বিষফোঁড়া কেন হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
753 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (123,400 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Radia Ahmed Lubna-

আমাদের দেহের বিভিন্ন অংশে ফুসকুড়ি কিংবা ফোসকা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এদের বিষফোঁড়া বলা হয়। সাধারণত মুখ, বগল, পিঠ, ঘাড়, গলা, নিতম্ব ইত্যাদি অঙ্গে বিষফোঁড়া হতে পারে। সাধারণত, এগুলো সাদা ও হলদেটে বর্ণের হয়ে থাকে। ফুসকুড়ি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে খুব জলদি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সাধারণত এই ফোস্কাগুলো বেশ ব্যথাদায়ক হয়ে থাকে এবং এদের ভেতর পুঁজ থাকে এবং আস্তে আস্তে আকারে বৃদ্ধি পায়।

কিন্তু কেন হয় বিষফোঁড়া?

>> দেহে ফোস্কা বা বিষফোড়া হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়ার কারণে। এছাড়াও যেসব কারণে ফোস্কা হতে পারে তা হলো-

● ক্ষতিগ্রস্ত ফলিসেল

● দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

● ঘাম প্রন্থিতে সংক্রামণ

● অপরিষ্কার থাকা

● দেহে পুষ্টির অভাব

● ক্রনিক রোগ।

তা ছাড়া যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের ফোস্কা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

প্রায় সময়ই এ ধরনের ফোস্কা সমস্যাগুলো ঘরে বসেই সারিয়ে তোলা হয়। তবে দেহের ভেতরের দিকে যে ফোস্কা হয়ে থাকে তা খুব যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। আর যদি দুই সপ্তাহের এই ফোস্কা ভালো নয় এবং এর কারণে জ্বর আসে তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন, সুস্থ থাকুন।

© অধ্যাপক, চর্মরোগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ।

+2 টি ভোট
করেছেন (2,260 পয়েন্ট)

বিষফোঁড়া মূলত ত্বকের এক ধরণের সংক্রমণ যা চুল বা লোমের গোড়ায় বা তেলগ্রন্থিতে হয়ে থাকে। বিষফোঁড়ার ক্ষেত্রে প্রথমে সংক্রমিত স্থান লাল দেখায়, পরে ফুলে যায় এবং একটি গোলাকার পিণ্ডের আকার ধারণ করে যেটি ৪-৭ দিনের মাথায় লালচে থেকে সাদা (ফোঁড়ায় পুঁজ জমার কারণে) হয়ে যায়। সাধারণত বিষফোঁড়া মুখমণ্ডলে, ঘাড়ে, কাঁধে, বগলে, এবং নিতম্বে হয়ে থাকে। যদি একাধিক বিষফোঁড়া একই স্থানে হয় তবে তাকে বিস্ফোটক বলা হয়, এটি বিষফোঁড়ার চেয়ে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে।

    যদি দেহে Staphyloccocul bacteria জীবাণুর আক্রমণ হয় তবে ত্বকে বিষফোঁড়া দেখা দেয়। এছাড়াও, ডায়াবেটিকস, অপুষ্টি, দুর্বল ইমিউন সিস্টেম, পর্যাপ্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবও এই ধরণের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে। বিষফোঁড়া হলে যদি গায়ে জ্বর আসে, লসিকাগ্রন্থিগুলোতে ফোলা ভাব দেখা যায়, সংক্রমিত স্থানে অনেক ব্যথা করে, ফোঁড়া থেকে ময়লা নিষ্কাশিত না হয়, একই স্থানে নূতন করে বিষফোঁড়ার আবির্ভাব হয় তবে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেয়া উচিত।

  বিষফোঁড়া এমনিতে মারাত্নক কোন স্বাস্থ্য সমস্যা না। বিষফোঁড়া হলে আক্রান্ত স্থানে গরম পানির সেঁক দিলে যন্ত্রনার অনেকটা উপশম হয় এবং তা পুঁজ নিষ্কাশনকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু ফোঁড়ার মুখ সাদা হলেও সেখানে সূচ দিয়ে খোঁচানো উচিত নয় কারণ এতে ভবিষ্যতে বড় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ও সাবান দিয়ে স্থানটি ধুয়ে নিলে নূতন সংক্রমণের হার কমে যায়।

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

যতটুকু জানি বিষফোঁড়া আসলে ত্বকের কোনো রোগের উপসর্গরূপে পরিচিত| সাধারণতঃ ত্বকের ওপর লালচে ধরনের প্রবল যন্ত্রণাদায়ক বড়ো বা ছোটো আকারের পিন্ডজাতীয়, এবং পুঁজযুক্ত ফোলা একটি অবস্থার নাম বিষফোঁড়া | শরীরের যে সব স্থানে এটি হয়ে থাকে সেগুলি হল প্রধানত মুখ, কাঁধ, নিতম্ব, বগল, চুলের গোড়া|

বিষফোঁড়ার কারণ হিসেবে অপরিচ্ছন্নতা, স্বল্প রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, ডায়াবেটিস জাতীয় রোগের প্রকোপ, কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্যের বহুল ব্যবহার, পুষ্টিজাতীয় খাবার কম গ্রহণ ইত্যাদি মনে করা হয় |

এটি প্রতিরোধ করতে প্রথমতঃ নিম পাতা, জলের সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে বেটে আক্রান্ত স্থানে দু-তিনবার লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেললে কাজে দেয়, দ্বিতীয়তঃ হলুদ আর জল মিশিয়ে ওই একই ভাবে লাগিয়ে ব্যবহার করলে কাজে দেয়, তৃতীয়তঃ গরম জলের ভাপ দিলেও বিষফোঁড়া নির্মূল হয়।

ক্রেডিট: অনন্যা সেনগুপ্ত (কোরা)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 82 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 246 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 295 বার দেখা হয়েছে

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

853,369 জন সদস্য

28 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 26 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. nhacaiuytincomph2

    100 পয়েন্ট

  2. xemthoitiet

    100 পয়েন্ট

  3. 8Xbetoacom

    100 পয়েন্ট

  4. MV88maigiabiz

    100 পয়েন্ট

  5. 58WINuz10gogolokin6i

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...