ঘুমের মধ্যে নিজে নিজেই কথা বলে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
1,261 বার দেখা হয়েছে
"প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে করেছেন (15,710 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (15,710 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim

নিদ্রাবস্থায় অসচেতন হয়ে নিজের সাথে কথা বলাই হচ্ছে, স্লিপ টকিং। এটি এক ধরণের প্যারাসমনিয়া বা অস্বাভাবিক আচরণ যা ঘুমের মধ্যে হয়। যে কোন মানুষ এই সমস্যাটিতে ভুগতে পারে তবে পুরুষ ও শিশুরাই বেশি ভুগে থাকে। এরা ঘুমের মধ্যে কথা বলা সহ হাসে, গুণগুণ করে বা চিৎকার ও করে থাকে, অনেক সময় এমনও মনে হতে পারে যে অন্যের সঙ্গে কথা বলছে। সাধারণত অতীতের কোন ঘটনা, অভিজ্ঞতা বা সম্পর্কের কথাই বলে থাকে বেশি। স্লিপ টকিং এর বিষয়টি ৩০ সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয়না এবং প্রতি রাতে একবারের বেশি হওয়াটাও বিরল। তারা এমন কথা বলে যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে বলে না এবং অনেক সময় এমন অস্পষ্ট ভাবে কথা বলে যা বোঝা যায়না। ২০০৪ সালের একটি নিবন্ধে জানা যায় যে, ১-১০ বছরের শিশুরা সপ্তাহে কয়েক রাত ঘুমের মধ্যে কথা বলে।

স্লিপ টকিং এর কারণঃ-

স্লিপ টকিং সাধারণত নিজে নিজেই হয় এবং এটা তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে কোন কোন সময় এটা মারাত্মক ঘুমের সমস্যা বা স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়াও যে কারণ গুলো দায়ী তা হল- স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, জ্বর, ঘুম বঞ্চনা, দিনের তন্দ্রা, অ্যালকোহল সেবন, বংশগতি, দুঃস্বপ্ন, মানসিক রোগ, মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা, ঔষধের অপব্যবহার ইত্যাদি।

স্লিপ টকিং নিরাময়ঃ-

সাধারণত কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। কিন্তু যদি এই সমস্যাটি নিয়মিত হতে থাকে এবং আপনার সঙ্গীর ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এছাড়াও কিছু নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে এই সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে যেমন-

১। The Snoring Center এর মেডিক্যাল ডাইরেক্টর Craig Schwimmer, Md, MPH বলেন, “যেসব রোগীরা কম ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত ও নিয়মিত বিশ্রাম নিলে স্লিপ টকিং এর মাত্রা কমতে সাহায্য করে”।

২। স্ট্রেস স্লিপ টকিং এর তীব্রতা বাড়ায় ও পুনরাবৃত্তি ঘটায়। তাই চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

৩। ঘুমের আগে অ্যালকোহল সেবন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ও স্লিপ টকিং এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪। রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট পুরে খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।

৫। চিনি যুক্ত ও ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।

আপনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে আপনার ঘুমের ধরণ, খাবারের নিয়ম, ব্যায়ামের সময় ইত্যাদি বিষয় গুলো একটি ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করুন। এতে আপনার ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যাটির সনাক্ত করা ডাক্তারের জন্য সহজ হবে।

©তামিম
+1 টি ভোট
করেছেন (1,990 পয়েন্ট)

ঘুমের মধ্যে হঠাৎ করেই চিৎকার বা কথা বলা, এটা ছোট-বড় সবারই হতে পারে। অনেকেই আছে প্রায় প্রতিদিনই এ সমস্যায় ভোগেন। তবে এটা নিয়ে এত ভাবার কিছু নেই। খুবই সাধারণ বিষয়। তবে শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।

এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন শিশু প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার ঘুমের মধ্যে কথা বলে। তবে অনিদ্রাজ্বর, অসুস্থতা, অত্যাধিক মদ্যপান, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় থাকলে ঘুমের মধ্যে এমন হতে পারে। জেনে নিন কিভাবে ঘুমের মধ্যে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

মানসিক উদ্বেগ

মানসিক উদ্বেগের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। মানসিক উদ্বেগ দূর করতে দুই-এক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্রিদিং এক্সারসাইজ করে মানসিক উদ্বেগ দূর করুন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে, শরীরচর্চা করে, গান শুনে মেজাজ ভালো রাখুন।

ঘুমের সময়

ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন। আর নিয়মিত অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। যত কম ঘুম হবে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে।

অত্যাধিক ক্যাফাইন গ্রহণ

মদ্যপান বা ক্যাফাইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

 

ডাক্তারের পরামর্শ নিন

আপনার ঘুমের যদি অত্যন্ত সমস্যা হয় তবে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।

0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
অনেকেই ঘুমের মধ্যে হাঁটে এবং কথা বলে। এইরকম কেন হয়?

মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে,স্পষ্ট-অস্পষ্ট শব্দ করে,কান্না করে, এমনকি হাটা-চলা করতেও পারে। এসবের কারণ খুজেছেন বিজ্ঞানীরা, সেগুলো কী দেখা নেওয়া যাকঃ

 

আমাদের ঘুমের মধ্যে ২টা পর্যায় আছে। সেগুলো হল-

 

১) REM (Rapid Eye Movement) বা কম্পাক্ষি নিদ্রা

 

২) Non REM (Non Rapid Eye Movement)বা স্থিরাক্ষি নিদ্রা।

 

৩) Slow Wave বা ধীর সম্পন্ন চক্র ঘুম

 

আমাদের ঘুমের এই দুই নম্বর পর্যায়ে আমাদের মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় থাকে, তবে শরীর নড়াচড়া করতে পারে। এই সময় হরমোন নি:সৃত হয় এবং দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর আবার সতেজ হয়ে ওঠে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে REM ও NREM ঘুম পর্যায়ের মাঝে ৯০ মিনিট বিরতি থাকতে পারে। তাই ঘুমের দুই নম্বর পর্যায়ে নড়াচড়া বেশী করতে পারে।

 

সাধারনত ঘুমের তিন নম্বর পর্যায় Slow Wave এ মানুষের কথা বলা বা হাটা চলা করতে দেখা যায়। এই ধরনের পরিবেশকে ইংরেজিতে বলে সমনামবিউলিজম (somnambulism or noctambulism), বাংলায় বলে স্বপ্নচারিতা। স্বপ্নচারীদের মন ঘুমিয়ে থাকলেও দেহ অতিমাত্রায় সক্রিয় থাকে, তার সমস্ত আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয় স্বপ্ন দ্বারাই। বেশি মাত্রায় না হলেও অল্পমাত্রায় স্বপ্নচারী আমরা অনেকেই।

 

মেডিকেল সাইন্স অবশ্য এর কিছু কারণও খুজে বের করেছে।

 

সারাদিন অধিক পরিশ্রমের কাজ করে ক্লান্ত দেহে বিছানায় ঘুমাতে গেলে

 

ভয়, মানসিক অস্থিরতা ও উত্তেজনা থাকলে

 

অনিয়মিত ঘুম ও অপর্যাপ্ত ঘুম হলে

 

ঘুমের মাঝে বিশেষ ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসে বাধা পেলে

 

ঔষুধ সেবনের ফলেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে

 

এছাড়া বংশগত কারণেও এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।

 

প্রচণ্ড জ্বরের মধ্যেও এটা হতে পারে

 

অতিরিক্ত মাদক বা মদ সেবনের কারণে হতে পারে

 

দুঃস্বপ্ন দেখার মাধ্যমেও এটা হতে পারে

 

যাদের হজমে গন্ডগোল রয়েছে, (রাতে শোবার পর পাকস্থলির খাদ্য গলার কাছে এসে যায়)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 786 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
4 টি উত্তর 3,310 বার দেখা হয়েছে
+14 টি ভোট
2 টি উত্তর 373 বার দেখা হয়েছে
27 এপ্রিল 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা (11,730 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,320 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,199 বার দেখা হয়েছে
19 অক্টোবর 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,395 জন সদস্য

88 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 86 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Israt Jahan Taha

    130 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...