যাদের ওজন কম তাদের জন্য পরামর্শ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
510 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (1,410 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (1,410 পয়েন্ট)

প্রতিটি মানুষের আদর্শ ওজন থাকা জরুরি। অতিরিক্ত ওজন যেমন ভালো নয়, স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাও ঠিক নয়। ওজন বাড়াতে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজনের ব্যক্তিদের প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা এবং সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি।

 

ওজন বাড়াতে নিম্নোক্ত কৌশলগুলো বেশ সহায়ক।

 

১. অতিরিক্ত ক্যালরির খাবার গ্রহণ: শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি প্রতিদিন ক্ষয় হয়, তার চেয়ে ৫০০–৭০০ ক্যালরি খাবার বেশি খেতে হবে। ভাত, মাছ–মাংস, ডাল, বীজ, শাকসবজি, ফলমূল, ডিম, দুগ্ধজাতীয় খাবার নিয়মিত খেতে হবে।

 

২. উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ: ওজন বাড়াতে চাইলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখতে হবে। এ ধরনের কিছু খাবার হলো কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট, পেস্তাবাদাম, চিনাবাদাম, খেজুর, কিসমিস, আলুবোখারা, ননিযুক্ত দুধ, ফুলক্রিম দই, পনির, ক্রিম, মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, ছাগলের মাংস ও কলিজা, আলু, মিষ্টি আলু, চকলেট, কলা, আ্যভোকাডো, পিনাট, মাখন ইত্যাদি।

 

৩. দিনে পাঁচ–ছয়বার খাবার গ্রহণ: যাঁদের ওজন কম, তাঁদের তিন–চার ঘণ্টা পরপর খাবার খেতে হবে। দীর্ঘসময় পেট খালি রাখা চলবে না। পুষ্টিকর উচ্চ ক্যালরির খাবার যদি বারবার গ্রহণ করা হয় এবং প্রতিদিনের ক্যালরির চাহিদা যদি পূরণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে দ্রুতই ওজন বাড়ানো সম্ভব।

 

৪. শর্করাজাতীয় খাবার: অনেকেই শর্করা একেবারে কম গ্রহণ করেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। যাঁদের ওজন কম, তাঁদের অবশ্যই মোট ক্যালরির শতকরা ৫০-৬০ ভাগ শর্করা গ্রহণ করতে হবে। দিনে তিনবার প্রধান খাবার হিসেবে শর্করা গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আলু, আটা, চাল, পাস্তা অন্যতম।

 

৫. আমিষযুক্ত খাবার গ্রহণ: ওজন বাড়াতে আমিষযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। শরীরের প্রতি কেজি ওজনের জন্য ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ২ গ্রাম আমিষ নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। ডিম, দুধ, মাছ, মাংস, ডাল, বীজজাতীয় খাবার আমিষের ভালো উৎস।

 

৬. ব্যায়াম: পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ওজন বাড়ানোর পাশাপাশি ব্যায়াম ক্ষুধা বাড়াতে, খাবার ভালোমতো হজম করতেও সাহায্য করে।

 

৭. জীবনযাপন: ওজন বাড়াতে চাইলে জীবনযাপন পদ্ধতিও স্বাস্থ্যকর হতে হবে। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা চলবে না। প্রতিদিন আট ঘণ্টা ভালো ঘুম হতে হবে। দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে।

 

কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ

■ প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। তবে খাওয়ার আগে পানি পান করা যাবে না।

 

■ প্রোটিনযুক্ত খাবার আগে এবং শাকসবজি শেষে গ্রহণ করুন।

 

■ ঘুমানোর আগে একটা স্বাস্থ্যকর উচ্চ ক্যালরির স্ন্যাকস খাওয়ার চেষ্টা করুন।

 

■ বড় থালায় খাবার খেতে হবে।

 

■ ধূমপান বর্জন করতে হবে।

 
সূত্রঃ প্রথম আলো
0 টি ভোট
করেছেন (1,450 পয়েন্ট)
আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ যদি কম ওজনের হয়ে থাকেন এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে চান, তাহলে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা একজন নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ানের নির্দেশনায় এটি করা গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু সাধারণ টিপস আছে:

 

1**একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন**: আপনার খাদ্য বা ব্যায়ামের রুটিনে কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করার আগে, একজন ডাক্তার বা খাদ্য বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন। কম ওজনের জন্য কোন অন্তর্নিহিত চিকিৎসা শর্ত আছে কিনা তা নির্ধারণ করতে তারা সাহায্য করতে পারে।

 

2**সুষম খাদ্য**: একটি সুষম খাদ্য গ্রহণের দিকে মনোনিবেশ করুন যাতে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর মধ্যে চর্বিহীন প্রোটিন, গোটা শস্য, ফল, শাকসবজি এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

 

3. **ক্যালরির পরিমাণ বাড়ান**: ওজন বাড়ানোর জন্য, আপনার পোড়ার চেয়ে বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। ধীরে ধীরে আপনার ক্যালোরি গ্রহণ বাড়ান, কিন্তু খালি-ক্যালোরি বিকল্পের পরিবর্তে পুষ্টি-ঘন খাবারের দিকে লক্ষ্য রাখুন।

 

4. **প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার**: আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিহীন মাংস, হাঁস-মুরগি, মাছ, ডিম, দুগ্ধজাত খাবার, লেবু এবং বাদাম অন্তর্ভুক্ত করুন। পেশী বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য।

 

5**ঘন ঘন খাবার এবং স্ন্যাকস**: সারা দিন ছোট, আরো ঘন ঘন খাবার এবং স্ন্যাকস খান। এটি আপনাকে খুব বেশি পূর্ণ বোধ না করে আপনার ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

 

6. **স্বাস্থ্যকর চর্বি**: অ্যাভোকাডো, অলিভ অয়েল, বাদাম এবং বীজের মতো উৎস থেকে স্বাস্থ্যকর চর্বি আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করুন। এগুলি ক্যালোরি-ঘন এবং পুষ্টিকর।

 

7. **শক্তি প্রশিক্ষণ**: পেশী ভর তৈরি করতে আপনার ফিটনেস রুটিনে শক্তি প্রশিক্ষণ ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত করুন। পেশীর ওজন চর্বির চেয়ে বেশি এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

 

8**খালি ক্যালোরি এড়িয়ে চলুন**: আপনার আরও ক্যালোরির প্রয়োজন হতে পারে, তবে চিনিযুক্ত বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের অত্যধিক ব্যবহার এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।

 

9**হাইড্রেটেড থাকুন**: হাইড্রেটেড থাকার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা নিশ্চিত করুন, তবে খাবারের ঠিক আগে প্রচুর পরিমাণে পান করা এড়িয়ে চলুন, কারণ এটি আপনাকে পূরণ করতে পারে।

 

10. **প্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন**: অগ্রগতি পরিমাপ করতে আপনার ওজন এবং খাদ্যতালিকা গ্রহণের উপর নজর রাখুন। প্রয়োজন অনুসারে আপনার পরিকল্পনা সামঞ্জস্য করুন।

 

11**ধৈর্য**: স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে সময় লাগে। প্রক্রিয়াটির সাথে ধৈর্য ধরুন এবং তাড়াহুড়ো এড়ান, কারণ দ্রুত ওজন বৃদ্ধি অস্বাস্থ্যকর হতে পারে।

 

12. **খাবার এড়িয়ে চলুন**: আপনার খাওয়ার ধরণে ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ। খাবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন, কারণ এটি আপনার ক্যালোরির লক্ষ্যে পৌঁছানো কঠিন করে তুলতে পারে।

 

মনে রাখবেন যে পৃথক পুষ্টির চাহিদা পরিবর্তিত হয়, এবং যা একজন ব্যক্তির জন্য কাজ করে তা অন্যের জন্য কাজ নাও করতে পারে। আপনার নির্দিষ্ট প্রয়োজন এবং লক্ষ্যগুলির জন্য উপযুক্ত একটি নিরাপদ এবং কার্যকর ওজন বাড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি করতে একজন স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার বা ডায়েটিশিয়ানের কাছ থেকে ব্যক্তিগতকৃত নির্দেশিকা সন্ধান করুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 235 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,163 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 225 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 318 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,461 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

268,651 জন সদস্য

33 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 29 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  2. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  3. RenaldoDas0

    100 পয়েন্ট

  4. rr88church

    100 পয়েন্ট

  5. cacuocf8betvn

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...