ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী এবং কোথায় ব্যবহার হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
946 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হ’ল কম্পিউটার সিমুলেশন দ্বারা নির্মিত ত্রি-মাত্রিক পরিবেশ যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব এবং বাস্তব বলে মনে হয়। একে সিমুলেটেড এনভায়রনমেন্টও বলা হয়। কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং সিমুলেশন প্রয়োগের ক্ষেত্রে, কৃত্রিম পরিবেশগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয় যা ব্যবহারকারীর কাছে বাস্তব এবং বাস্তব বলে মনে হয়। ১৯৬২ সালে, মর্টন এল হেলগি তার সেন্সোরামা স্টিমুলেটর নামক যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটির আত্নপ্রকাশ করেন।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বাস্তব অনুভব করার জন্য বিভিন্ন ধরণের তথ্য বিনিময় ডিভাইস ব্যবহার করে। যেমন-
> মাথায় হেড মাউন্টেড ডিসপ্লে
> হাতে একটি ডেটা গ্লোভ
> শরীরে একটি পূর্ণাঙ্গ বডি স্যুট

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার:

> জটিল বৈজ্ঞানিক বিষয় গবেষণা, গবেষণা ফলাফল বিশ্লেষণ এবং উপস্থাপনা। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার এবং শিল্প প্রক্রিয়াগুলির সিমুলেশনগুলিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে।
> কোনও পণ্য উত্পাদনের আগে পণ্যের গুণমান ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে পরীক্ষা করা যেতে পারে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ভোক্তার কাছে পণ্য এবং অন্যান্য সুবিধা উপস্থাপন করা সহজ করে তোলে। এছাড়া ব্যবসায়িক কর্মচারীদের প্রশিক্ষণও প্রদান।
> শিক্ষা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অনেক প্রভাব রয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার জটিল বিষয়গুলো সহজে উপস্থাপন এবং পাঠদানের বিষয়টি সহজে চিত্তাকর্ষক ও হৃদয়গ্রাহী করা যায়।
> ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে, গাড়ি চালনার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সত্যিকারের ধারণা পাওয়া যেতে পারে। ফলস্বরূপ, প্রশিক্ষণার্থীরা দ্রুত গাড়ি চালানো শিখতে সক্ষম হয়। এক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণও হ্রাস পাচ্ছে।
> ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রয়োগ করে সেনাবাহিনীতে অস্ত্র চালনা এবং আধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের ব্যবহারে কম সময়ে নিখুঁতভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করা যায়।
> ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিমান বাহিনীতে বিমান প্রশিক্ষণ এবং প্যারাসুট প্রশিক্ষণ প্রদান করতে ব্যবহার করা যায়।
> নৌবাহিনীতে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ এবং ডুবোজাহাজ চালনা প্রশিক্ষণে ব্যপকভাবে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করা হয়।
> ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মাধ্যমে জ্যোতির্বিদ্যার শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষকরা সৌরজগতে গ্রহ বা গ্রহাণুগুলির অবস্থান, কাঠামো এবং চলাচল, গ্রহের মাঝখানে বিভিন্ন বস্তু বা জীবন উপস্থিতি ইত্যাদি সম্পর্কে সহজেই ধারণা অর্জন করতে পারেন ।

Grathor

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

VR বা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হচ্ছে কম্পিউটার দিয়ে তৈরি করা এমন এক জগৎ, যা বাস্তবের মত মনে হয়। ভিআর হেডসেট পরলে আমরা এক ধরনের সিমুলেশন বা কৃত্রিম জগতে চলে যাই, যা আমাদের চারিপাশের পরিবেশের তুলনায় একদমই আলাদা। ভিআর এর মাধ্যমে ইউজাররা কৃত্রিমভাবে কোনো কিছু দেখা, শোনা, স্পর্শ করা থেকে শুরু করে অনেকসময় স্বাদ গ্রহণের অনুভূতিও পেয়ে থাকেন।

ভিআর ব্যবহার করার অভিজ্ঞতা থাকলেও কীভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করে, তা অনেকেই জানেন না। এই লেখায় আমরা ভিআর প্রযুক্তি নিয়ে প্রাথমিক কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করবো। একই সঙ্গে ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে কীভাবে বাস্তব জগতের অভিজ্ঞতা লাভ করা হয়, সেটাও বোঝার চেষ্টা করবো।

ভার্চুয়াল রিয়ালিটির প্রাথমিক কাজ হলো দৃশ্য তৈরি করা। প্রতিটা ভিআর হেডসেট তৈরির উদ্দেশ্যই হলো, যতটা সম্ভব বাস্তবের মতো দৃশ্য তৈরি করা। এজন্য হেডসেটে একটা বা কখনো কখনো দুই চোখের জন্যে দুইটা আলাদা স্ক্রিন থাকে। ভিআর হেডসেট পরে থাকলে বাইরের কোনো কিছু দেখা যায় না। স্ক্রিন আর চোখের মাঝখানে থাকে দুইটা অটোফোকাস লেন্স। এই লেন্সের কাজ হচ্ছে চোখের নড়াচড়া ও পজিশন অনুযায়ী স্ক্রিনের সাথে ফোকাস করা। ভিআর হেডসেট সাধারণত মোবাইল ফোন দিয়ে কানেক্ট করা যায়। এছাড়া চাইলে এইচডিএমআই ক্যাবল দিয়ে পিসির সাথেও কানেক্ট করা যায়।

ভিআর হেডসেটের মাধ্যমে ছবি বাস্তবের মতো দেখা যাবে কি না, তা নির্ভর করে কয়েকটা বিষয়ের ওপর। ফ্রেমরেট, রিফ্রেশ রেট এবং ফিল্ড অফ ভিউ হলো তেমনই কিছু বিষয়। জিপিইউ (গ্রাফিক্যাল প্রসেসিং ইউনিট) প্রতি সেকেন্ডে কী পরিমাণ ইমেজ বা ছবি প্রসেস করতে পারে তার পরিমাপকেই বলা হয় ফ্রেমরেট। আবার ভিআর-এ ছবি কতটুকু ঝকঝকে দেখাবে, সেটা নির্ভর করে রিফ্রেশ রেটের ওপর। আর দর্শকের চোখ এবং মাথার নড়চড়ার সাথে ডিসপ্লে কতটুকু জায়গা জুড়ে দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা দিতে পারবে, সেটার পরিমাপকে বলা হয় ফিল্ড অফ ভিউ বা এফওভি।

ফ্রেমরেট এবং রিফ্রেশ রেট যদি ন্যূনতম ৬০ fps (ফ্রেম পার সেকেন্ড) হয় আর ফিল্ড অফ ভিউ যদি ন্যূনতম ১০০ ডিগ্রি থাকে, তাহলে ভিআর বাস্তবের মতোই দেখা যায়। তবে ফিল্ড অফ ভিউ ১৮০ ডিগ্রি কোণে সেট করা সম্ভব হলেই ব্যবহারকারী সবচেয়ে ভালো অভিজ্ঞতা লাভ করেন। সাধারণত রিফ্রেশ রেটের চাইতে ফ্রেমরেট বেশি হলে দৃশ্যের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায়। এজন্যে ফ্রেমরেটকে মনিটরের রিফ্রেশ রেটের মধ্যে রাখা হয়। ফ্রেমরেট আর রিফ্রেশ রেটের মধ্যে সমন্বয় আনার পদ্ধতিকে বলা হয় ভার্টিকাল সিংক বা ভিসিংক।

যেসব প্রতিষ্ঠান ভিআর ডিভাইস তৈরি করে, তারা ফ্রেমরেট আর রিফ্রেশ রেটের মধ্যে মিল রাখার ব্যাপারটা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। কারণ, এই দুইটা বিষয়ের মধ্যে মিল না থাকলে কাঙ্ক্ষিত দৃশ্য স্বচ্ছন্দে দেখা যায় না। এই ধরনের অসংলগ্নতাকে সাইবার সিকনেসও বলা হয়। আবার যখন কোনো কাজ বা অ্যাকশন ঘটে আর যখন সেটা স্ক্রিনে দেখা যায়, এই দুইয়ের মধ্যবর্তী সময়টাকে ল্যাটেন্সি বা অসামঞ্জস্য বলা হয়। মানুষের চোখ কমপক্ষে ২০ মিলি সেকেন্ডের মধ্যে দুইটা ফ্রেম দেখলেই মস্তিষ্কের মধ্যে থাকা গ্যাপ বা অসামঞ্জস্য বুঝতে পারে না। অর্থাৎ ফ্রেমরেট, রিফ্রেশ রেট আর ফিল্ড অফ ভিউয়ের মধ্যে কোনো একটা যদি ঠিকঠাক কাজ না করে, তাহলে দেখার সময় ল্যাটেন্সি তৈরি হয়।

ভিআর প্রযুক্তিতে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ :

ব্যবহারকারীদের বাস্তব আর প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতা দিতে ইমেজিং-এর পাশাপাশি ভিআর সিস্টেমে আরো বেশ কিছু বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। যেমন: 

• সাউন্ডের ব্যবহার :

দৃশ্যের সাথে শব্দ জুড়ে দেয়া হলে ইউজাররা আরো বাস্তব অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন। তাই ভিআর প্রযুক্তিতে হেডফোনের মাধ্যমে থ্রিডি সাউন্ড এফেক্ট ব্যবহার করা হয়। তবে ভিআরের মাধ্যমে ইউজার যা দেখতে চান, সেটার সঙ্গে সাউন্ডের সামঞ্জস্য থাকাটাও জরুরি। যেমন, রূপকথা নিয়ে বানানো কোনো ভিডিওতে হরর মিউজিক ব্যবহার করা হলে দর্শকের কাছে তা ভালো না লাগারই কথা।

• চোখ আর মাথার নড়াচড়া ট্র্যাকিং করা :

চোখ আর মাথার নড়াচড়া ট্র্যাক করার জন্য লেজার পয়েন্টার, এলইডি লাইট বা মোবাইল সেন্সর ব্যবহার করা হয়। মোবাইলের মাধ্যমে ভিআর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্রিমাত্রিক মুভমেন্ট নির্ণয় করার জন্যে এক্সেলেরোমিটার ব্যবহার করা হয়। আবার কৌণিক মুভমেন্ট নির্ণয় করার জন্য ব্যবহার করা হয় জাইরোস্কোপ। এছাড়াও ভূমির সাথে পজিশনিং বোঝার জন্যে ব্যবহার করা হয় ম্যাগনেটোমিটার। 

ভিআর-এর মাধ্যমে আরও নিখুঁত অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য যে ঘরে ভিআর হেডসেট ব্যবহার করা হবে, সেই ঘরে ক্যামেরা আর সেন্সর স্থায়ীভাবে ইন্সটল করতে হয়। তবে এই ধরনের সেটআপ তৈরি করতে খরচও অনেক বেশি পড়ে যায়। সামগ্রিকভাবে বলা যায়, ভিআর শিল্পের বাজার অনেক দ্রুতগতিতে বাড়ছে। চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী ভিআর ডিভাইসের মোট বাজারমূল্য প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪ সালের মধ্যেই এর বাজারমূল্য বেড়ে ১২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। গ্রাহক এবং নির্মাতা থেকে শুরু করে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি ভিত্তিক গেমিং শিল্পও ভিআর শিল্পের এই উন্নতির মাধ্যমে লাভবান হবেন।

তথ্যসূত্র : City Touch

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 706 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 333 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 460 বার দেখা হয়েছে
27 ফেব্রুয়ারি 2021 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 527 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,780 জন সদস্য

32 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 31 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MikkiHardee

    100 পয়েন্ট

  2. VirgieSingle

    100 পয়েন্ট

  3. ThorstenKise

    100 পয়েন্ট

  4. KourtneyZ69

    100 পয়েন্ট

  5. BillHines712

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...