শরীরে মেলানিনের পরিমান কমানো যায় কিভাবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+15 টি ভোট
39,600 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

5 উত্তর

+8 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
Abrar Islam Ador

আমাদের ত্বকে মেলানোসাইট নামের একপ্রকার বিশেষ কোষ রয়েছে। এ কোষগুলো মেলানিন নামের রঞ্জক পদার্থ তৈরি করে। এই মেলানিনই ঠিক করে দেয় আমাদের শরীরের গায়ের রং কেমন হবে। মেলানিনের মাত্রা বা পরিমাণ নির্ভর করে জাতিসত্তা, বংশগতি, সূর্যালোকের উপস্থিতির ওপর। দেহে মেলানিন তৈরি বেড়ে গেলে ত্বকের রং গাঢ় বা কালো হয়ে যায়। যেমনটা ঘটে রোদে পুড়লে। আবার মেলানিন অস্বাভাবিকভাবে কমতে থাকলে বা কমে গেলে দেহের রং ফ্যাকাশে সাদা হয়ে যেতে থাকে। আর যাদের শরীর এমন সাদা হয়ে যায় তাঁদের আমরা শ্বেতী রোগী বলি।

আমাদের দেহের কিছু হরমোনও মেলানিনকে প্রভাবিত করে। মেলানিনের অনুপস্থিতিতে চামড়ায় কোন রঞ্জক পদার্থ থাকে না, ফলে চামড়া সাদা হয়। এটাই অ্যালবিনিজম নামে পরিচিত।

ত্বক থেকে স্থায়ীভাবে মেলানিন কমানোর সব থেকে দ্রুত উপায় হলো লেজার চিকিৎসা। কিন্তু এই ব্যবস্থাটি খুবই ব্যয়বহুল। আপনি লেজার না করালে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আসতে আসতে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান হলুদ, অ্যালোভেরা, টমেটো, শশা, লেবু, আলু ইত্যাদিও ত্বকের মেলানিনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে। মেলানিন ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের কালো ভাবের জন্যও দায়ী এই মেলানিন।

মেলানিনের প্রভাব কমানোর ফলে ত্বক আরো উজ্জল হয়ে ওঠে । তবে আপনাকে ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য কিছু মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং যদি আপনার সেই ধৈর্য থাকে তবেই আপনি উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হতে পারবেন।
+5 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন
ত্বক থেকে স্থায়ীভাবে মেলানিন কমানোর সব থেকে দ্রুত উপায় হলো লেজার চিকিৎসা। কিন্তু এই বিকল্পটি খুবই ব্যয়বহুল ।এর বিকল্প হিসেবে আপনি হয় কিছু ত্বক উজ্জ্বল করার ক্রিম কিনতে পারেন দোকান থেকে অথবা একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন ।প্রাকৃতিক ঘরোয়া প্রতিকার যেমন হলুদ, অ্যালোভেরা ,টমেটো ,শশা ,লেবু ,আলু ইত্যাদিও ত্বকে মেলানিন হ্রাস করতে ব্যবহার করা হয়। মেলানিন ত্বককে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং একই সময়ে এটি ত্বকের কালো ভাবের জন্য দায়ী । মেলানিনের প্রভাব কমানোর ফলে ত্বক আরো উজ্জল হয়ে ওঠে ।তবে আপনাকে ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ হ্রাস করার জন্য কিছু মাস অপেক্ষা করতে হবে এবং যদি আপনার সেই ধৈর্য থাকে তবেই আপনি উজ্জ্বল ত্বকের অধিকারী হবেন।

একজন ত্বক বিশেষজ্ঞই আপনাকে ত্বকে মেলানিনের মাত্রা কমানোর সব থেকে সেরা উপায়টি বলতে পারবেন। আপনার ত্বক পরীক্ষা করার পর বিশেষজ্ঞ আপনাকে কিছু ক্রিম এবং ওষুধ দেবেন যা আপনাকে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করবে ।তাঁরাআপনাকে হাইড্রোঅক্সিন দিতে পারেন ,যা মেলানিন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও হাইড্রনিন-এর দৈনন্দিন ব্যবহারের ফলে ত্বকের কালো ভাব কমে আসে। এগুলো ছাড়াও মেলানিনের উৎপাদন কমানোর জন্য আরো অনেক উপায় বর্তমান আছে ।এই সমস্ত উপায়ে মনোবেঞ্জিন ক্রিমব্যবহার করা হয়। যখন এই ক্রিম ত্বকের লাগানো হয় ,সেটি ত্বকে মেলানিনের মাত্রা কমায় এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে আপনাকে সাহায্য করে। এগুলি ছাড়াও আরো অনেক ওষুধ বর্তমান যেগুলি অনেক ওষুধ বর্তমান যেগুলিআপনাকে খেতে হতে পারে। সুতরাং একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার মানে হল আপনার কাছে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির দরজা খুলে যাওয়া। মেলানিন কমানোর ক্রিম গুলি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান এবং কিছু কেমিক্যাল উপাদান দ্বারা গঠিত হয়,যেগুলি মেলানিন এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে থাকে যা আপনার ত্বকের বিভিন্ন লাইন সরাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে বিভিন্ন প্রকার ক্রিম এর ব্যাপারে ব্যাপারে ক্রিম এর ব্যাপারে ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে নিন এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে তাদের ব্যবহার করুন । যদি আপনার কাছে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ থাকে, তাহলে লেজার চিকিৎসা হল মেলানিন কমানোর জন্য সব থেকে সব থেকে দ্রুত পদ্ধতি ।এই পদ্ধতিতে লেজারকে আপনার ত্বকের ওপর কেন্দ্রীভূত করা হয়, যা মেলানিনকে ভাঙতে সাহায্য করে। তবে লেজার চিকিৎসার পূর্বে ডাক্তারের ডাক্তারের সাথে এর সুবিধা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবগত হয়ে নিন ।সাধারণত ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য করার জন্য ৫ থেকে ১০টি সেশানের প্রয়োজন হয় এবং এর পরে আপনাকে কিছু সতর্কতাঃ সম্পর্কে অবগত করানো হয় ,যা ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষেত্রে জরুরি। সানপ্রোটেকশন ক্রিমগুলি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গুলির মধ্যে সবথেকে ভালো ব‍্যবস্থা।সান প্রটেকশন ক্রিম ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের ওপর সূর্যরশ্মি প্রতিরোধক একটি আচ্ছাদন পরে ,যা শুধুমাত্র মেলানিনের মাত্রা কমানো নয় নয় ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনার হ্রাস করে।

Source : Lybrate
0 টি ভোট
করেছেন (5,760 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
ত্বক থেকে স্থায়ীভাবে মেলানিন কমানোর সব থেকে দ্রুত উপায় হলো লেজার চিকিৎসা। কিন্তু এই ব্যবস্থাটি খুবই ব্যয়বহুল। আপনি লেজার না করালে একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে আসতে আসতে চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান হলুদ, অ্যালোভেরা, টমেটো, শশা, লেবু, আলু ইত্যাদিও ত্বকের মেলানিনের পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (710 পয়েন্ট)
শরীরের মেলানিন স্থায়ীভাবে কমানো সম্ভব নয় যদি জন্মগতভাবে মেলানিনের মাত্রা বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু লেজার অথবা গ্লুটাথিওন ট্যাবলেট বা ইনজেকশনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কমানো যায়। উল্লেখ্য গ্লুটাথিওন অনেক জনপ্রিয় হলেও এটির অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। এটি নিরাপদ পদ্ধতি নয়।

কিন্তু মেলানিন যদি রোদের কারণে বৃদ্ধি পায় এক্ষেত্রে ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তবে সানস্ক্রিন সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে কোনো ফল পাওয়া যাবে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+13 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,878 বার দেখা হয়েছে

10,821 টি প্রশ্ন

18,527 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

659,521 জন সদস্য

38 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 34 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    490 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    230 পয়েন্ট

  3. M_H_Rohan

    180 পয়েন্ট

  4. Soborno Isaac Bari

    170 পয়েন্ট

  5. giavangol2025

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল #science কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় স্বপ্ন বাতাস তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...