মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
17,544 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।কারণ:

  • শ্বসন কাজের জন্য বিভিন্ন এনজাইম ও কো-এনজাইম মাইটোকন্ড্রিয়া থেকে পাওয়া যায়।
  • গ্লাইকোলাইসিস ছাড়াও শ্বসনের সবকটি বিক্রিয়া (যথা- ক্রেবস চক্র, ইলেকট্রন প্রবাহ ইত্যাদি) মাইটোকন্ড্রিয়ার অভ্যন্তরে সম্পন্ন হয়।
  • মাইটোকন্ড্রিয়া শক্তির নিয়ন্ত্রিত নির্গমন নিশ্চিত করে।
  • মাইটোকন্ড্রিয়াতে ক্রেবসচক্র, ইলেকট্রন প্রবাহ ইত্যাদি ঘটে।

সর্বোপরী শক্তি উৎপন্ন হয় বলে মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।

+1 টি ভোট
করেছেন (93,090 পয়েন্ট)

মাইটোকন্ড্রিয়ায় ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেক্ট্রন ট্ররান্সপোর্ট প্রক্রিয়া প্রভৃতি ঘটে থাকে এবং শক্তি উৎপন্ন হয়। মাইটকন্ড্রিয়া শ্বসনের প্রয়োজনীয় এনজাইম, কো-এনজাইম প্রভৃতি ধারণ করে (মাইটকন্ড্রিয়ায় প্রায় ১০০ রকমের এনজাইম ও কো-এনজাইম রয়েছে) । স্নেহ বিপাকেও সাহায্য করে।

যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জীবকোষস্থ জটিল জৈবযৌগ জারিত হয়, ফলে জৈবজৌগে সঞ্চিত স্থিতিশক্তি রূপান্তরিত হয়ে রাসায়নিক গতিশক্তিতে পরিণত হয়, তাকে শ্বসন বলে। অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে শ্বসন প্রক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-

১। সবাত শ্বসনঃ যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এবং শ্বসনিক বস্তু সম্পূর্ণভাবে জারিত হয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড, পানি ও বিপুল পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন করে তাকে সবাত শ্বসন বলে।

২। অবাত শ্বসনঃ যে শ্বসন প্রক্রিয়ায় মুক্ত অক্সিজেন প্রয়োজন হয় না তাকে অবাত শ্বসন বলে।

সবাত শ্বসন প্রক্রিয়াকে তিন পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথাঃ ১) গ্লাইক্লোলাইসিস, ২) ক্রেবস চক্র এবং ৩) ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম ।

গ্লাইকোলাইসিস সবাত ও অবাত উভয় প্রকার শ্বসনেরই প্রথম পর্যায় । গ্লাইকোলাইসিসের বিক্রিয়াগুলো কোষের সাইটোপ্লাজমে ঘটে।

বাকি দুইটি পর্যায় ক্রেবস চক্র এবং ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম মাইটোকন্ড্রিয়ায় ঘটে । মাইটোকন্ড্রিয়ায় শ্বসনের বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় সম্পন্ন হয় বলে মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।

©️quora

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
ইউক্যারোওটিক কোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়ানো দিস্তরী পর্দাবেষ্টিত গোলাকার, ডিম্বাকার, দন্ডাকার, সূত্রাকার বা তারকাকৃতি যেসব অঙ্গাণু কোষের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়, তাদের মাইটোকন্ডিয়া বলে। এ অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রভৃতি ঘটে থাকে। এটি কোষের যাবতীয় জৈবিক কাজ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় শক্তির একমাত্র উৎস, এজন্য মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউস বলা হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (54,270 পয়েন্ট)
মাইটোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তিঘর বলা হয়।

ইউক্যারোওটিক কোষের সাইটোপ্লাজমে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়ানো দিস্তরী পর্দাবেষ্টিত গোলাকার, ডিম্বাকার, দন্ডাকার, সূত্রাকার বা তারকাকৃতি যেসব অঙ্গাণু কোষের প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন হয়, তাদের মাইটোকন্ডিয়া বলে । এ অঙ্গাণুতে ক্রেবস চক্র, ফ্যাটি এসিড চক্র, ইলেকট্রন ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম প্রভৃতি ঘটে থাকে । এটি কোষের যাবতীয় জৈবিক কাজ সম্পাদনের প্রয়োজনীয় শক্তির একমাত্র উৎস, এজন্য মাইটোকন্ডিয়াকে কোষের শক্তিঘর বা পাওয়ার হাউস বলা হয় ।
0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
মাইটোকন্ড্রিয়া কে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয় কারন:

মাইটোকন্ড্রিয়া কে কোষের জৈবনিক কার্যাবলী সম্পাদন হয়। আমরা জানি,শ্বসন প্রক্রিয়ার ধাপ ৪ টি যথা: গ্লাইকোলাইসিস,আসিটাইল কো এ, ক্রেবস চক্র, এবং ইলেকট্রন ট্যান্সপোট সিস্টেম। শ্বসন এর প্রথম ধাপ ছাড়া বাকি ধাপ মাইটোকন্ড্রিয়া তে সংগঠিত হয়। ফলে অধিক শক্তি উৎপন্ন হয়। একারনে মাইটোকন্ড্রিয়া কে কোষের পাওয়ার হাউস বলা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 228 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 7,341 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 13,427 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 126 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 3,784 বার দেখা হয়েছে
30 সেপ্টেম্বর 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন NAYEM MOLLAH (1,540 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,477 জন সদস্য

50 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 46 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. AnnelieseGuy

    100 পয়েন্ট

  4. AmbroseFlinn

    100 পয়েন্ট

  5. MariaMansour

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...