মোশন সিকনেস হয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
5,633 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (11,220 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
সম্পাদিত করেছেন

মোশন সিকনেস হলো মস্তিষ্কের একটি সমস্যা।আমরা যখন জার্নি করি তখন আমাদের শরীরের অন্তঃকর্ণ(যা আমাদের শরীরের গতি আর জড়তার মধ্যে ভারসাম্য রাখে) মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে সে গতিশীল কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা।কারণ চোখে তো দেখি আশেপাশের মানুষ,সিট,বস্তু সবস্থির।এই অন্তঃকর্ণ আর চোখের সমন্বয়হীনতার জন্য মোশন সিকনেস তৈরি হয়।

‘মোশন সিকনেস’ ভ্রমনের একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা। এটি মূলত মস্তিকের এক ধরনের সমস্যা। বিশেষ করে বাস, প্রাইভেটকার বা এ জাতীয় বাহনগুলিতে এ সমস্যা হয়। শরীরের অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো তো স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরি হয় মোশন সিকনেস’। এ কারণে তৈরি হয় বমি বমি ভাব, সেই সাথে মাথা ঘোরা, মাথা ধরা প্রভৃতি।

 মোশন সিকনেস থেকে বাঁচার উপায় : মোশন সিকনেস থেকে বাঁচার উপায় হলো, জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকা। এ সময় লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে হবে, হতে পারে মেডিটেশনও। প্রয়োজন হলে চোখ বন্ধ করে রাখুন। এ সময় বই পড়বেন না বা স্থির কোন কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। আদা চিবাতে পারেন। আদা মোশন সিকনেসে কাজে দেবে। ভ্রমনে যাদের বেশি সমস্যা হয় তারা গাড়িতে ওঠার আধঘন্টা আগে ডমপেরিডন জাতীয় ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। গাড়ির ভেতরে দৃষ্টি নিবদ্ধ না রেখে যত দূর সামনে দৃষ্টি যায়, তাকিয়ে থাকুন। আপনার অন্তঃকর্ণ ও চোখ তখন একই সিগন্যাল পাঠাবে মস্তিষ্কে যে গাড়ি চলছে, আপনিও চলছেন। জানালার কাছে সিট নিন। জানালাটা খুলে দিন। খোলা বাতাসে মন-প্রাণ থাকবে চনমনে। গাড়িতে আড়াআড়ি বা যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না। যাত্রা শুরুর একটু আগে ভরপেট খাবেন না বা পান করবেন না। কিছু ওষুধ যেগুলো বমি বন্ধ করতে পারে যেমন- ওনাসেরন সিনারন, মেক্লাইজিন ক্লোরফেনাইরামিন, অ্যাভোমিন ইত্যাদি ডাক্তারের পরামর্শে সেবন করতে পারেন। আদা, চুন-সুপারি ছাড়া পান কিংবা চুইংগাম চিবানোতেও উপকার পাওয়া যেতে পারে। 

বিডি-প্রতিদিন

+2 টি ভোট
করেছেন (110,340 পয়েন্ট)
মোশন সিকনেস হলো মস্তিষ্কের একটি সমস্যা।আমরা যখন জার্নি করি তখন আমাদের শরীরের অন্তঃকর্ণ(যা আমাদের শরীরের গতি আর জড়তার মধ্যে ভারসাম্য রাখে) মস্তিষ্কে সংকেত পাঠায় যে সে গতিশীল কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা।কারণ চোখে তো দেখি আশেপাশের মানুষ,সিট,বস্তু সবস্থির।এই অন্তঃকর্ণ আর চোখের সমন্বয়হীনতার জন্য  মোশন সিকনেস তৈরি হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
শরীরের অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো তো স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরি হয় মোশন সিকনেস'।
0 টি ভোট
করেছেন (7,950 পয়েন্ট)

গাড়িতে উঠলে এমন বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া অথবা মাথা ঘোরাকে মোশন সিকনেস (motion sickness) বলে। ভ্রমণের আনন্দই মাটি হয়ে যায় মোশন সিকনেসের কারণে, পড়তে হয় বিব্রতকর অবস্থায়। 

বাসে বমি হওয়ার কারণ :

সাধারণত বাস, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসে উঠলে এই ধরনের মোশন সিকনেস হয়। গতি ও জড়তার ফলে মস্তিষ্কে সমন্বয়হীনতার বাহনগুলোতে বমির সমস্যা হতে পারে। অন্তঃকর্ণ আমাদের শরীরের গতি ও জড়তার ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন গাড়িতে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় যে সে গতিশীল। কিন্তু চোখ বলে ভিন্ন কথা। কারণ তার সামনের বা পাশের মানুষগুলো কিংবা গাড়ির সিটগুলো থাকে স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতার ফলে তৈরি হয় মোশন সিকনেস। এছাড়া অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে বমি হতে পারে, অসুস্থতার জন্য বমি হতে পারে, বাজে কোন গন্ধের কারণেও বমি হতে পারে।

যাত্রা পথে বমি থেকে মুক্তির উপায় :

১. নিজস্ব গাড়িতে ভ্রমণ করলে একটানা যাতায়াত না করে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি দিয়ে দিয়ে যাত্রা সম্পন্ন করলে মোশন সিকনেস কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বিরতির সময়ে কিছুক্ষণ খোলা হাওয়া উপভোগ করে আবার যাত্রা শুরু করতে পারেন।

২. চুইংগাম ও আদা মোশন সিকনেস কমাতে সাহায্য করে। যাত্রাকালীন সময়ে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে থাকলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৩. যাত্রার সময় ঘুমানোর অভ্যাস করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যায়। গাড়ির মধ্যে না তাকিয়ে দিগন্তের দিকে তাকালে ভালো। যেদিকে গাড়ি চলছে সেদিক পেছন দিয়ে বসবেন না, এতে বমি ভাব বেশি হয়।

৪. কম ঝাঁকুনির সিটে বসাই উত্তম। বাসে ভ্রমণের সময় সামনের সিটে, জানালার ধারে বসলে আলো-বাতাস পাওয়া যাবে বেশি। ফলে শরীরে আরাম পাওয়া যাবে বেশি।

৫. ভ্রমণের পূর্বে তেল ও মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। যাত্রার সময় মশলা বা তৈলাক্ত খাবার খেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৬. তেলের গন্ধ যাদের সহ্য হয় না, তারা পছন্দের এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য যাত্রীর অবস্থাও বিবেচনায় রাখতে হবে।

৭. যাত্রাকালে পাশের যাত্রীর সাথে কথা না বলা এবং মোবাইল বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এড়িয়ে চলা উচিত। উল্টোমুখী সিটে না বসা এবং যাত্রাকালে বই না পড়াই ভালো।

৮. টক জাতীয় ফল খেলেও বমি ভাব দূর হয়। এছাড়া লেবু পাতার গন্ধ, কমলা লেবুর গন্ধেও বমি ভাব দূর হয়। গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন, মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী। কিন্তু গ্যস্ট্রিকের সমস্যার কারণে বমি হলে লেবু না খাওয়াই ভালো।

৯. আদা বমি রোধের জন্য অনেক উপকারী, আদা হজমে সাহায্য করে। আদা কুঁচি চিবুতে পারেন বমি ভাব দূর হয়ে যাবে। প্রয়োজনে আদা চা খেতে পারেন। এছাড়া যখনই বমি ভাব হবে মুখে এক টুকরা লবঙ্গ দিন এতে বমি ভাব চলে যাবে সাথে মুখের দুর্গন্ধ ও চলে যাবে।

১০. ভ্রমণের আগে হালকা কিছু খেয়ে বাসে উঠুন। কখনই খালি পেটে ভ্রমণ করবেন না । ভ্রমণের আগে ভারী কিছু খাবেন না। যাত্রাপথে বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, এসিডিটি হয় এমন খাবার না খাওয়াই ভলো।

খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বমি নিরোধক ওষুধ খেতে পারেন।

তথ্যসূত্র : গুগলের বিভিন্ন ওয়েবসাইট

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 671 বার দেখা হয়েছে
23 জুন 2023 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rafikul Al Imran (5,390 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 798 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 421 বার দেখা হয়েছে

10,853 টি প্রশ্ন

18,551 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

851,666 জন সদস্য

33 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 29 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. RashedSarwar

    140 পয়েন্ট

  2. Sadia Akter Soa

    120 পয়েন্ট

  3. sicavienchien

    120 পয়েন্ট

  4. clubmy

    120 পয়েন্ট

  5. v9bet1dev

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...