ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণ ও প্রতিকার কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
3,300 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (4,990 পয়েন্ট)
ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণ ও প্রতিকার কী?

ঘুমের মধ্যে কথা বলা কি জানেন ?
ঘুমের মধ্যে কথা বলা একধরণের প্যারাসোমনিয়া - ঘুমের সময় ঘটে যাওয়া একটি অস্বাভাবিক আচরণ। এটি খুব সাধারণ ঘটনা এবং এটি সাধারণত কোনও মেডিকেল সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হয় না।রাতের বেলা বকবক নিরীহ হতে পারে, বা এটি গ্রাফিক হতে পারে, এমনকি রেটও দেওয়া হয়েছে। কখনও কখনও, শ্রোতা সামগ্রীটি আপত্তিকর। গভীর রাতে ডায়াট্রিবগুলি ব্যতিক্রমীভাবে সুস্পষ্টভাবে বর্ণনাকারী হতে পারে, বা শব্দগুলি বিড়বিড় করে এবং বোঝা শক্ত হতে পারে। ঘুমোতে কথা বলতে সাধারণ শব্দ বা দীর্ঘ, জড়িত বক্তৃতা জড়িত থাকতে পারে। ঘুমের কথা বলতে সাধারণত মনে হয় তারা নিজের সাথে কথা বলছে। তবে কখনও কখনও তারা অন্যদের সাথে কথোপকথন চালিয়ে যায়। তারা ফিসফিস করে বলতে পারে বা চিৎকার করতে পারে। যদি আপনি কারও সাথে শয়নকক্ষ ভাগ করে নেন যারা তাদের ঘুমের মধ্যে কথা বলেন, আপনি সম্ভবত পর্যাপ্ত শট-আই পাচ্ছেন না।

আপনার ঘুমের মধ্যে কথা বলার লক্ষণগুলি কি?

আপনি নিজের ঘুমের মধ্যে কথা বলছেন কিনা তা বলা শক্ত। সাধারণত, লোকেরা আপনাকে বলবে যে তারা আপনাকে রাতে এবং চিৎকার করার সময় চিৎকার শুনেছিল। অথবা কেউ হয়ত অভিযোগ করতে পারেন যে আপনার ঘুমের কথাবার্তা তাদের সারা রাত ধরে রাখে।

ঘুমের কথা বলার কারণ কী?
আপনি ভাবতে পারেন যে স্বপ্ন দেখার সময় ঘুমের কথা বলা হয়। তবে বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন যে এ জাতীয় বকবক রাতের বেলা ফেরার সাথে যুক্ত রয়েছে কিনা। কথা বলা ঘুমের যে কোনও পর্যায়ে ঘটতে পারে।ঘুমোতে কথা বলা সাধারণত নিজেই ঘটে এবং প্রায়শই নিরীহ হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও মারাত্মক ঘুমের ব্যাধি বা স্বাস্থ্যের অবস্থার লক্ষণ হতে পারে।আরইএম স্লিপ ট্রিটমেন্ট ডিসঅর্ডার (আরবিডি) এবং ঘুমের আতঙ্ক এই দুটি ধরণের ঘুমের ব্যাধি যা কিছু লোক ঘুমের সময় চিৎকার করে তোলে। ঘুমের আতঙ্ক, যাকে রাতের আতঙ্কও বলা হয়, এতে সাধারণত ভীতিজনক চিৎকার, ছোটাছুটি এবং লাথি মারা থাকে। ঘুমের সন্ত্রাস রয়েছে এমন কাউকে জাগানো কঠিন। ঘুমের আতঙ্কে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত ঘুমের কথা এবং ঘুমের ঘোরাঘুরি।আরবিডি আক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়শ হিংস্রতার সাথে চিৎকার করে, চেঁচামেচি করেন এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তব করেন।স্লিপ ওয়াকিং এবং নিশাচর ঘুম সম্পর্কিত খাবারের ব্যাধি (এনএস-রেড) এর সাথেও ঘুমের কথা বলা যেতে পারে, এমন একটি অবস্থা যেখানে একজন ব্যক্তি ঘুমন্ত অবস্থায় খান।

ঘুমের আলোচনার কারণ হতে পারে এমন অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে:

কিছু ওষুধ
আবেগী মানসিক যন্ত্রনা
জ্বর
মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাধি
পদার্থের অপব্যবহার
আপনার ঘুমের মধ্যে কথা বলা কিভাবে চিকিত্সা করা হয়?
আপনার ঘুমের কথা যদি একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে হঠাৎ করে ঘটে বা এর মধ্যে তীব্র ভয়, চিৎকার, বা হিংসাত্মক ক্রিয়াকলাপের সাথে জড়িত থাকে তবে ঘুমের বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা ভাল ধারণা। অজ্ঞান বকবক যদি আপনার ঘুম - বা আপনার রুমমেটগুলির সাথে হস্তক্ষেপ করে তবে আপনি কোনও ডাক্তারকে দেখাও বিবেচনা করতে পারেন।

একটি ঘুম বিশেষজ্ঞ আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কতক্ষণ ঘুমের মধ্যে কথা বলছেন। আপনাকে আপনার বিছানার সঙ্গী, রুমমেট - এমনকি আপনার পিতামাতাকেও এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনি হয়তো শৈশবে ঘুমোতে কথা বলা শুরু করেছেন।

ঘুমের কথাবার্তা নির্ণয়ের জন্য কোনও পরীক্ষার দরকার নেই। তবে আপনার চিকিত্সা যদি ঘুমের অধ্যয়ন বা স্লিপ রেকর্ডিং (পলিসোমনগ্রাম) এর মতো পরীক্ষার আদেশ দিতে পারেন তবে আপনার যদি অন্য ঘুমের ব্যাধি হওয়ার লক্ষণ থাকে।

ঘুমোতে কথা বলা খুব কমই চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে, তীব্র ঘুমের সাথে কথা বলা আরও একটি গুরুতর ঘুমের ব্যাধি বা চিকিত্সা শর্তের পরিণতি হতে পারে, যা চিকিত্সা করা যেতে পারে। আপনার চিকিত্সার বিকল্পগুলি সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।
0 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)
ঘুমের মধ্যে কথা বলা এক ধরনের প্যারাসমনিয়া। এসব ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে। তবে শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এই প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটা খুবই সাধারণ সমস্যা এবং এর জন্য সাধারণত চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া হয় না।

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বল্প ঘুমের জন্য এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। নানা কারনে কম ঘুম হলেই এর প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। একজন ব্যাক্তি যে, ঘুমের মধ্যে জোরে বা আস্তে যে কোনও ভাবেই কথা বলতে পারে। আবার কখনও বা চিৎকারও করতে পারে। গবেষনায় দেখা যায়, যারা ঘুমের মধ্যে কথা বলে তারা সাধারণত নিজেদের সঙ্গেই কথা বলে। কিন্তু মাঝে মধ্যে অন্যের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায়। একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি দশজনের মধ্যে একজন শিশু প্রতি সপ্তাহে একাধিকবার ঘুমের মধ্যে কথা বলে।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে নানা কারনে এ সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: অনিদ্রা, জ্বর বা অসুস্থতা, অত্যাধিক মদ্যপান, মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা, অবসাদ, দিনের বেলাতেও ঝিমানোভাব, বিশেষ ওষুধ ইত্যাদি।

 

ঘুমের মধ্যে কথা বলা দূর করার উপায়:

১. ঘুমের শিডিউল: ঘুমের নির্ধারিত সময় না থাকলে এই ধরণের সমস্যা দেখা যায়। এই কারণেই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন। আর নিয়মিত অবশ্যই আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। যত কম ঘুম হবে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা ততই বাড়বে।

২. অত্যাধিক ক্যাফাইন গ্রহণ: মদ্যপান বা ক্যাফাইনযুক্ত পানীয় গ্রহণের ফলে মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলার মতো সমস্যার সম্মুখীন হয়। তাই এই সমস্যার সমাধান করতে ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় গ্রহণের প্রবণতা কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর আগে ভারী খাবার খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন।

৩. মানসিক উদ্বেগ: মানসিক উদ্বেগের ফলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা দেখা যায়। মানসিক উদ্বেগ দূর করতে দুই-এক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসুন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্রিদিং এক্সারসাইজ করে মানসিক উদ্বেগ দূর করুন। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের বই পড়ে, শরীরচর্চা করে, গান শুনে মেজাজ ভাল রাখুন।

৪. ডাক্তারের পরামর্শ নিন: আপনার ঘুমের যদি অত্যন্ত সমস্যা হয় তবে দেরী না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অনেক সময় বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।

- মেডি ভয়েস
0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
ঘুমের মধ্যে কথা বলার কারণ:

স্লিপ টকিং সাধারণত নিজে নিজেই হয় এবং এটা তেমন ক্ষতিকর নয়। তবে কোন কোন সময় এটা মারাত্মক ঘুমের সমস্যা বা স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়াও যে কারণ গুলো দায়ী তা হল- স্ট্রেস, ডিপ্রেশন, জ্বর, ঘুম বঞ্চনা, দিনের তন্দ্রা, অ্যালকোহল সেবন, বংশগতি, দুঃস্বপ্ন, মানসিক রোগ, মানসিক বা শারীরিক অসুস্থতা, ঔষধের অপব্যবহার ইত্যাদি।
0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

স্লিপ টকিং নিরাময়:

সাধারণত কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না। কিন্তু যদি এই সমস্যাটি নিয়মিত হতে থাকে এবং আপনার সঙ্গীর ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে তাহলে একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এছাড়াও কিছু নিয়ম অনুসরণের মাধ্যমে এই সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে যেমন-

১। The Snoring Center এর মেডিক্যাল ডাইরেক্টর Craig  Schwimmer,  Md,  MPH  বলেন, “যেসব রোগীরা কম ঘুমান তাদের ক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত ও নিয়মিত বিশ্রাম নিলে স্লিপ টকিং এর মাত্রা কমতে সাহায্য করে”।

২। স্ট্রেস স্লিপ টকিং এর তীব্রতা বাড়ায় ও পুনরাবৃত্তি ঘটায়। তাই চাপ কমানোর চেষ্টা করুন।

৩। ঘুমের আগে অ্যালকোহল সেবন ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে ও স্লিপ টকিং এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪। রাতের বেলায় ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট পুরে খেলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৪ ঘন্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন।

৫। চিনি যুক্ত ও ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।

আপনি ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে আপনার ঘুমের ধরণ, খাবারের নিয়ম, ব্যায়ামের সময় ইত্যাদি বিষয় গুলো একটি ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ করুন। এতে আপনার ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যাটির সনাক্ত করা ডাক্তারের জন্য সহজ হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+11 টি ভোট
3 টি উত্তর 1,259 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 1,093 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 4,746 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,912 জন সদস্য

34 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 33 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...