কী হবে যদি চাঁদ পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
536 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

আমরা জানি, চাঁদ আমাদের একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ। চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরে। কিন্তু কেমন হবে যদি এই চাঁদ-ই আমাদের পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

যদি চাঁদ ক্রমান্বয়ে পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে থাকে তাহলে একসময় এটির পৃথিবী সাথে সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু চাঁদ প্রতিবছর প্রায় ৩.৮ সেন্টিমিটার(১.৫ ইঞ্চি) করে পৃথিবী হতে দূরে চলে যাচ্ছে। কিন্তু দেখা গেছে এই দূরে সরে যাওয়ার হার ধ্রুব নয়। তবে যেহেতু দূরে সরে যাচ্ছে তাই  চাঁদের পৃথিবীতে আছড়ে পরার সম্ভবনা খুবই অল্প, কিন্তু আমাদের কল্পনা করতে তো কোনো দোষ নেই। 

জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি হয় চাঁদের অভিকর্ষ বলের কারণে। এই অভিকর্ষণের কারণেই কিন্তু পৃথিবী নির্দিষ্ট অক্ষে স্থির থাকতে পারে। পৃথিবীর বুকে স্থায়ী আবহাওয়া বিরাজ করে। এজন্য চাঁদ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে আমাদের জীবনে। প্রচলিত রয়েছে যে, চাঁদের সৃষ্টি হয়েছিল মঙ্গল গ্রহের সাথে পৃথিবীর সংঘর্ষ অথবা ধাক্কা লাগার ফলে। পৃথিবী ভেঙে তার ভাঙ্গা টুকরোগুলো মিলিত হয়েই চাঁদ তৈরি হয়। চাঁদ আসলে পৃথিবীর রোশ লিমিটের কাছাকাছি আসতে না আসতেই  টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। 

অধিক ভরসম্পন্ন বস্তুর যে দুরত্বে আসলে কোন স্বল্প ভরসম্পন্ন বস্তু ভেঙ্গে যায় তাই রোশ সীমা বা রোশ লিমিট (Roche limit)। ১৮৪৮ সালে প্রথম ফ্রেঞ্চ বিজ্ঞানী ডুয়ার্ড রোশ এই লিমিটের বিষয়টি বলেন। 

অর্থাৎ কোনো একটি নির্দিষ্ট গ্রহের কেন্দ্র হতে একটি নির্ধারিত দূরত্ব পর্যন্ত অন্য কোনো ভিন্ন গ্রহ অবস্থান করতে পারে না। এই রোশ সীমানা বা লিমিটের ভেতর অথবা বাইরে যেকোনো দিক থেকে কোনো গ্রহাণু প্রবেশ করতে গেলে যেটির ভর অপেক্ষাকৃত কম, সেটি ধ্বংস হয়ে যায়। এই লিমিটের কারণে চাঁদ যদি পৃথিবীর কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে, তবে যেই মুহূর্তে চাঁদ পৃথিবীর রোশ লিমিটে পৌঁছাবে তখনই এটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। পৃথিবীর রোশ লিমিট ১১ হাজার ৪১৭ মাইল। এই সীমানার নিকটে আসলেই চাঁদ ভেঙে যেতে শুরু করবে। চাঁদ এই সীমানার কাছাকাছি আসার পরপরই এটি পৃথিবীর ঘূর্ণনকেও প্রভাবিত করবে, দিন অপেক্ষাকৃত ছোট হবে এবং তাপমাত্রার উপরও প্রভাব ফেলবে। চাঁদের ভাঙা অংশগুলো অনেক উঁচুতে ভাঙ্গা অবস্থায় পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকবে। হতে পারে ভাঙ্গা অংশগুলো সংগঠিত হয়ে পৃথিবীর জন্য আরেকটি নতুন উপগ্রহ তৈরি হলো কিংবা শনি গ্রহের মতো ভাঙা অংশগুলো মিলিত হয়ে পৃথিবীর পাশে একটি বলয় সৃষ্টি করলো। তবে কখনোই এই ভাঙা অংশগুলো আজীবন এভাবে ঘুরতে থাকবে না। বেশ কিছুদিন পর যখন একটু একটু করে যখন এদের ভর কমত থাকবে তখন এগুলো অভিকর্ষ বলের কারণে পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে। এতে করে চাঁদের ভাঙা অংশগুলো বড় বড় উল্কার ন্যায় পৃথিবীতে নেমে আসবে। আর তার ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হতে হতে একসময় পৃথিবী-ই ধ্বংস হয়ে যাবে। 

লিখেছেনঃ প্রজ্ঞা পারমিতা কর্মকার - Team Science Bee

0 টি ভোট
করেছেন (1,070 পয়েন্ট)

চাঁদ যদি সব ছেড়ে কখনো আমাদের পৃথিবীর দিকে ছুটে আসে? তবে আমাদের আগেই চাঁদ খণ্ড–বিখণ্ড হয়ে যাবে। পৃথিবীর রোশ লিমিটের কাছাকাছি আসতেই চাঁদ টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়বে। ফ্রেঞ্চ বিজ্ঞান ডুয়ার্ড রোশ ১৮৪৮ সালে প্রথম লিমিটের বিষয়টি জানান। কোনো গ্রহের কেন্দ্র থেকে নির্ধারিত দূরত্ব পর্যন্ত অন্য কোনো গ্রহ অবস্থান করতে পারে না। এই সীমানার ভেতর–বাইরে থেকে কোনো গ্রহাণু প্রবেশের চেষ্টা করলে যার ভর কম, সেটা ধ্বংস হয়ে যায়। এর ফলে চাঁদ যদি পৃথিবীর কাছে আসার চেষ্টা করে, তাহলে পৃথিবীর রোশ লিমিটে এসেই এটি ভেঙে যাবে। অর্থাৎ পৃথিবীর রোশ লিমিট ১৮ হাজার ৪১৭ কিলোমিটার হলে, এই সীমানার কাছাকাছি আসতেই চাঁদ ভাঙতে শুরু করবে। চাঁদের এই ভাঙা টুকরোগুলো ৩৭ হাজার কিলোমিটার উঁচুতে টুকরো টুকরো হয়ে পৃথিবীর চারপাশে ঘুরতে থাকবে। হয়তো সেগুলো মিলে পৃথিবীর জন্য আরেকটা নতুন উপগ্রহ তৈরি হবে। কিংবা আমাদের সৌরজগতের শনি গ্রহের মতো চাঁদের ভাঙা টুকরোগুলো মিলে বলয় তৈরি হবে। তবে আমাদের চাঁদের এই ভাঙা টুকরোগুলো বেশি দিন এভাবে ঘুরবে না। একটু একটু করে ভর কমতেই এগুলো পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে অভিকর্ষ বলের প্রভাবে। এত এত ভাঙা চাঁদের টুকরো পৃথিবীর বুকে বড় বড় উল্কার মতো নেমে আসবে। যার আক্রমণে গোটা দেশ বা শহর পুড়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে।

এ ছাড়া চাঁদ পৃথিবীর দিকে ছুটে আসতেই ক্রমে আমাদের ওপর এটির জোয়ার-ভাটার প্রভাব বাড়তে থাকবে। চাঁদ পৃথিবীর রোশ লিমিট পর্যন্ত পৌঁছাতে পৌঁছাতে এর প্রভাবে পৃথিবীর পানির উচ্চতা পৌঁছাবে সাড়ে ছিয়াত্তর হাজার মিটারের বেশি। সারা পৃথিবীতে ভয়াবহ সুনামি আঘাত হানবে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দশ গুণ বেশি শক্তিশালী হবে।

অন্যদিকে বৈশিক উষ্ণায়ন সমস্যার সমাধান হিসেবেও কাজ করতে পারে এটি। চাঁদ দ্রুতবেগে আমাদের দিকে এগিয়ে আসার ফলে পৃথিবীর ঘূর্ণনগতি বেড়ে যাবে। ফলে পৃথিবীতে দিনের দৈর্ঘ্য কমে যাবে। এ কারণে আপনা–আপনি তাপমাত্রাও হ্রাস পাবে। ফলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন নিয়ে আমাদের সেভাবে চিন্তা না করলেও চলবে। আর কিছুদিন পর চাঁদের টুকরোর উল্কাপাতে মারা গেলে এসব চিন্তা করার আর প্রয়োজনই থাকবে না।

-Zhang Bao Hua

 

Source:https://www.kishoralo.com/feature/%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AF%E0%A6%A6%E0%A6%BF-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%81%E0%A6%A6-%E0%A6%AA%E0%A7%83%E0%A6%A5%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%9B%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87

0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)
যদি চাঁদ পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে, তাহলে তা হবে একটি মহা বিপর্যয়। চাঁদের গড় ব্যাস ৩,৪৭৪ কিলোমিটার। এর ভর পৃথিবীর ভরের প্রায় এক-পঞ্চাশ ভাগ। চাঁদ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে, তাহলে তা পৃথিবীর ভূত্বক, বায়ুমণ্ডল এবং জীববৈচিত্র্যের উপর মারাত্মক ক্ষতি করবে।

চাঁদ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে, তাহলে তা নিম্নলিখিত প্রভাব ফেলতে পারে:

ভূমিকম্প: চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীতে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হবে। এই ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী হবে যে এটি পৃথিবীর সমস্ত মহাদেশকে কাঁপিয়ে দেবে।
সুনামি: চাঁদের আঘাতের ফলে সমুদ্রের তলদেশে বিশাল ঢেউের সৃষ্টি হবে। এই ঢেউগুলি এতটাই উঁচু হবে যে এটি সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেবে।
বায়ুমণ্ডলের ক্ষতি: চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেন এবং অন্যান্য গ্যাসগুলি পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে মহাকাশে বেরিয়ে যাবে। এর ফলে পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
জীববৈচিত্র্যের ধ্বংস: চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীতে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যাবে। চাঁদের আঘাতের ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠে প্রচুর পরিমাণে ধ্বংসস্তূপ তৈরি হবে। এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।
চাঁদ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে, তাহলে তা পৃথিবীর ভবিষ্যৎকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেবে। এটি পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

চাঁদ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা কতটা?

চাঁদ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। চাঁদ এবং পৃথিবী একটি স্থির কক্ষপথে ঘুরছে। এই কক্ষপথের উপর কোনও বহিরাগত শক্তির প্রভাব না পড়লে, চাঁদ পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়বে না।

তবে, কোনও বহিরাগত বস্তু, যেমন একটি গ্রহাণু বা ধূমকেতু, যদি চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে, তাহলে তা চাঁদের কক্ষপথকে পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে চাঁদ পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়তে পারে।

এছাড়াও, কোনও মহাজাগতিক ঘটনা, যেমন একটি সুপারনোভা বিস্ফোরণ, যদি পৃথিবীর কাছাকাছি ঘটে, তাহলে তা চাঁদের কক্ষপথকে পরিবর্তন করতে পারে। এর ফলে চাঁদ পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়তে পারে।

কিন্তু, এই ধরনের ঘটনাগুলি খুবই বিরল। তাই, চাঁদ যদি পৃথিবীর উপর ভেঙে পড়ে, তাহলে তা একটি মহা বিপর্যয় হবে, কিন্তু এর সম্ভাবনা খুবই কম।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 409 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 212 বার দেখা হয়েছে
21 এপ্রিল 2023 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন bhuazhang (1,070 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 181 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 676 বার দেখা হয়েছে

10,760 টি প্রশ্ন

18,423 টি উত্তর

4,737 টি মন্তব্য

249,464 জন সদস্য

73 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 72 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. 789bwin

    140 পয়েন্ট

  2. Sheikh Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Shubrnatalukdar

    110 পয়েন্ট

  4. Elma Hasan Jahnbee

    110 পয়েন্ট

  5. Taspia Tahsin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো #ask মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য #science প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বাংলাদেশ বিড়াল
...