হাত পায়ের আঙুল ফোটালে যে শব্দ হয় তার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
770 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,210 পয়েন্ট)
অভ্যাসের বশেই হোক অথবা মজা করেই হোক অনেক সময়ই আমরা আঙুল ফোটানোর কাজটা করে থাকি। কখনও কখনও এই ব্যাপারটি নিয়ে বন্ধুদের মাঝে প্রতিযোগিতাও দেখা দেয়। তবে শুধু আঙুল ফোটালেই যে শব্দ হয় ব্যাপারটি এমন নয়। হাঁটা-চলা, ব্যায়াম এমনকি নামাজের সময়ও অনিচ্ছাকৃতভাবে কনুই, হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগে শব্দ হতে পারে।

অনেকে ভাবেন আঙুল ফোটার এই শব্দ সাধারণত হাড়ে হাড়ে ঘষা লেগে হয়। কিন্তু আদতে এমনটি হয় না।

আঙুল ফোটানোর সময় আমরা আঙুলকে এমনভাবে বেন্ডিং করি যেটি সাধারণভাবে আঙুলের পক্ষে হওয়া সম্ভব নয়। আঙুলের জয়েন্টগুলোর চারপাশে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে এক ধরনের ফ্লুইড থাকে। আঙুলগুলোকে যখন আমরা স্বাভাবিক অবস্থা থেকে ফিরিয়ে আনি তখন এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম আর বাবল সৃষ্টি হয় যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙে যায়। এই বাবল ভেঙে যাওয়ার শব্দই মূলত আঙুল ফোটানোর শব্দের উৎস।

গবেষণা বলে, মাঝে মাঝে আঙুল ফোটানো অস্থির ক্ষতজনিত রোগ আর্থ্রায়টিস বা অস্টিওআর্থ্রায়টিস রোগ হওয়ার আশংকা কমিয়ে দেয়।

তবে আঙুল ফোটানো যতই মজার ব্যাপার হোক না কেন অভ্যাসটি খুব একটি ভালো কিছু নয়। স্বাভাবিকভাবে যতটুকু আঙুল ফোটানো হয় ততটুকুই ভালো। এটির পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তবে দেখা দিতে পারে হাড়ের সমস্যা। আর যদি ঘাড় ফোটানোর অভ্যাস থাকে তাহলে সেটি যত দ্রুত সম্ভব পরিহার করা উচিত। কারণ এ থেকে ঘাড়ে স্থায়ী ব্যথা দেখা দিতে পারে।

Collected
0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
আমাদের জয়েন্টগুলোর চারপাশে একধরনের ফ্লুইড থাকে, যেটাকে বলা হয় - সাইনোভিয়াল ফ্লুইড। যখন আমরা আঙুল গুলোকে তাদের স্বাভাবিক অবস্থা থেকে সরিয়ে আনি, এই ফ্লুইডে একধরনের ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং একটা বাবল তৈরি হয়, যেটা একদম সাথে সাথেই ভেঙে যায়। এই বাবল ফাটার শব্দটাই হচ্ছে, আঙুল ফোটানোর শব্দের উৎস।
0 টি ভোট
করেছেন (15,210 পয়েন্ট)
আঙুলের সংযোগস্থলের মাঝে সাইনোভিয়াল ফ্লুইড নামে এক প্রকার ঘন পিচ্ছিল তরল জাতীয় পদার্থ থাকে। এর কাজ হল সংযোগস্থলের অস্থিগুলির মাঝে যেন কোন ধরণের সংঘর্ষ না হয়। এই তরলের মাঝে বিভিন্ন গ্যাসও সম্পৃক্ত হয়ে মিশে থাকে।

আমরা যখন আঙুল ফোটাই তখন মূলত আঙুলের হাড়গুলোকে টেনে আলাদা করার চেষ্টা করি। এই টানের  ফলে সংযোগস্থলের মাঝের স্থানটি বেড়ে যায় এবং আভ্যন্তরীণ চাপ কমে যায়।

কিন্তু যখন পুনরায় আগের স্থানে ফিরে আসে তখন সংযোগস্থলের গ্যাসগুলো বুদবুদ সৃষ্টি করে যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় ক্যাভিটেশন বলে এবং এই বুদবুদগুলো চাপের কারণে ফেটে গিয়ে শব্দ করে।

অনেকের ধারণা এটি করলে ক্ষতি হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ডোনাল্ড উঙ্গার প্রমাণ করেন যে সেই ধারণাটি ভুল। এই গবেষণার জন্য তিনি ২০০৯ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হন।
0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)
আঙ্গুল ফোটালে শব্দ হয় কারণ আঙুলের জয়েন্টে থাকা সিনোভিয়াল ফ্লুইডের বুদবুদ ফেটে যায়। সিনোভিয়াল ফ্লুইড হল একটি তরল যা আঙুলের জয়েন্টকে লুব্রিকেট করে এবং ঘর্ষণ কমাতে সাহায্য করে। আঙুল ফোটানোর সময়, আমরা আঙুলের জয়েন্টকে হঠাৎ করে টেনে বা মোচড় দিয়ে সিনোভিয়াল ফ্লুইডের চাপ বাড়াই। ফলে, ফ্লুইডের মধ্যে থাকা গ্যাসের বুদবুদগুলি ফেটে যায় এবং শব্দ হয়।

আঙ্গুল ফোটানোর শব্দটি সাধারণত "পট-পটাং" বা "ক্র্যাক" হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি একটি উচ্চ শব্দ হতে পারে, যা অন্যদের বিরক্ত করতে পারে। তবে, আঙ্গুল ফোটানোর শব্দটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

একসময় মনে করা হত যে, আঙুল ফোটানোর ফলে আর্থ্রাইটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে, বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আঙুল ফোটানো এবং আর্থ্রাইটিসের মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই।

আঙ্গুল ফোটানো একটি সাধারণ অভ্যাস। অনেক মানুষই অভ্যাসগতভাবে আঙুল ফোটে। তবে, যদি আপনার আঙুল ফোটানোর অভ্যাস খুব বেশি হয়, তাহলে এটি আপনার আঙুলের জয়েন্টের নমনীয়তা কমিয়ে দিতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
6 টি উত্তর 1,042 বার দেখা হয়েছে
30 এপ্রিল 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন হায়াত (20,400 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 965 বার দেখা হয়েছে
17 ফেব্রুয়ারি 2022 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন samir_al_mahmud (190 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 568 বার দেখা হয়েছে
27 জানুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,673 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 313 বার দেখা হয়েছে

10,826 টি প্রশ্ন

18,535 টি উত্তর

4,745 টি মন্তব্য

841,947 জন সদস্য

47 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 45 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...