সহজ কথায় বলতে গেলে, দুজন পুরুষের শুক্রাণু সরাসরি মিশিয়ে একটি সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃতিগতভাবে, একটি ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করার জন্য শুধুমাত্র একটি শুক্রাণুই প্রবেশ করতে পারে। যখন প্রথম শুক্রাণুটি ডিম্বাণুর ভেতরে যায়, ডিম্বাণুটি নিজের চারপাশে একটি বাধা তৈরি করে ফেলে যা অন্য কোনো শুক্রাণুকে ঢুকতে দেয় না। যদি কোনোভাবে একাধিক শুক্রাণু প্রবেশ করেও ফেলে, তাহলে ক্রোমোজোমের সংখ্যায় গরমিল হয়ে যায়, যার ফলে ভ্রূণটি নষ্ট হয়ে যায় এবং তার বিকাশ সম্ভব হয় না।
তবে, আপনার প্রশ্নের দ্বিতীয় অংশ, অর্থাৎ জেনেটিক পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি সম্ভব কিনা, তার উত্তর ভবিষ্যতের বিজ্ঞানের হাতে রয়েছে। বিজ্ঞানীরা ‘ইন ভিট্রো গ্যামেটোজেনেসিস’ (IVG) নামে একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন। এই পদ্ধতিতে পুরুষের শরীরের সাধারণ কোষ (যেমন, ত্বকের কোষ) থেকে গবেষণাগারে ডিম্বাণু তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালে জাপানের বিজ্ঞানীরা ইঁদুরের ক্ষেত্রে এটি সফলভাবে করেছেন, যেখানে তারা একটি পুরুষ ইঁদুরের কোষ থেকে ডিম্বাণু তৈরি করে সেটিকে অন্য একটি পুরুষ ইঁদুরের শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করে শাবকের জন্ম দিয়েছেন। যদিও এই প্রযুক্তি মানুষের জন্য এখনও অনেক দূরের স্বপ্ন এবং এর সাথে অনেক নিরাপত্তা ও নৈতিক প্রশ্ন জড়িত, তবে এটি তত্ত্বগতভাবে প্রমাণ করে যে ভবিষ্যতে হয়তো দুজন পুরুষের জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব হতেও পারে।
এখন আসি আপনার দেয়া উদাহরণ নিয়ে। মেসি আর রোনালদো থেকে জেনেটিকাল ভাবে কাউকে ট্যালেন্টেড বানানো আদেও সম্ভব হবে না আমার মতে। কারণ ২ জনি নিজেদেরকে আজকের জায়গায় এনেছে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে। তারা জন্মসূত্রে সেরা খেলোয়াড় ছিলনা।