চোখের নিচে কালো হয় কেন? চোখের নিচের কালো দাগ নিরসনে কি কোন উপায় আছে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+19 টি ভোট
22,262 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

11 উত্তর

+12 টি ভোট
করেছেন (105,560 পয়েন্ট)
চোখের নিচে যে কালো দাগ, একে আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল বলি। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় পেরিঅরবিটাল অথবা আনফ্রাঅরবিটাল বা পিগমেন্টেশন বা ডার্কেনিং বলে থাকি। এর সবচেয়ে ভালো বিষয় হলো, এর সঙ্গে কোনো জটিল মেডিকেল অবস্থা জড়িত নেই। এটি সৌন্দর্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি হয়। এর কারণ কী? একটি হলো জিনগত কারণ। এটা জেনারেশন থেকে জেনারেশন পর্যন্ত যেতে পারে। দ্বিতীয়ত আরেকটি কারণ হলো, ঘুমের অভাব। ঘুম ঠিকমতো না হলে চোখের নিচে কালো দাগ বা কালচে ভাব আসতে পারে। তিন নম্বর হলো, পুষ্টির অভাব। রক্তস্বল্পতা, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এগুলো থাকলেও চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। চার নম্বর হলো, বিশ্রামের অভাব। সেটি চোখের হতে পারে বা শরীরের হতে পারে। ইদানীং জীবনযাপনের ধরনটা এ রকম যে আমাদের চোখের চাপটা অনেক। আমরা ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ। অনেক্ষণ এগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে। মানসিক চাপ থেকেও চোখের নিচের কালো দাগ হতে পারে। ঘুমের অভাবে বা মানসিক চাপের কারণে রক্তের সঞ্চালন কমে যায়। তখন চোখের নিচে কালো দাগটা আসে। এরপর হলো অ্যালার্জি। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হোক, এরপর এটোপিক ডার্মাটাইটিস, একজিমা—কমন ডার্মাটাইটিস যাদের থাকে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। তাদের যেটি হয়, চোখের নিচে চুলকায়। নিয়মিত চোখ চুলকাচ্ছে, ঘষাঘষি করছে, এ কারণে সমস্যা হচ্ছে। একে আমরা সেকেন্ডারি পিআই বলে থাকি। পোস্ট ইনফ্লেমেটরি হাইপার পিগমেন্টেশন। আরেকটি হলো, অ্যানাটমিক্যাল ডিফেক্ট। আমাদের চোখের নিচে একটি গর্ত আছে। একে আমরা টিয়ার ট্রাফ্ট বলে থাকি। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ গর্তটা অনেক গভীর। গভীরতার কারণে ছায়া পড়ে। এটা দাগ নয়, তবে কালচে ভাবটা আসে। আরেকটি হলো, চর্বি। বয়সের সঙ্গে আমাদের শরীরে যে চর্বিটা থাকে সেটি। আবার দেখা যায়, চর্বি সরে যাচ্ছে। এটি সরে গেলেও একই ধরনের গর্তের প্রভাব পড়ছে। আরেকটি হলো, স্কিন ল্যাগজেটি। বলিরেখা পড়ছে। ত্বক ঝুলে যাচ্ছে। আরেকটি হলো, চোখের নিচে পেশি আছে, একে আমরা অরবিটরি মাসেল বলি। চোখের নিচে যে ত্বক এটি পাতলা হয়। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি পাতলা হয় এবং ট্রান্সলুসেন্ট হয়। এগুলো হলো কারণ।

Ntv

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার দুই উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

 ১. শশা

 শশার মধ্যে রয়েছে ত্বক উজ্জ্বলকারী উপাদান এবং হালকা অ্যাসট্রিসজেন্ট উপাদান। এগুলো চোখের নিচের কালো দাগ দ্রুত দূর করতে কাজ করে। একটি শশাকে গোল করে কেটে ফ্রিজে ৩০ মিনিট রেখে দিন। আক্রান্ত ত্বকে ১০ মিনিট এটি রাখুন। এবার জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনে দুই বার এ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এ ছাড়া সমপরিমাণ শশা ও লেবুর রস একত্রে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে মাখুন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহ ধরে দিনে অন্তত একবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

 ২. কাঁচা আলু

 আলুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং অ্যাজেন্ট। এটি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে উপকারী। পাশাপাশি এটি ত্বকের ফোলাভাব কমায়। একটা বা দুইটা আলুর খোসা ছিলে, কুচি করে এর রস বের করুন। একটি তুলার বলের মধ্যে ভেজান এবং বলটি চোখের ওপর দিন। এভাবে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চোখের পাতা ধুয়ে ফেলুন। কয়েক সপ্তাহের জন্য দিনে এক থেকে দুই বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। রস দেওয়ার পাশাপাশি, আলু গোল করে কেটেও চোখের ওপর দিতে পারেন।
করেছেন (490 পয়েন্ট)
right
+7 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
Abrar Islam Ador

চোখের নিচে কালো হয় কারনঃ

চোখের নিচে কালো দাগ পড়াকে আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল বলে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে পেরিঅরবিটাল অথবা আনফ্রাঅরবিটাল বা পিগমেন্টেশন বা ডার্কেনিং বলে থাকে। এটি কোন জটিল সমস্যা নয়। এটি নারী ও পুরুষ উভয়ের সৌন্দর্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি বিষয় কেবল।
ডার্ক সার্কেল অনেক কারণে হতে পারে।

একটি কারণ হলো জিনগত। এটা জেনারেশন থেকে জেনারেশনে দেখা দিতে পারে। দাদার ছিল, বাবার হয়েছে এখন আবার ছেলেরও হয়েছে, এমন।

দ্বিতীয়ত কারণ হলো পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব। ঘুম ঠিকমতো না হলে চোখের নিচে কালো দাগ বা কালচে ভাব আসা শুরু হয়।

তৃতীয় কারণ হলো পুষ্টির অভাব। রক্তস্বল্পতা বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি এগুলো থাকলেও চোখের নিচে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে।

চতুর্থ কারণ হলো পরিপূর্ণ বিশ্রামের অভাব। সেটি চোখের হতে পারে বা শরীরের হতে পারে। আমাদের বর্তমান সময়ের জীবনযাপন এতই জ্যামযুক্ত যে আমাদের চোখের চাপটাও এইজন্য অনেক। আমরা দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ, কম্পিউটার বা মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকি। অনেক্ষণ এগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকলে এবং এটি রীতিমত হয়ে উঠলে চোখের নিচে কালো দাগ হতে পারে।

পঞ্চম কারণ হলো মানসিক চাপ। অতিরিক্ত চাপ নিয়ে কাজ করলে বা চিন্তায় থাকলে চোখের নিচের কালো দাগ হতে পারে। ঘুমের অভাবে বা মানসিক চাপের কারণে রক্তের সঞ্চালন কমে যায়। তখন চোখের নিচে কালো দাগটা চলে আসে।

ষষ্ঠ কারণ হলো অ্যালার্জি। অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হোক, এটোপিক ডার্মাটাইটিস, একজিমা ও কমন ডার্মাটাইটিস যাদের থাকে, তাদের এ সমস্যা হতে পারে। এ সমস্ত রোগে আক্রান্ত বাক্তির চোখের নিচে চুলকায়। নিয়মিত চোখ চুলকানো ও ঘষাঘষি করার ফলে এ সমস্যা হতে পারে। একে সেকেন্ডারি পিআই বা পোস্ট ইনফ্লেমেটরি হাইপার পিগমেন্টেশন বলা হয়।

সপ্তম কারণ হলো অ্যানাটমিক্যাল ডিফেক্ট। আমাদের চোখের নিচে একটি গর্ত আছে। একে টিয়ার ট্রাফ্ট বলা হয়। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায়, এ গর্তটা অনেক গভীর। গভীরতার কারণে ছায়া পড়ে। এটা দাগ নয়, গর্ত ভেতরে হওয়া কারণে একটা কালচে ভাব আসে মাত্র।

অষ্টম কারণ হলো চর্বি। বয়সের সাথে সাথে আমাদের শরীরে কম বেশি চর্বি জমতে শুরু করে। এর কারণেও কালো একটা ভাব চোখের নিচে পড়তে দেখা যায়, চর্বি সরে গেলেও এক ধরনের শূন্যতার সৃষ্টি হয়। তাইও কালচে ভাব দেখা যায়।

নবম কারণ হলো স্কিন ল্যাগজেটি। বলিরেখা পড়লে বা ত্বক ঝুলে গেলে কালচে ভাব ফুটে উঠে। এইটা সাধারণত বয়স হলে দেখা যায়।

দশম কারণ হলো চোখের নিচে একধরনের পেশি আছে যার নাম অরবিটরি মাসেল। এই মাসলের কারণে চোখের নিচের ত্বক পাতলা হয়। কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে এটি আরো বেশি পাতলা হয় এবং ট্রান্সলুসেন্ট হয়। যার কারণে চোখের নিচে কালো হয়ে যায়।
+7 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
Abrar Islam Ador

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার জন্য করণীয়ঃ

শসাঃ সতেজ শসা স্লাইস করে কেটে আধ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করতে হবে। তারপর দশ মিনিট চোখের উপর রেখে দিতে হবে। তারপর পরিস্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এইভাবে দিনে অন্তত দুবার, একটানা সাত দিন করে যেতে হবে। শসার সাথে লেবুর রস সমান পরিমাণ মিশিয়ে দিনে একবার করে সাত দিন ত্বকে মাখতে পারেন। এতে করে ত্বকের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।

কাঁচা আলুঃ প্রথমে কাঁচা আলু ঠাণ্ডা করুন তারপর ব্লেন্ডার করে পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট কালো দাগের উপর ১০-১৫ মিনিট মেখে রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহব্যাপী দিনে ১-২ বার ব্যবহার করলেই চলবে।

গোলাপ জলঃ প্রাকৃতিক ভাবেই গোলাপ জল আমাদের ত্বকের জন্য স্কিন টোনার হিসেবে কাজ করে। ছোট্ট পরিস্কার কাপড়ের টুকরা গোলাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন দেড়-দুই মিনিট। পুরো ভিজলে চোখ বন্ধ করে চোখের পাতার উপর ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। দিনে একবার করে টানা ১০ দিন ব্যবহার করলে চোখের স্বাভাবিক রং ফেরত আসবে।

টমেটোঃ এক চামচ টমেটোর রস এবং আধা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তা চোখের নিচে মাখুন। এরপর ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার বা দুইবার করে টানা সাত দিন ব্যবহার করুন।

আমন্ড ওয়েলঃ স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আমন্ড ওয়েলের খ্যাতি আছে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে চোখের নিচে হালকা আমন্ড ওয়েল মেখে শুয়ে পড়ুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রায় ২-৩ মাস এইভাবে করতে থাকুন।

একটা কথা মাথায় রাখবেন, চোখ ও চোখের আশেপাশের ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর বা সেন্সিটিভ তাই চোখের নিচের দাগ দূর করতে গিয়ে যেন চোখের কোন মারাত্মক সমস্যা না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চোখের নিচে মাখতে গিয়ে যেন কোনো উপাদান চোখে ঢুকে না যায় সেটা অবশ্যই সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
করেছেন (3,410 পয়েন্ট)
Dada , you commented it thrice !
+3 টি ভোট
করেছেন (54,270 পয়েন্ট)
চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল এখন খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কম ঘুম,দুঃশ্চিন্তা,পানি কম খাওয়া ইত্যাদি কারণে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়। তবে অনেকের বংশগত কারণে ডার্ক সার্কেল হতে পারে। চিকিৎসকের ভাষায় চোখের নিচ দেখলেই একজন মানুষের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়। চোখের নিচে ডার্ক থাকলে দেখতে অনেক বেশি বয়স্ক লাগে। এ সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত।

টমেটো:

টমেটো ডার্ক সার্কেল দূর করতে খুবই কার্যকরি। এক চা চামচ টমেটোর রসের সাথে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এমন দিনে দুইবার করুন। নিয়মিত ব্যাবহারে উপকার পাবেন।

শসা:

শসা ত্বককে হাইড্রেট করে। শসা খেলে কোলাজেন উৎপাদন বেড়ে যায়, যা ত্বকের জন্য জরুরী। এছাড়া শসায় ভিটামিন কে, এ,ই,সি রয়েছে যা রক্তনালীগুলির স্থিতিস্থাপকতা এবং রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।

তরমুজ:

তরমুজ বিটা ক্যারোটিন সহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলিতে সমৃদ্ধ যা চোখের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এতে ৯২ ভাগ পানি রয়েছে যা শরীরকে হাইড্রেট করতে পারে। এছাড়া তরমুজে ভিটামিন এ,বি১, বি৬, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।

বিটরুট:

বিটরুটের লাল রঙে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরকে ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এ ছাড়া বিটরুটে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা চোখের নিচের দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

পেঁপে:

পেঁপে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। এতে ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সিও রয়েছে। পেঁপে প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে। এছাড়া পেঁপে ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে এবং পেঁপের অ্যান্টি-এজিং সুবিধাগুলোও আছে।

এছাড়া পানি খাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুমের কোন বিকল্প নেই। যত কিছুই করেন না কেন ঘুম যদি ভালো না হয় তবে চোখের নিচে কালি পড়বেই। এজন্য পর্যাপ্ত ঘুম ও শরীরের যত্ন নিতে হবে।
+2 টি ভোট
করেছেন (24,580 পয়েন্ট)
ঘুমের অভাবে  হতে পারে

পুষ্টির অভাবে হতে পারে

জিনগত ভাবেও হতে পারে

এলার্জি জনিত কারণেও হয়
+1 টি ভোট
করেছেন (24,580 পয়েন্ট)
আক্রান্ত স্থানে শশা লাগালে কমতে পারে

আলুর ব্যাবহার ও করা যেতে পারে

এই বিষয়ে ইউটিইউব এ অনেক ভিডিও আছে দেখে নিতে পারেন
+1 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
চোখের নিচের কালো দাগ কে আন্ডার আই ডার্ক সার্কেল বলা হয়ে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এটিকে পেরিঅরবিটাল, পিগমেন্টেশন বা ড়ার্কেনিং বলা হয়ে থাকে। চোখের নিচের দাগ এর সাথে সরাসরি কোনো শারীরিক অসুস্থতার যোগাযোগ নেই। শুধুমাত্র সৌন্দর্যের সাথে সম্পৃক্ত।

চোখের নিচে কালো দাগ হওয়ার কারণসমূহঃ

মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তাঃ

নিচে কালো দাগ পড়ার প্রধান এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা। কোন বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করলেই চোখের নিচে কালি দাগ পড়ে যায়।

অপর্যাপ্ত ঘুমঃ

অপর্যাপ্ত ঘুমের কারনে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যায়। কেউ যদি দিনে কম করে হলেও 6 থেকে 7 ঘণ্টা না ঘুমায় তাহলে তার চোখের নিচের দাগ সার্কেল দেখা দেয়।

পানিশূন্যতাঃ

শরীর পানি শূন্যতায় ভোগে শরীর থেকে অনেক বেশি পরিমাণ পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়। ফলে চোখের নিচে কালো দাগ দেখা দেয়।

জিনগত কারণঃ

চোখের নিচের কালো দাগ অনেক সময়ই বংশপরম্পরায় হয়ে থাকে। জিনগত কারণে চোখের নিচের কালো দাগ হয়।

চুলকানোঃ

আমাদের  চোখের নিচের অংশের ত্বক অত্যন্ত নরম এবং কোমল হয়। অতিরিক্ত চুলকানো এবং ঘষাঘষির কারণেও চোখের নিচের কালো দাগ দেখা দেয়।

চোখের নিচে কালো দাগ দ্রুত সময়ে দূর করার জন্য কার্যকরী উপায় সমূহঃ

দুধ এবং কাজু বাদামঃ

পরিমাণমতো দুধের সাথে কাজু বাদামের গুঁড়ো মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন তারপর মিশ্রণ টি চোখের চারপাশে লাগিয়ে কিছু সময় পরে ধুয়ে  নিন।

কাঁচা আলুঃ

কাঁচা আলু কুচি কুচি করে কেটে নিয়ে অথবা ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিয়ে । চোখের চারপাশের কালো দাগের উপর  দিয়ে দিন। শুকানোর জন্য 15 থেকে 20 মিনিট সময় দিয়ে ধুয়ে নিন। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুবার এবং কমপক্ষে টানা এক সপ্তাহ এই পেস্টটি ব্যবহার করুন।

শসাঃ

কাঁচা শসা ঠান্ডা করে স্লাইস করে কেটে নিয়ে বুকের উপর 10 মিনিট রেখে দিন। যেটি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে অত্যন্ত সহায়ক।

গোলাপজলঃ

আমরা সকলেই জানি স্কিন কেয়ার এর জন্য গোলাপজল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি চোখের নিচের কালো দাগের জন্য গোলাপজল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ছোট পরিষ্কার কাপড়ের টুকরা গোলাপ জলে ভিজিয়ে চোখের উপরে রেখে দিন এতে করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।

আলমন্ড অয়েলঃ

সেনসিটিভ ত্বকের জন্য আলমন্ড অয়েল অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাতে শুতে যাওয়ার পূর্বে চোখের উপরে এবং চারপাশে দুফোটা আমন্ড অয়েল লাগিয়ে নিন এবং সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

টমেটোঃ

এক চা চামচ টমেটো রসের সাথে দুই থেকে তিন ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে দিন এতে করে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।

ঠান্ডা চায়ের ব্যাগঃ

প্রথমেই চায়ের ব্যাগ টি ঠান্ডা করে নিন এবং চোখে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট সময় নিয়ে  পরিষ্কার করে নিন।

কমলার রসঃ

চোখের নিচের  কালো দাগ দূর করার জন্য কমলার রস অত্যন্ত উপযোগী। কমলার রসের সাথে দুফোটা গ্লিসারিন মিশিয়ে আপনার চোখের চারপাশে ব্যবহার করলে চোখের কালো দাগ তো যাবেই বরং চোখের উজ্জলতাও ফুটে উঠবে।
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)
চোখের নিচে কালো দাগের কারণ হচ্ছে অপর্যাপ্ত ঘুম,মানসিক চাপ,জিনগত সমস্যা ইত্যাদি ।এটা দুর করার জন্য একটা ভালো উপায় হচ্ছে আলুর রস ও শসা ব্যবহার করা ।চোখের স্কিন খুব সেনসিটিভ তাই একটু বুঝেসুনে স্কিন ট্রিটমেন্ট করতে হবে ।
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
পানিশূন্যতা, জিনগত কারণ, রাত জাগা, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও ত্বকের সমস্যার কারণে চোখের নিচে কালো কালি পড়তে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 304 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 315 বার দেখা হয়েছে
17 সেপ্টেম্বর 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Msknirob (6,760 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 291 বার দেখা হয়েছে
+12 টি ভোট
1 উত্তর 1,661 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 191 বার দেখা হয়েছে

10,720 টি প্রশ্ন

18,363 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

240,125 জন সদস্য

46 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 42 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...