ঘুমে স্বপ্ন দেখার পর সকালে ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে কি স্বপ্ন দেখেছিলাম সেটা ভুলে যাই কেনো ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+17 টি ভোট
3,040 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (15,760 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+7 টি ভোট
করেছেন (15,760 পয়েন্ট)

যখন আমরা ঘুমাই, তখন আমাদের মস্তিষ্ক চারটি ভিন্ন ভিন্ন ধরনের মানসিক অবস্থার মধ্য দিয়ে যায়। চূড়ান্ত পর্যায়টির নাম হলো র‌্যাপিড আই মুভমেন্ট বা আরইএম। এই পর্যায়ে ঘুমের সময় একজন ব্যক্তির চোখের পাতা দ্রুত কাঁপতে থাকে। এ সময় হৃদপিণ্ডের গতি ধীর হয় আসে এবং মানুষের শরীর আটোনিয়া নামের একটি অবস্থায় চলে যায়। এ সময় মানবদেহ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় চলে যায় এবং বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করা যায় না।

ঠিক এই পরিস্থিতিতে স্বপ্ন দেখার ক্ষেত্রে মানব মস্তিষ্কের দুটি রাসায়নিক পদার্থ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলো হলো—এসিটোকোলিন ও নোরাপিনাফ্রিন। এসিটোকোলিনের উৎপাদন যত বাড়ে, মস্তিষ্কের কর্মতৎপরতা তত বেড়ে যায়। স্বপ্নের বিষয়বস্তু একজনের কাছে কতটা স্পষ্ট হবে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করে এসিটোকোলিন। আবার নোরাপিনাফ্রিন সতর্কতা ও মানসিক চাপের মাত্রা নির্ধারণ করে। এসিটোকোলিনের উৎপাদন যত বাড়ে, নোরাপিনাফ্রিনের পরিমাণ কমতে থাকে। নোরাপিনাফ্রিনের পরিমাণ কমতে থাকলে আমাদের স্বপ্নগুলো মনে রাখার সক্ষমতাও কমতে থাকে।

যখন আমরা হুট করে ঘুমিয়ে পড়ি বা অ্যালার্মের শব্দে লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠি, তখন এই দুই রাসায়নিকের পরিমাণ সামান্য পরিমাণে বেড়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের স্বপ্ন মনে রাখার সম্ভাবনা আরও কমে যায়। আবার অনেক সময় আমাদের মস্তিষ্ক সেই সব স্বপ্নই মনে রাখে না, যেগুলো যথেষ্ট উত্তেজনাকর নয়।

হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের স্লিপ রিসার্চার রবার্ট স্টিকগোল্ড বিবিসিকে বলেন, ‘যখন আমরা প্রথমবার ঘুম থেকে উঠি, তখন স্বপ্নগুলো অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় থাকে। এই পরিস্থিতি কেন সৃষ্টি হয়, তার সঠিক ব্যাখ্যা এখনো জানা যায়নি। যদি কেউ লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে দিনের কাজ শুরু করে দেন, তবে তার পক্ষে স্বপ্ন মনে রাখা সম্ভব হবে না।

0 টি ভোট
করেছেন (320 পয়েন্ট)
মানুষের ঘুমের ৪ টি স্তর আছে। প্রথম স্তর খুবই হালকা হয়। পরের স্তরগুলোতে ঘুম গাঢ় হতে থাকে।
আমরা স্বপ্ন দেখি ঘুমের REM পর্যায়ে ।সাধারণত ঘুমানোর ৯০ মিনিট পর REM পর্যায় হয়।প্রথমদিকে REMপর্যায়  ১০ মিনিট থাকে, পরে প্রতিটি পর্যায়ে বাড়তে থাকে।এ সময় ঘুম বেশি হওয়ার কারণে স্বপ্ন এ পর্যায়ে দেখে থাকে।এই পর্যায়টি চলার সময় আমাদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের যেখানে মেমোরি বা স্মৃতি জমা হয় , সেটা কিছুটা হলেও অকর্মক্ষম থাকে ওই সময় ।
ফলে REM এ যা ঘটে , তার অনেকটাই জমা হয় না এবং আমরা ভুলে যাই ।
শেষ স্তরে মানুষের ঘুম আবার হালকা হতে থাকে এবং তখন ঘুম ভেঙে গেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় সাথে স্বপ্নও মনে থাকে।কিন্তু যদি ঘুম ঠিক মত না হয়, ১ম বা ২য় স্তরেই ভেঙে যায় তবে স্বপ্ন আর মনে থাকে না, শরীরের ক্লান্তিও কাটে না।

সাধারণত যাদের ঘুম ঠিকমত হয় না বা ঘুমের সমস্যা আছে, তারাই স্বপ্ন মনে রাখতে পারে না।
0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
তা্ই বার বার একোই স্বপ্নে মাধ্যমে স্বপ্নের বিষয় টি মিমাংশা করার ইঙ্গিত দেয়া হয়। আবার কেউ কেউ যখন খারাপ সময় পার করে তখন দেখা যায় সে ঐ বিষয় নিয়েই বারবার স্বপ্ন দেখছে। কারন কোনো গুরুত্বপূর্ন ঘটনা ঘটার পর তার রেশ মস্তিষ্কে ৭ দিন পর্যন্ত থাকে। তাই ঐ একোই কাহিনীর বারবার পুনরাবৃত্তি ঘটে।
0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন দেখেন না, এমন মানুষ বোধহয় পৃথিবীতে নেই! মনোবিদদের মতে, আমাদের অবচেতনের ভাবনা-চিন্তা, ভয় বা ইচ্ছার প্রতিফলন হল এই স্বপ্ন। তবে এই স্পপ্ন সম্পর্কে অন্যান্য বিশ্বাসও রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস আর জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, প্রত্যেক স্বপ্নের মধ্যেই কোনও না কোনও অর্থ লুকিয়ে রয়েছে

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 311 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 474 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
4 টি উত্তর 4,277 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 874 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,461 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

268,169 জন সদস্য

53 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 50 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  2. Eyasin

    110 পয়েন্ট

  3. DrusillaCouv

    100 পয়েন্ট

  4. JoseHarwood

    100 পয়েন্ট

  5. ee88courses

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...