ব্যাঙ খাওয়া যায়। তবে সব প্রজাতির ব্যাঙ খাওয়া যায় না। বাংলাদেশে আদিবাসী মারমা সম্প্রদায় নির্দিষ্ট কিছু প্রজাতির ব্যাঙ ভক্ষণ করে।
ব্যাঙ অনেকভাবে খাওয়া যায়। মূলত ব্যাঙের ঠ্যাংটাই মাংস সমৃদ্ধ। মুরগির মতো ঝোল রান্না করে, কাবাব বানিয়ে মুন্ডির সাথে মিশিয়ে, ঙাপ্পি দিয়ে রান্না করে, ঝলসিয়ে, তেলে ভাজি করে, ইত্যাদি উপায়ে ব্যাঙ খাওয়া সম্ভব।
আমার ব্যাঙের মাংস খুব বেশি পছন্দ নয়। তবে একবার ব্যাঙের কাবাব ও ঙাপ্পির স্যুপ পাশাপাশি খেয়েছিলাম, আহ্, স্বাদটা এখোনো লেগে আছে মুখে। ফার্মের মুরগির রান খেতে যেমন লাগে ব্যাঙের ঠ্যাংও একইরকম লাগে।
আরেকটা উপদেশ: আপনি সাংস্কৃতিকভাবে বা ধর্মীয়ভাবে বা পারিবারিকভাবে কোনো খাবারকে নিতে পারেন না মানে এই না খাবারটা অন্যরাও নিতে পারবে না। তাই, চাইনিজরা তেলাপোকা খায়, এই জাতীয় কথা বলে নাক সিঁটকানো বাদ দিন। এটি রেসিজম। জাতিগত বিদ্বেষ। একবার টিএলসির এক ভোজনরসিককে রসগোল্লা খেতে গিয়ে মুখের বাজে ভঙ্গি করতে দেখেছিলাম। তাতে আমার মন খারাপ হয়েছিলো। লোকটা বাংলায় ঘুরতে এসে রসগোল্লা আর ইলিশ মাছকে বাজেভাবে উপস্থাপন করলেন, ব্যাপারটা আমি নিতে পারি নি। একইভাবে, আমাদের দেশেই কেউ ইঁদুর খেলে, বা ব্যাঙ খেলে তাদের ভোজন অভ্যাসকে সমীহ করুন। আপনি পারছেন না দেখে ব্যাপারটা খারাপ, এমন নয়।