ঘুমের মধ্যে আমরা চমকে উঠি কেনো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
1,999 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (123,340 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (123,340 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

Anamika Sultana Sayida- 

ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ঝাঁকুনি :

সবে চোখটা বুজে এসেছে। আচমকাই একটা ঝটকা। শরীরটা প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল, যেন মনে হচ্ছে কোথাও পড়ে যাচ্ছিলেন। এটা শুধু আপনার সমস্যা নয়, শরীরের ঝাঁকুনির এমন অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ।

ঘুমের মধ্যে এমন ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’বলা হয়। কেন এমনটা হয়? জেগে থাকা অবস্থা থেকে সবে ঘুমোতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে এই ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এই সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক ঠাহর করতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় ‘হিপনিক জার্কস’।

ঠিক কেন মস্তিষ্ক অনুভব করতে পারে না শরীরের এমন অবস্থা? আসলে শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্‌ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু, মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান ঠাহর করতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়।

যদিও, কিছু মানুষ একে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান। তবে, চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই।

কারণ, অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।

#প্রতিকার

নিকোটিন বা ক্যাফিন জাতীয় উদ্দীপক গ্রহণ কমিয়ে দেওয়া, ঘুমানোর আগে শারীরিক পরিশ্রম এড়ানো এবং পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করে হিপনিক জার্ক হ্রাস করা যায়।কিছু ওষুধ হিপনিক জার্ক হ্রাস করতে বা দূর করতে সহায়তা করতে পারে। এছাড়াও, কিছু লোক এই হিপনিক জার্কে একটি স্থিরতা তৈরি করতে পারে যার ফলে পূর্ব অভিজ্ঞতা সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে আরো উদ্বেগ বৃদ্ধি পায়। এই বর্ধিত উদ্বেগ এবং ক্লান্তি হিপনিক জার্কের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

0 টি ভোট
করেছেন (123,340 পয়েন্ট)

M M Hossain Raghib- 

মাত্রই ঘুমে চোখটা বন্ধ হয়ে এসেছে। হঠাৎই একটা ঝটকা। শরীরটা প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল, যেন মনে হচ্ছে কোথাও পড়ে যাচ্ছিলেন। এটা শুধু আপনার সমস্যা নয়, শরীরের ঝাঁকুনির এমন অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন বিশ্বের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ।

ঘুমের মধ্যে এমন ঝাঁকুনিকে ‘হিপনিক জার্কস’বলা হয়। জেগে থাকা অবস্থা থেকে হঠাৎ ঘুমাতে যাওয়ার অবস্থার মধ্যে এই ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। এই সময় মানুষ পুরোপুরি ঘুমের মধ্যে থাকে না। বরং বলা যায়, সে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকে। এই অবস্থাতেই স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। এমন পরিস্থিতিতে জাগরণ ও স্বপ্নের সীমানাকে অনেক সময়েই মস্তিষ্ক বুঝে উঠতে পারে না। ফলে তার ধাক্কা এসে লাগে শরীরে। এ থেকেই তৈরি হয় ‘হিপনিক জার্কস’।ঠিক কেন মস্তিষ্ক বুঝে উঠতে পারে না শরীরের অবস্থা? আসলে শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব নেমে এলে মাস্‌ল এবং পেশীগুলো আস্তে আস্তে অবশ হতে থাকে। কিন্তু মস্তিস্ক শরীরে পেশীর এই অবস্থান বুঝে উঠতে না পেরে সেই প্রক্রিয়া আটকানোর চেষ্টা করে, ফলে শারীরে ঝাঁকুনি হয়। যদিও কিছু মানুষ একে শারীরিক অসুবিধা ভেবে ভয় পান। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে এতে ভয় পাওয়ার মতো কিছু নেই।

তবে অনেক সময়ে নাক ডাকা থেকেও ‘হিপনিক জার্কস’ ঘটে থাকে। স্নায়ুতন্ত্রের উত্তেজনাপ্রবাহ ঠিকমতো ঠাহর করতে না পারায় এক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে শরীরে ঝাঁকুনি হয়।

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

ঘুমের মধ্যে হঠাত্‍‌ই আপনার মনে হল, আপনি পড়ে যাচ্ছেন। নিদ্রামগ্ন অবস্থায় নিজেকে সামলাতে গিয়ে বুঝতে পারলেন গোটা শরীরটাই জোরে কেমন একটা ঝাঁকুনি দিয়ে উঠল। হয়তো স্বপ্ন দেখছিলেন। ঝাঁকুনি খেয়ে সেই স্বপ্নের জগত্‍‌ থেকে ফিরে এলেন বাস্তবে। কয়েক সেকেন্ডের জন্য ঘুমে ব্যাঘাত, আবার পাশ ফিরে ঘুম। 

এমন হয়েছে আগে কখনও? আপনার না হলেওে, এমন লোকজন কম নেই, যারা ঘুমের মধ্যেই এ ভাবে কেঁপে ওঠেন। একবার বা একদিন নয়, ঘনঘনও হতে পারে। ঘুম ভাঙলে কারও কারও মনে থাকে, কেউ আবার ভুলে যান রাতে ঘুমঘোরে কী হয়েছে। ঘুমের মধ্যে কেন এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনা ঘটে, তা নিয়ে কৌতূহল জেগেছে অনেকেরই। 

বিজ্ঞানীরা এই জার্ক বা হেঁচকাকে বলছেন, 'হিপনিক জার্ক'। এই হিপনিক জার্ক নিয়ে এক-এক জনের অভিজ্ঞতা এক-এক রকম। তবে সব ক্ষেত্রেই একটা জায়গায় মিল রয়েছে। সেটা হল, মনে হয় পড়ে যাচ্ছি। 

বিজ্ঞানীদের ধরণা, এই হিপনিক জার্কের বাহ্যিক কিছু কারণ থাকতে পারে। তারা বলছেন, ক্যাফেইন ও তামাকের নেশা এ ধরনের হেঁচকা বাড়িয়ে দেয়। তাই এই গবেষকদের পরামর্শ, শুতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ক্যাফিনেটেড জাতীয় ড্রিংক না খাওয়াই ভালো। তাদের আরও দাবি, অ্যাডেরাল ও রিটালিন জাতীয় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমনটা হয়। 

এই হিপনিক জার্ক সাধারণত ঘুমের মধ্যেই ঘটে। আবার ক্লান্তিতে শরীর ছেড়ে দিলে, মস্তিষ্ক যখন দ্রুত ঘুমের তোড়জোড় শুরু করে, ঠিক বুঝে উঠতে পারে না, মনে করে শরীর পড়ে যাচ্ছে, তখনও এমন অনুভূত হতে পারে। তবে দ্বিতীয় ক্ষেত্রটি বিরল বলেই দাবি বিজ্ঞানীদের। 

তাদের ব্যাখ্যা, বিশেষ কিছু রাসায়নিকের বিস্ফোরণ হলে বা মাত্রা বেড়ে গেলে, শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। মস্তিষ্ক তা না-বুঝে উঠতে পেরে নিজের মতো ব্যাখ্যা করে তড়িঘড়ি জাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঝাঁকুনিই হল হিপনিক জার্ক।

ক্রেডিট: বিডি প্রতিদিন

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 823 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
1 উত্তর 257 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 135 বার দেখা হয়েছে
11 নভেম্বর 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Fake Id (14,110 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
1 উত্তর 368 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,822 জন সদস্য

37 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. Willian6112

    100 পয়েন্ট

  4. VernonConnel

    100 পয়েন্ট

  5. LuciennePort

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...