মোবাইলের আসক্তি থেকে কীভাবে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
2,730 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (123,400 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (105,570 পয়েন্ট)
স্মার্টফোনে আসক্তি কমানোর জন্য নিয়মিত কিছু চর্চার জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ:

 ১. প্রয়োজনীয় কথাবার্তার বাইরে স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নেওয়া। ধরা যাক, রাতের খাবারের পর ১৫ মিনিট।

 ২. বাড়িতে কিছু ‘স্ক্রিন-মুক্ত এলাকা’ তৈরি করা, যেখানে কেউই স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকতে পারবেন না।

৩. স্মার্টফোনে ব্যয় করার সময়টুকু শিশুদের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া, শিশুদের সময় দেওয়া।

 ৪. যেসব কাজ শিগগিরই শেষ করতে হবে, তার একটা তালিকা কাগজে লিখে রাখুন। কাগজটি স্মার্টফোনের সঙ্গে রেখে দিন, যাতে ফোন তুলতে গেলেই ওই কাজের তালিকায় চোখ যায়।

 ৫. অনলাইনে শেয়ার করতে হবে এমন লেখালেখিগুলো অফলাইন থাকা অবস্থাতেই শেষ করে নিন।

৬. অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে ব্যতিক্রমের তালিকা আপডেট করে কেবল তাঁদের নোটিফিকেশনই চালু রাখুন।

৭. নির্দিষ্ট কাজের সময়গুলোর জন্য টাইমার সেট করে রেখে বিরক্তিকর অ্যাপসগুলোর অ্যাকসেস ও নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন।

৮. ‘মোমেন্ট’-এর মতো কোনো একটা অ্যাপস ডাউনলোড করে নিন, যা আপনাকে দিনে কতবার ফোন তুলে নিচ্ছেন তা মনে করিয়ে দেবে এবং আপনাকে এই কাজে নিরুৎসাহিত করবে।

 ৯. আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনাকে ‘একঘেয়ে লাগা’ ও ‘ভালো না লাগা’র মতো অনুভূতিগুলোর সঙ্গেও কিছুটা সময় মানিয়ে চলতে শিখতে হবে, এসবে অভ্যস্ত হতে হবে।

তথ্যসূত্র : ntv
+3 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
Abrar Islam Ador

স্মার্টফোনে আসক্তি বা নেশা কমানোর জন্য নিয়মিত কিছু অভ্যাসের জন্য বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ রয়েছে:

১. প্রয়োজনীয় কথাবার্তার বাইরে সামাজিক যোগাযোগের জন্য কোন নির্দিষ্ট একটা সময়ে ১৫-২০ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. নিজের বাড়িতে কিছু জায়গায় স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ইত্যাদি কিছু ব্যাবহার করা যাবে না। ঐ জায়গা কে ফ্রি রাখতে হবে সকলের আড্ডার জন্য।

৩. স্মার্টফোনে যত সময় দিব তা যেন আমারা বাড়ির ছোটদের সাথে ব্যয় করি। এতে তাঁদের সময় দেয়া হল আর তারাও ফোন আসক্তি থেকে দূরে রইলো।

৪. আমাদের অতিব গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটা লিষ্ট করে, সেই লিষ্টের কাগজটি স্মার্টফোনের সঙ্গে রেখে দিন, যাতে ফোন তুলতে গেলেই ওই কাজের তালিকা দেখা যায়।

৫. অপ্রয়োজনীয় সব নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন, বিশেষ প্রয়োজন থাকলে শুধু প্রয়োজনীয় দিকগুলোর নোটিফিকেশন চালু রাখুন।

৬. নির্দিষ্ট কাজের সময়গুলোর জন্য টাইমার সেট করে রেখে বিরক্তিকর অ্যাপসগুলোর অ্যাকসেস ও নোটিফিকেশন অফ করে রাখুন।

৭. আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, আপনাকে ‘একঘেয়ে লাগা’ ও ‘ভালো না লাগা’র মতো অনুভূতিগুলোর সঙ্গেও কিছুটা সময় মানিয়ে চলতে শিখতে হবে, এসবে অভ্যস্ত হতে হবে।

৮. ফ্রি সময়ে বই পড়তে থাকুন। নিত্যনতুন বই কিনে আনুন।
0 টি ভোট
করেছেন (135,490 পয়েন্ট)
১. প্রয়োজনীয় কথাবার্তার বাইরে স্মার্টফোনে সামাজিক যোগাযোগের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে নেওয়া। ধরা যাক, রাতের খাবারের পর ১৫ মিনিট।

২. বাড়িতে কিছু ‘স্ক্রিন-মুক্ত এলাকা’ তৈরি করা, যেখানে কেউই স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট ইত্যাদি নিয়ে মেতে থাকতে পারবেন না।

স্মার্টফোনে ব্যয় করার সময়টুকু শিশুদের সঙ্গে কাটানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া, শিশুদের সময় দেওয়া।

৪. যেসব কাজ শিগগিরই শেষ করতে হবে, তার একটা তালিকা কাগজে লিখে রাখুন। কাগজটি স্মার্টফোনের সঙ্গে রেখে দিন, যাতে ফোন তুলতে গেলেই ওই কাজের তালিকায় চোখ যায়।

৫. অনলাইনে শেয়ার করতে হবে এমন লেখালেখিগুলো অফলাইন থাকা অবস্থাতেই শেষ করে নিন।
0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)
স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে যা করবেন
* ঘুমানোর সময় বালিশের পাশে মুঠোফোন নিয়ে ঘুমাবেন না। এতে ফোনের তেজস্ক্রিয়াজনিত ঝুঁকি থেকে মুক্ত হওয়া যায়, তেমনি ঘুম থেকে উঠেই স্মার্টফোনে চোখ রাখার অভ্যাস কমানো যায়।
* কোনো মিটিং কিংবা ক্লাসে মুঠোফোন বন্ধ করে ব্যাগে কিংবা টেবিলের ড্রয়ারে রেখে আসুন। মিসড কল অ্যালার্ট সার্ভিসের মাধ্যমে ফোন বন্ধ রাখার সময় কে কে ফোন করেছিলেন তা জানতে পারেন।
* খাওয়ার সময় কখনোই ফোনের পর্দায় চোখ রাখবেন না। খাওয়া উপভোগ করার জন্য ফোন থেকে দূরে থাকুন।
* মুঠোফোনে ই-মেইলের উত্তর দেওয়ার বদলে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ কম্পিউটারে অভ্যাস করুন।
* ফ্রিডম, অ্যাপডেটক্স, স্টে অন টাস্ক, ব্রেকফিসহ বিভিন্ন অ্যাপ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি কমাতে পারেন। এই অ্যাপগুলো আপনার
মুঠোফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন
অ্যাপ নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ রেখে আপনার আসক্তি কমাতে পারে।
* প্রতিদিন সকালে পত্রিকা পড়ার অভ্যাস ও রাতে
বই পড়ার অভ্যাস স্মার্টফোনে আসক্তি অনেকটা
কমিয়ে আনে।
* ফেসবুক, টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে সেটিংস অপশন থেকে নোটিফিকেশন বার্তা কমিয়ে নিতে পারেন।
* স্মার্টফোনে আসক্তি কমাতে সাধারণ মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করতে পারেন, যা শুধু কাজের জন্য কল দেওয়া আর খুদেবার্তা পাঠানোর জন্য ব্যবহার করবেন।
* বিভিন্ন আড্ডা কিংবা খেলার মাঠে নিজের অংশগ্রহণ বাড়ানোর চেষ্টা করুন। বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার, বন্ধুদের চোখে চোখ রেখে গল্প-আড্ডায় মেতে উঠুন, এতেও মুঠোফোন আসক্তি অনেক কমে আসে।
* সন্তানকে ফোনে ই-বুক পড়ার অভ্যাসের বদলে রঙিন বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করুন।
* সন্তানের হাতে উচ্চপ্রযুক্তির স্মার্টফোন তুলে না দেওয়াই ভালো। খুব প্রয়োজন হলে সাধারণ ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দিতে পারেন।
* দৈনন্দিন কাজের হিসাব, মিটিং কখন, কোথায় তা লেখার জন্য মুঠোফোনের অ্যাপ ব্যবহারের চেয়ে কিছুদিন ডায়েরিতে হাতে-কলমে লেখার অভ্যাস করুন।
* যানজটে বসে মুঠোফোনে মুখ না গুঁজে ব্যাগে বই রাখতে পারেন। যানজটে মুঠোফোনে গান না শুনে বা ফেসবুক ব্যবহার না করে বই পড়ার অভ্যাস করুন।
* কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সেলফি কিংবা ফোনে ছবি তোলার বদলে অনুষ্ঠানের অতিথিদের সঙ্গে পরিচিতি বাড়ান আর গল্প করার অভ্যাস করুন।

সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন, ফেমিনা, দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,660 বার দেখা হয়েছে
24 অক্টোবর 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
4 টি উত্তর 584 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 360 বার দেখা হয়েছে
11 ফেব্রুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন নোশিন মাহি (7,940 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
3 টি উত্তর 721 বার দেখা হয়েছে
27 জানুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,340 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 720 বার দেখা হয়েছে

10,844 টি প্রশ্ন

18,545 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

847,203 জন সদস্য

25 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Khairul_Alom_Fardush

    140 পয়েন্ট

  2. 337betvipcombr

    100 পয়েন্ট

  3. 33win2ukcom

    100 পয়েন্ট

  4. ahwtsapp

    100 পয়েন্ট

  5. kk36us

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...