মানুষের হাঁচি আসে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
673 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,340 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (65,620 পয়েন্ট)
আমাদের নাকে কোনরকম সংবেদন সৃষ্টি হলেই আমাদের হাঁচি আসে।নাকের অভ্যন্তরে অবস্থিত চুল ঝাঁটার মত কাজ করে। আমরা যখন নাক দিয়ে বাতাস গ্রহন করি তখন নাকের চুলগুলি ধুলিকণা, ফুলের রেণু, ধাতব কণা ইত্যাদি পদার্থকে আটকে দেয় এবং সাথে ধরে রাখে।

নাকের চুল পার হয়ে যখন কোনো অস্বস্তিকর ধূলা, ফুলের রেণু, ঝালের গুড়া বা অন্য কোন উপাদান নাকের ভেতরে প্রবেশ করে তখন আমাদের হাচি হয়। ঝাঁঝাঁলো বা কড়া গন্ধ থেকেও হাঁচি হতে পারে।
+3 টি ভোট
করেছেন (110,320 পয়েন্ট)

বিজ্ঞানীরা আমাদের মস্তিষ্কের ব্রেনস্টেমের নির্দিষ্ট অংশকে ‘হাঁচি কেন্দ্র’ বলে নামকরণ করেছেন। যখন আপনার নাকের ভেতরে সুড়সুড়ি লাগে, তখন একটি বার্তা আপনার ব্রেনের এই হাঁচি কেন্দ্রে পৌঁছে যায়। এই হাঁচি কেন্দ্র তখন সাথে সাথে আরেকটি বার্তা সেই সকল দেহ পেশীকে প্রেরণ করে, যারা কিনা একত্রে মিলিত হয়ে একটি অসাধারণ জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে, যাকে আমরা হাঁচি বলে থাকি।

হাঁচির কিছু কারণঃ

 

  1. যখন কিছু মানুষ উজ্জ্বল আলোতে যায় তখন তাদের হাঁচি হয়। সেজন্য সূর্যালোক হাঁচির কারণ হতে পারে। আলোর জন্যে হাঁচি দেয়াকে গ্রিক ভাষায় বলে “ফোটিক্সস্নিজইং”। 
  2. ভ্রু তোলার সময় অনেক মানুষের হাঁচি হয়।
  3. ব্যয়াম করলে হাঁচি হয়। ব্যয়াম শেষে আমরা হাঁপিয়ে গিয়ে দ্রুত শ্বাস নিই।  
  4. সবচেয়ে সাধারণ কারণ হচ্ছে ঠাণ্ডা লাগা বা ফ্লু এবং অ্যালার্জি। বাতাসে ভাসমান ফুলের পরাগরেণু, লোম, ধূলা-তে অ্যালার্জি হতে পারে। একে “ডাস্টঅ্যালার্জি” বলা হয়।
  5. আমাদের ব্রেনের কোনো রোগের জন্যেও হাঁচি হতে পারে। সাধারণত ব্রেনেরমেডুলা অংশের কোন অস্বাভাবিকতার জন্যে হাঁচি হয়। এক ধরনের মৃগীরোগের ক্ষেত্রে হাঁচিটা দেখা যায়।  
  6. পেট ভরা থাকলে হাঁচি হয়। এটা অবশ্য তেমন একটা চোখে পড়ে না, তবে সত্যিই এমন কিছু ঘটে।
  7. যে কোনো প্রকার গন্ধ নিঃশ্বাসে নেবার জন্যে হাঁচি হতে পারে।
  8. যে কোনো ধরণের নেশা ছেড়ে দেবার প্রাথমিক ফলাফল অর্থাৎ, উইথড্রয়ালসিমট্রম হিসেবে  হাঁচি হতে পারে।
  9. কিছু জিনিসের সূত্রপাত যেমন ধূলা, দূষিত বাতাস, মসলাযুক্ত খাবার, ঝাঁঝালো অনুভূতির জন্য হাঁচি হতে পারে।
  10. কিছু মানুষের খাবারের অ্যালার্জির জন্যে হাঁচি হতে পারে।

 

0 টি ভোট
করেছেন (20,390 পয়েন্ট)
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় হাঁচিকে বলা হয় “Achoo” অথবা “Sternutation”। আর ইংরেজিতে বলা হয় “Sneeze” (স্নীজ্‌) যা ল্যাটিন শব্দ “Sterno” থেকে এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে বিস্তৃত করা, প্রসারিত করা বা ছড়িয়ে দেয়া। হাঁচি একটা বিস্ময়। হাঁচি আসলে মানুষের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। একদম শেষের দিকে কোন দিকে মুখ করে হাঁচি দেবেন এটা শুধু মানুষের নিয়ন্ত্রণে!

আপনি যখন হাঁচি দেন ঘন্টায় প্রায় ১০০ মাইল বেগে নাক দিয়ে বাতাস বেরিয়ে আসে। আর এর সাথে বেরিয়ে আসা জলীয়পদার্থ প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্ব পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। হাঁচির স্প্রের কথা ভুলে গেলে চলবে না – প্রায় ২০০০ থেকে ৫০০০ জীবাণুযুক্ত তরলপদার্থ নাক-মুখ দিয়ে হাঁচির মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। আমাদের দেহের অ্যাবডোমিনাল বা পেটের পেশি, বুকের পেশি, ডায়াফ্র্যাম বা বক্ষ-উদরের মধ্যে উপস্থিত পেশি, স্বরযন্ত্র নিয়ন্ত্রণকারী পেশি এবং কণ্ঠের পেছনের পেশি একটি হাঁচি সম্পন্ন হতে সাহায্য করে থাকে। হাঁচি হওয়ার জন্যে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে। যদি নাক বন্ধ করে হাঁচি দেয়া হয়, তবে তা 176mmHg বায়ু চাপের সমান চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটা আপনার শ্রবণ শক্তিকে এবং চোখকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আপনার হাঁচি আপনি গর্বের সাথে উড়িয়ে দিন। তবে বাতাসে নয়, রুমালে। আর অনেকে বলে থাকেন যে, হাঁচির সময় পাপকিন বা পাইনাপেল বললে হাঁচিটা সহজে বের হয়ে যায়।

হাঁচি কীভাবে হয়?

আমাদের নাকের বাইরের অংশের দিকে লোম থাকে। এটা আসলে এমনি এমনি থাকে না । এই লোম নাকের ভিতরে ধূলোবালি আটকাতে সাহায্য করে। এই লোম পার হয়ে যখন কোনো কিছু নাকের ভিতরে প্রবেশ করে তখন হাঁচি হয়। ঝাঁঝাঁলো বা কড়া গন্ধ থেকেও হাঁচি হতে পারে। আসলে ধূলোজাতীয় কোনো পদার্থ হোক আর কোনো গন্ধই হোক না কেন, আমাদের নাকের ভেতরে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি সৃষ্টি হলেই আমাদের হাঁচি হয়। হাঁচি দেবার সময় আমাদের স্নায়ুতন্ত্র এবং পেশিতন্ত্র উভয়ই একসাথে অতিদ্রুত কাজ করে থাকে।

হাঁচিকে সাধারণত দু’টি পর্বে ভাগ করা যায়।

১. সংবেদনশীল পর্ব

২. বহির্মুখী বা শ্বাস-প্রশ্বাস সংক্রান্ত পর্ব

হাঁচির জন্য দায়ী কোনো উপাদান বা গন্ধ নাকের ভেতরে মিউকোসা অংশে পৌঁছালে সেখানে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি জাতীয় অনুভূতি সৃষ্টির কারণে হিস্টামিন নামক একধরনের পদার্থ নিঃসৃত হয়। যা মিউকোসা স্তরের নিচে ছড়িয়ে থাকা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু কোষকে উত্তেজিত করে। আর এর ফলাফল স্বরূপ একটি সংকেত আমাদের ব্রেনের হাঁচি কেন্দ্রে চলে যায়। ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুটি আমাদের করোটির ১২টি স্নায়ুর মধ্যে ৫ম স্নায়ু যা কিনা আমাদের মুখের চামড়ার নিচে, পাশাপাশি নাকের কোমল মিউকোসা স্তরের নিচে ছড়িয়ে থাকে। আর আমাদের নাকের ভেতরের মিউকোসা স্তরটি আমরা নাকের ভেতরে আঙুল দিলে সেটার অস্তিত্ব টের পেতে পারি। আমাদের নাকের দুইটি ছিদ্রের মাঝে অবস্থিত পাতলা তরুণাস্থির উপরে এই মিউকোসা স্তরটি বিদ্যমান।

নাকের চামড়ার নিচে থাকা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুর অংশগুলো খুবই সংবেদনশীল বা স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। যখন ট্রাইজেমিনাল স্নায়ু উত্তেজিত হয় তখন একটি সংকেত সাথে সাথে ব্রেনের একটি বিশেষ অংশ- মেডুলাতে পৌঁছে যায় এবং মেডুলার পাশে আঘাত করে। এই মেডুলা নামক অংশটিকেই হাঁচি কেন্দ্র বলা হয়।

©

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 406 বার দেখা হয়েছে
29 এপ্রিল 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Annoy Debnath (2,910 পয়েন্ট)
+14 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,935 বার দেখা হয়েছে
+13 টি ভোট
2 টি উত্তর 342 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 164 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 137 বার দেখা হয়েছে
26 নভেম্বর 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন pc21 (140 পয়েন্ট)

10,727 টি প্রশ্ন

18,372 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,569 জন সদস্য

43 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Ahnaf_Tahmid

    330 পয়েন্ট

  3. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  4. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  5. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ তাপমাত্রা রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...