প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে কেন বাদ দেয়া হয়েছে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
989 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,350 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
প্লুটোকে গ্রহ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হয়ছে কেন?

এটার মর্যাদা কি হবে এ নিয়ে এখনও বির্তক চলছে।

 

"২০০৬ সালে ২৪ আগষ্ট জ্যোতির্বিদদের একটি সম্মেলনে IAU resolution অনুযায়ী গ্রহের সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তাতে গ্রহ হবার জন্য তিনটি শর্ত দেয়া হয়।

 

এ শর্তপত্রের আওতায় সৌরজগতের একটি বস্তুকে গ্রহ হতে হলে:

 

১. একে সূর্যের চারপাশে ঘুরতে হবে

২. একে যথেষ্ট পরিমান ভারী হতে হবে যেন নিজের মাধ্যাকর্ষণের টানে এটি গোলাকার ধারন করতে পারে। আরো যথাযথভাবে, এর নিজস্ব মাধ্যাকর্ষন এটিকে এমন আকৃতিতে পরিণত করতে হবে যেন তা ‘হাইড্রোস্ট্যাটিক সাম্যাবস্থা’য় থাকে।

৩. এর কক্ষপথটি অন্যান্য গ্রহের কক্ষপথ হতে পৃথক হতে হবে। যদি দুটি বস্তুর কক্ষপথ পৃথক না হয় বা একটির কক্ষপথ অপরটির ভেতর ঢুকে পড়ে তাহলে অপেক্ষাকৃত বেশী ভরের বস্তুটিই গ্রহের মর্যাদা পাবে।

 

দেখা যায় যে, প্লুটো তিনটি শর্তের মধ্যে তৃতীয় শর্তটি পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। সর্বসম্মতিক্রমে ঐদিনই গ্রহ তালিকা থেকে প্লুটোকে বাদ দেয়া হয়।

 

কিন্তু পরবর্তীতে ২০০৬ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তারিখে IAU (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন)নির্ধারণ করে দেয় যে প্লুটোর মতো অন্য যেসব বস্তু কেবল গ্রহের সংজ্ঞার ১ ও ২ নং শর্ত পূরণ করতে পারবে তাদের বামন গ্রহ বলা হবে এবং IAU প্লুটো, এরিস এবং এর উপগ্রহ ডিসনোমিয়াকে গৌণ বা বামন গ্রহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে গৌণ বা বামন গ্রহের মর্যাদা দেয়। যার ফলে এদের নাম হয় যথাক্রমে “(১৩৪৩৪০) প্লুটো”, “(১৩৬১৯৯) এরিস” এবং “(১৩৬১৯৯) এরিস I ডিসনোমিয়া”।

 

প্লুটো নামের গ্রহকে নিয়ে বিতর্ক উঠার পর IAU আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানটি বামন গ্রহের সংজ্ঞা প্রদান করেন। সংজ্ঞায় বলা হয় বামন গ্রহ হল তারাই যাদের:[২]

 

ভর গ্রহের সমান কিন্তু গ্রহও নয়, উপগ্রহও নয়

সূর্যকে সরাসরি প্রদক্ষিণ করে; নিজস্ব আকৃতি পাবার মত অভিকর্ষের মালিক

কিন্তু কক্ষপথকে অন্যান্য বস্তু থেকে আলাদা বা স্বতন্ত্র করতে পারেনি

বিশাল মহাকাশে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত বামন গ্রহের সংখ্যা হলো ৫টি। এগুলো হলো প্লুটো, সেরেস, এরিস, হাউমেয়া, মেইকমেইক।

 

গ্রহের এ পুনঃশ্রেনীবিন্যাস অনেক জ্যোতির্বিদ সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারেন নি। কিছুদিন আগে নাসার প্লুটোর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া নিউ হরাইজন মিশনের প্রধান গবেষক অ্যালান স্টার্ন গ্রহের এই শর্ত মেনে নিতে অস্বীকার করেন।"

 

এবার প্লুটোর কাহিনী শুরু করা যাক। তার গ্রহের মর্যাদা থাকবে কি থাকবে না এ নিয়ে ঘটতে থাকা পুরো কাহিনীর বর্ণনা এখানে দেয়া হলঃ[১]

 

নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত আমরা যারা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিলাম তারা প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে জেনে এসেছি। সেই সময় গ্রহের সংখ্যা ছিলো ‘নয়’। কিন্তু পরবর্তীতে, যথাযথভাবে বললে ২০০৬ সালের ২৪ আগষ্ট প্লুটোকে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহ তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। যদিও প্লুটো গ্রহ থাকবে কি থাকবে না সেই বিতর্ক এখনো শেষ হয় নি। কিছুদিন পূর্বেও প্লুটোকে পুনরায় গ্রহ হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করা হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্লুটো গ্রহের মর্যাদা ফিরে পায় নি। এটি এখন একটি বামন গ্রহ হিসেবে সৌরজগতের সদস্য।

 

প্রাথমিকভাবে যে প্ল্যানেট এক্সের ভবিষ্যৎবানী করা হয়েছিলো তার ভর ধরা হয়েছিলো অনেক বেশী। কিন্তু প্লুটোর আবিষ্কার পর এর গতিবিধি এবং অস্পষ্টতা দেখে সন্দেহ করা হলো এটি পূর্বের অনুমানকৃত প্ল্যানেট এক্স নয় বরং অন্য একটি গ্রহ। জ্যোতির্বিদগণ প্রাথমিকভাবে এর ভর নির্ণয় করেছিলেন নিকটবর্তী অন্য দুটি গ্রহ নেপচুন ও ইউরেনাসের কক্ষপথের উপর এর অভিকর্ষের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে। ১৯৩১ সালে প্লুটো ভর নির্ণয় করা হয় পৃথিবীর ভরের কাছাকাছি। পরবর্তীতে আরো সূক্ষ মাপে এর ভর কমে আসে এবং মঙ্গল গ্রহের কাছাকাছি নির্নীত হয়। ১৯৭৬ সালে প্লুটোর বর্ণালী পর্যবেক্ষণ করে ধারনা করা হয় এর ভর পৃথিবীর ভরের ১ শতাংশের বেশী হবে না।

 

১৯৭৮ সালে প্লুটোর চাঁদ শ্যারন আবিষ্কৃত হলে এর ভর যথাযথভাবে নির্ণয় করার পথ খুলে যায়। বিভিন্ন হিসেবে দেখা যায় এর ভর হবে পৃথিবীর ভরের মাত্র ০.২ শতাংশ। এত সামান্য ভর নিয়ে প্লুটোর পক্ষে ইউরেনাস গ্রহের কক্ষপথে প্রভাব বিস্তার করা দুষ্কর। তাই ধারনা করা হয় প্ল্যানেট এক্স গ্রহটি এখনো আবিষ্কৃত হয় নি যদিও তা বিদ্যমান আছে।প্লুটোর আকার ও অস্ট্রেলিয়ার আকারের তুলনা

 

প্লুটো ২৪৮ বছরে একবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। এর কক্ষপথের বৈশিষ্ট অন্যান্য গ্রহের তুলনায় যথেষ্ট পৃথক। প্লুটো ব্যাতীত অন্য আটটি গ্রহ সূর্যকে একই সমতলে থেকে প্রদক্ষিণ করে, অপরদিকে প্লুটো অন্য গ্রহগুলোর ব্যতিক্রম হিসেবে এই সমতলের সাথে ১৭ ডিগ্রি কোণ করে সুর্যকে প্রদক্ষিণ করে। তাছাড়া অন্যান্য গ্রহগুলোর কক্ষপথ প্রায় গোলাকার, আর প্লুটো কক্ষপথ কিছুটা উপবৃত্তাকার। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে প্লুটোর কক্ষপথ নেপচুনের কক্ষ পথের সাথে সাংঘর্ষিক। তবে তারপরও প্লুটো নেপচুনের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় না এর কারণ হচ্ছে প্লুটো এবং নেপচুনের বৃত্তাকার গতি ঐক্যতানে আছে (enharmonic)। নেপচুনের প্রতি দুটি আবর্তনের সাথে সাথে প্লুটোর যথাযথভাবে তিনটি আবর্তন সম্পন্ন করে এবং এভাবেই সারাজীবন চলতে থাকবে যদি এখানে বাহ্যিক কোনো কিছুর প্রভাব না পড়ে।
0 টি ভোট
করেছেন (6,150 পয়েন্ট)
গ্রহ হওয়ার জন্য তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন।
 ১. নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করবে।
 ২. যথেষ্ট গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স যার কারণে এটি গোলাকার হবে
 ৩.নিজস্ব কক্ষপথ থাকবে এবং কক্ষপথের সবচেয়ে প্রভাবশালী বস্তু হতে হবে।

প্লুটোর ক্ষেত্রে ৩ নং বৈশিষ্ট্যের অভাব ছিল।এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ এর সময় নেপচুনের কক্ষপথে প্রবেশ করে।নেপচুন যেহেতু প্লুটোর তুলনায় অনেক বড় এবং প্রভাবশালী,তাই নেপচুনকে রাখা হয় এবং প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে 'বামন গ্রহ' ঘোষণা করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ CNN

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+17 টি ভোট
3 টি উত্তর 877 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
3 টি উত্তর 864 বার দেখা হয়েছে
01 ফেব্রুয়ারি 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,340 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 916 বার দেখা হয়েছে
16 এপ্রিল 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
1 উত্তর 1,442 বার দেখা হয়েছে

10,863 টি প্রশ্ন

18,562 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

860,518 জন সদস্য

30 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 30 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক #ask শরীর রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান প্রযুক্তি সূর্য স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা বাতাস ভয় স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন দাঁত ভাইরাস আকাশ গতি কান্না বিড়াল আম
...