লাফিং গ্যাসে যেই হাসিটা আসে, সেটা কি ইমোশনাল হাসি নাকি জোর করে ভেতর থেকে হাসির উদ্রেক হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
571 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (5,090 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
ইমোশনাল হাসি নয়।তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে হাসত না।এই গ্যাসের প্রভাবেই হাসা শুরু হত।

লাফিং গ্যাস এর রাসায়নিক নাম হচ্ছে নাইট্রাস অক্সাইড (N2O)। এই গ্যাসটির কোনো রং নেই। তবে হালকা সুগন্ধ রয়েছে এর।

 
১৭৭৫ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জোসেফ প্রিস্টলি উত্তপ্ত লোহার গুঁড়া ও নাইট্রিক এসিড সংশ্লেষণের মাধ্যমে নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস তৈরি করেন। যদিও এই গ্যাসের বৈশিষ্ট্য সর্বপ্রথম প্রত্যক্ষ করেন বিজ্ঞানী হামফ্রে ডেভি।

এই গ্যাসের প্রধান কাজ ব্যাথা কমানো, তবে এটি মানুষের মধ্যে সামান্য চঞ্চল ভাব নিয়ে আসে। এ কারণে এটিকে লাফিং গ্যাস বলা হয়। সাধারণত নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নাইট্রাস অক্সাইড গ্যাস আমাদের মস্তিস্কে প্রবেশ করে। মস্তিষ্কে গিয়ে এই নাইট্রাস অক্সাইড NMDA (গ্লুটামেট রিসেপটর) এ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে একই সাথে Parasympathetic GABA রিসেপটরকে উত্তেজিত করে তোলে। এই উত্তেজিত Parasympathetic GABA রিসেপটর কিছু নিউরোট্রন্সমিটার ক্ষরণ করে যার ফলে মানুষের হাসির উদ্রেক ঘটে, ব্যাথাবোধ হ্রাস পায়।

তবে অতিরিক্ত লাফিং গ্যাস গ্রহন করলে মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা ঘটে। ফলে অচেতন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মৃত্যুও ঘটে থাকে।

লাফিং গ্যাস আবিষ্কারের পরবর্তী কিছুকাল কিছু মজার ঘটনা ঘটেছে এটি নিয়ে। যেমনঃ

কথিত আছে, ১৭৯৯ সালে ব্রিটেনে লাফিং গ্যাস পার্টির আয়োজন করা হতো । তখন উচ্চমধ্যবিত্তরা মাঝেমধ্যে আনন্দের জন্য একটা রুমে গ্যাস ভরে দাড়িয়ে থাকত।আর এমনি হাসহাসি করত।মানসিক প্রশান্তির জন্যই এমন পার্টির আয়োজন করত তারা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+6 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,220 বার দেখা হয়েছে
+16 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,566 বার দেখা হয়েছে
20 জুন 2019 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,300 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,037 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 871 বার দেখা হয়েছে

10,842 টি প্রশ্ন

18,542 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

845,348 জন সদস্য

25 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...