আমরা কোনো কিছু ভুলে যাই কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
1,206 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (10,470 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (20,400 পয়েন্ট)
মস্তিষ্কে তথ্য ধারণ করে রাখার প্রক্রিয়া কিংবা মস্তিষ্কে ধারণকৃত তথ্যকে স্মৃতি বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে তথ্য আহরণ করে মস্তিষ্কে জমা করা হয় এবং দরকার অনুযায়ী সেই তথ্য আবার ভান্ডার থেকে খুঁজে নিয়ে আসা হয়। জমাকৃত তথ্য হারিয়ে গেলে কিংবা সময়মত খুঁজে পাওয়া না গেলে তা দূর্বল স্মৃতিশক্তির লক্ষণ। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে স্মৃতি-দৌর্বল্য দেখা দেয়।
আমাদের মাথার মধ্যে নিউরন হলো সব ধরনের স্মৃতির  এক ভাঁড়ার-ঘর। যেভাবেই হোক এই নিউরন যদি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে স্মৃতি লোপ পায়। মাথার মধ্যে এই নিউরনের কাজ হল সময় যা কিছু ঘটে চলেছে তার হিসেব রাখা। তাই যদি কখনো নিউরন কোন ঝামেলার মধ্যে পড়ে তাহলে তাদের জমার হিসাব ভন্ডুল হয়ে গিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ঘটায়।  
 
 বয়স বাড়লে অথবা অনেক সময় এমনি এমনিই আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি। কিন্তু এই ভুলে যাওয়াই কখনও কখনও গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ বলে।কোন বড় দুর্ঘটনায় কবলে পড়লে বা খুব খারাপ কোনো খবর শুনলে অনেক সময় মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায় এরকম অবস্থায় পড়লে মানুষ তার অতীতের সব কিছু ভুলে যায় এমনকি বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন কাউকেই আর চিনতে পারে না। এমনকি নিজেদের নাম পর্যন্ত বেমালুম ভুলে যায়। নানা কারণে স্মৃতিভ্রংশ রোগ হতে পারে।  যেমন: অ্যালজাইমার ডিজিজ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি। গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়ী। স্মৃতিভ্রংশ রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে।
 
অনেক কারণেই স্মৃতি লোপ পেতে পারে যেমন মাথায় চোট লাগা ওষুধপত্রের কুফল, মাথায় সার্জারি , মনের মধ্যে দারুণ টানাপোড়েন ,  খুব বুড়ো হয়ে পড়া , খুব বেশি রকম নেশা করা এই রকম অনেক কারণ এর ফলে স্মৃতি লোপ পেতে পারে। স্মৃতি লোপ পেলে ঘটনাটা ঘটার আগে বা পরে সবকিছুই একদম মুছে যায় এরকম অবস্থা একদিন, সপ্তাহ , মাস বা  বছর ধরে থাকতে পারে । আবার কখনো কখনো পুরনো স্মৃতি যদি ফিরে আসে তাহলে আবার স্মৃতিভ্রংশ অবস্থায় যা ঘটেছে তার আর কিছুই মনে পড়বে না। তবে এটাও ঠিক যে স্মৃতিভ্রংশ একবার ঘটলে কিছু কিছু ফল থেকেই যায়। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে তাই এরকম স্মৃতিভ্রংশ অবস্থা যদি কখনো ঘটে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিত। বুড়ো হলে অবশ্য স্মৃতিশক্তি একটু আলগা হয়ে আসে। 
মস্তিষ্কে তথ্য ধারণ করে রাখার প্রক্রিয়া কিংবা মস্তিষ্কে ধারণকৃত তথ্যকে স্মৃতি বলে। এই প্রক্রিয়ায় প্রথমে তথ্য আহরণ করে মস্তিষ্কে জমা করা হয় এবং দরকার অনুযায়ী সেই তথ্য আবার ভান্ডার থেকে খুঁজে নিয়ে আসা হয়। জমাকৃত তথ্য হারিয়ে গেলে কিংবা সময়মত খুঁজে পাওয়া না গেলে তা দূর্বল স্মৃতিশক্তির লক্ষণ। অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে স্মৃতি-দৌর্বল্য দেখা দেয়।
আমাদের মাথার মধ্যে নিউরন হলো সব ধরনের স্মৃতির  এক ভাঁড়ার-ঘর। যেভাবেই হোক এই নিউরন যদি রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে স্মৃতি লোপ পায়। মাথার মধ্যে এই নিউরনের কাজ হল সময় যা কিছু ঘটে চলেছে তার হিসেব রাখা। তাই যদি কখনো নিউরন কোন ঝামেলার মধ্যে পড়ে তাহলে তাদের জমার হিসাব ভন্ডুল হয়ে গিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ঘটায়।  
 
 বয়স বাড়লে অথবা অনেক সময় এমনি এমনিই আমরা অনেক কিছুই ভুলে যেতে থাকি। কিন্তু এই ভুলে যাওয়াই কখনও কখনও গুরুতর আকার ধারণ করে এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তখন একে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ বলে।কোন বড় দুর্ঘটনায় কবলে পড়লে বা খুব খারাপ কোনো খবর শুনলে অনেক সময় মানুষের স্মৃতিশক্তি লোপ পায় এরকম অবস্থায় পড়লে মানুষ তার অতীতের সব কিছু ভুলে যায় এমনকি বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন কাউকেই আর চিনতে পারে না। এমনকি নিজেদের নাম পর্যন্ত বেমালুম ভুলে যায়। নানা কারণে স্মৃতিভ্রংশ রোগ হতে পারে।  যেমন: অ্যালজাইমার ডিজিজ, থাইরয়েড ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি, মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে বাধা ইত্যাদি। গবেষণা বলছে, আমাদের খাদ্যাভ্যাসও এর জন্য কিছুটা দায়ী। স্মৃতিভ্রংশ রোধে খাদ্যাভ্যাস বেশ ভালো সুফল আনে।
 
অনেক কারণেই স্মৃতি লোপ পেতে পারে যেমন মাথায় চোট লাগা ওষুধপত্রের কুফল, মাথায় সার্জারি , মনের মধ্যে দারুণ টানাপোড়েন ,  খুব বুড়ো হয়ে পড়া , খুব বেশি রকম নেশা করা এই রকম অনেক কারণ এর ফলে স্মৃতি লোপ পেতে পারে। স্মৃতি লোপ পেলে ঘটনাটা ঘটার আগে বা পরে সবকিছুই একদম মুছে যায় এরকম অবস্থা একদিন, সপ্তাহ , মাস বা  বছর ধরে থাকতে পারে । আবার কখনো কখনো পুরনো স্মৃতি যদি ফিরে আসে তাহলে আবার স্মৃতিভ্রংশ অবস্থায় যা ঘটেছে তার আর কিছুই মনে পড়বে না। তবে এটাও ঠিক যে স্মৃতিভ্রংশ একবার ঘটলে কিছু কিছু ফল থেকেই যায়। স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে তাই এরকম স্মৃতিভ্রংশ অবস্থা যদি কখনো ঘটে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখানো উচিত। বুড়ো হলে অবশ্য স্মৃতিশক্তি একটু আলগা হয়ে আসে। 
©খোশ খবর
+5 টি ভোট
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
কোনো তথ্য ভুলে যাওয়ার খুব সাধারণ একটা কারণ হল, সে তথ্যটি অনেকদিন ব্যবহার না করা। যেমন, কোন ঘটনা চলাকালীন সময়ে বা ঘটনা ঘটার পর পর সে সম্পর্কে অনেক সূক্ষ্ম জিনিসও আমাদের মনে থাকে। কিন্ত যদি সেই তথ্যগুলো আমাদের পরবর্তীতে প্রয়োজন না হয়, যদি সে তথ্যগুলো আমরা অনেকদিন কাজে না লাগাই, তবে তার অনেক কিছুই আমরা ভুলে যাই। স্কুলের যেসব বন্ধুদের সাথে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হয় না, তাদের নাম ভুলে যাওয়ার এটি একটি কারণ।

বেশ কিছু কারণে আমরা কোন কিছু ভুলে যেতে পারি। যেমন -

ঘুম কম হওয়া

পরিপূর্ণ ঘুম সব সময় মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে। যদি ঘুমের কমতি হয় অথবা ইনসোমনিয়ার সমস্যা হয় তখন ভুলে যাওয়ার সমস্যা বেড়ে যায়। স্মৃতি ধরে রাখতে ব্যক্তির অন্তত ৭/৮ ঘণ্টা নিদ্রা  ঘুম হওয়া জরুরি।

অতিরিক্ত চিন্তা

প্রতি মুহূর্তে চিন্তা যখন পিছু ছাড়ে না তখন চাইলেও সবকিছু মনে রাখা সম্ভব হয় না। একের পর এক চিন্তা করে নতুন কিছু একদম না শিখলে চিন্তাই মস্তিষ্কে স্থায়ী জায়গা করে নেয়। আর এ কারণে স্বাভাবিক বা দরকারি কোনো কথাও মনে থাকতে চায় না।

সারা দিন বসে থাকা

সপ্তাহে ১৫০ মিনিটের ব্যায়াম ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। আমাদের বেশিরভাগ কাজই সারা দিন বসে করতে হয়। আর এ জন্য হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাসও একদম কমে যায়। সারা দিন এক জায়গায় বসে কাজ করলে ব্যায়ামের সময় কমে যায়, ফলে ঘুম কম হয়। আর তথ্যও সহজে মুছে যায় মস্তিষ্ক থেকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্তি

বর্তমানে অনেকেই ইন্সটাগ্রাম, ফেইসবুক, পিন্টারেস্টসহ সামাজিক নানা যোগাযোগ মাধ্যমে অতিরিক্ত আসক্ত। পোস্ট করা, কমেন্ট করা, ছবি আপ দেওয়া সবকিছুতেই সবার বাড়তি আগ্রহ কাজ করে। বারবার এসব নিয়ে ভাবলে মস্তিষ্কেও চাপ তৈরি হয়। একসঙ্গে দুটি বা তিনটি কাজ করার চাপ নেওয়া যায়। কিন্তু সেখানে একই সময়ে ৮-১০ ধরনের কাজ করলে কখনোই সব কিছু মনে রাখা সম্ভব না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+22 টি ভোট
1 উত্তর 600 বার দেখা হয়েছে
12 অক্টোবর 2020 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন HABA Audrita Roy (105,570 পয়েন্ট)
+6 টি ভোট
1 উত্তর 1,031 বার দেখা হয়েছে

10,845 টি প্রশ্ন

18,545 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

847,251 জন সদস্য

63 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 63 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. M_H_Mueez

    120 পয়েন্ট

  3. 998winnercom

    100 পয়েন্ট

  4. b8cpro

    100 পয়েন্ট

  5. v9bet9me

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...