাস নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করেছিলেন। স্বভাবতই তিনি প্রথম এই গ্যাসের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করেন। রাসানিকভাবে লাফিং গ্যাস হলো নাইট্রজেনের একটি অক্সাইড যাকে নাইট্রাস অক্সাইড নামে ডাকা হয়। মৃদ্যু মিষ্টি গন্ধযুক্ত বর্ণহীন এই অক্সাইড মানুষ নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করলে হাসির উদ্রেক ঘটে। এর প্রধান কাজ মূলত ব্যাথা কমানো হলেও এটি মানুষের মনে চনমনে ভাব তৈরী করে তাই একে আদর করে নাম দেওয়া হয়েছে লাফিং গ্যাস। লাফিং গ্যাসের কাজ করার ধারা নিয়ে মানুষের কৌতুহল দীর্ঘদিনের। পুরোপুরি সঠিকভাবে নাইট্রাস অক্সাইড কাজের ধারা জানা না গেলেও ধারণা করা হয় নিঃশ্বাসের মাধ্যমে যখন নাইট্রাস অক্সাইড গ্রহণ করা হয় তা রক্তের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের ভিতর আমাদের মস্তিষ্কে চলে যায় (মজার জিনিস হলো এটি ব্যাপন প্রক্রিয়ায় রক্তের সাথে মিশে হিমোগ্লোবিনের সাথে কোনোরকম বন্ধনে জড়ায়না। আর তাই মানবদেহে এর স্থায়িত্ব অল্প সময়ের জন্য). মস্তিষ্কে গিয়ে এই নাইট্রাস অক্সাইড NMDA (গ্লুটামেট রিসেপটর) এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে একই সাথে Parasympathetic GABA রিসেপটরকে উত্তেজিত করে তোলে। এই উত্তেজিত Parasympathetic GABA রিসেপটর কিছু নিউরোট্রন্সমিটার ক্ষরণ করে যার ফলে মানুষের হাসির উদ্রেক ঘটে, ব্যাথাবোধ হ্রাস পায় (Endorphins নাকম নিউরোট্রান্সমিটার ক্ষরণে সাহায্য করে লাফিং গ্যাস এটি আমাদের ব্যাথাবোধ কমিয়ে দেয়)।

দীর্ঘদিন যাবৎ লাফিং গ্যাসকে পার্টির অনুসঙ্গ হিসাবে ব্যবহার করা হয় আসছে। লাফিং গ্যাস বা নাইট্রাস অক্সাইড যে শুধু হাসির বোধ তৈরী করে তাই নয়, এর সীমিত ব্যবহার মামুষের মনে ফুরফুরে চনমনে ভাব এনে দেয়। উত্তেজিত Parasympathetic GABA রিসেপটর মনুষের ব্যাথাবোধ কমিয়ে দেয়। আবার ক্লোরোর্ফম আবিষ্কারের আগে একে মৃদু চেতনানাশক হিসাবে ব্যবহার করা হতো। বর্তমানে নাইট্রাস অক্সাইডের সাথে ২০% অক্সিজেন যুক্ত করে একে নেশাদ্রব্য হিসাবেও ব্যবহার করা হয় কেননা বার বার লাফিং গ্যাস গ্রহণ করলে তা আসক্তিতে পরিণত হয়।

কিন্তু বেশি পরিমাণে লাফিং গ্যাস গ্রহণের পরিণাম কী? অল্পমাত্রার লাফিং গ্যাস বড়জোর ৫ মিনিট আমাদের শরীরে থাকে। অল্প লাফিং গ্যাস মানুষের হাসির কারণ হলেও বেশি পরিমাণে লাফিং গ্যাস গ্রহণ করলে তা মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবাহ বাঁধাগ্রস্ত করে এতে মানুষ সাময়িকভাবে অচেতন হয়ে পড়ে, স্নায়ু কোষের ক্ষতিসাধন হয়, এমনকি মৃত্যুও ডেকে আনে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+6 টি ভোট
1 উত্তর 556 বার দেখা হয়েছে
+16 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,528 বার দেখা হয়েছে
20 জুন 2019 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,290 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,671 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2021 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,025 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 650 বার দেখা হয়েছে

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

561,298 জন সদস্য

54 জন অনলাইনে রয়েছে
12 জন সদস্য এবং 42 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...