অরোরা (Aurora) বা মেরুজ্যোতি কি? কিভাবে অরোরা সৃষ্টি হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
1,238 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (2,030 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (2,030 পয়েন্ট)

অরোরা বা মেরুজ্যোতি হলো একটি প্রাকৃতিক ঘটনা যা রাতে এবং শুধুমাত্র মেরু অঞ্চলে দেখা যায়। নীল, লাল,  হলুদ, সবুজ এবং কমলা আলো এমনভাবে স্থানান্তরিত হয় যেন নরমভাবে ফুঁ দেওয়া পর্দার মতো আকৃতি পরিবর্তন করে। অরোরা প্রায় প্রতি রাতে আর্কটিক এবং অ্যান্টার্কটিক সার্কেলের কাছে দৃশ্যমান হয়। যা নিরক্ষরেখার প্রায় ৬৬.৫ ডিগ্রি উত্তর এবং দক্ষিণে অবস্থিত।উত্তরের মেরুজ্যোতিকে "অরোরা বোরিয়ালিস " বা উত্তরের আলো এবং দক্ষিণের মেরুজ্যোতিকে " অরোরা অস্ট্রালিস" বা দক্ষিণী আলো বলে।

 অরোরা বা মেরুজ্যোতি কিভাবে সৃষ্টি হয়? 

মেরুজ্যোতি সৃষ্টি হওয়া সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। সূর্য হলো সুপারহট গ্যাসের নক্ষত্র যাতে বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত কণা রয়েছে। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে ক্রমাগত চার্জ যুক্ত কণা হিসেবে প্রবাহিত আয়ন গুলোকে সৌর বায়ু বলে। এ সৌর বায়ু পৃথিবীর কাছে আসার সাথে সাথে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রের সাথে মিলিত হয়। পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র না থাকলে সৌর বায়ু পৃথিবীর ভঙুর বায়ুমন্ডলকে উড়িয়ে দিত ফলে জীবজগৎ সৃষ্টি হতো না। সৌর বায়ুর অধিকাংশই পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র দিয়ে অবরুদ্ধ হয় এবং চার্জ যুক্ত আয়ন গুলো গ্রহের চারপাশে জোর করে ডুকতে থাকে। যদিও বেশিরভাগ সৌর বায়ু পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্রে আটকা পড়ে কিন্তু কিছু আয়ন গ্রহের চারপাশে রিং আকৃতির নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংক্ষিপ্ত এলাকায় আটকা পড়ে। এই অঞ্চলটি মূলত বায়ুমন্ডলের একটি অঞ্চল যাকে আয়নোস্ফিয়ার বলে।
আয়নোস্ফিয়ারে এসে সৌর বায়ুর আয়ন গুলো পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের পরমাণুর সাথে সংঘর্ষ করে। এই সংঘর্ষের সময় নির্গত শক্তি পৃথিবীর মেরুর চারপাশে একটি রঙিন আলোকিত হ্যালো সৃষ্টি করে একেই মেরুজ্যোতি বা অরোরা বলে।
বেশিরভাগ অরোরা পৃথিবীর পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯৭-১০০০ কিলোমিটার উপরে ঘটে। সবচেয়ে সক্রিয় অরোরা তখন ঘটে যখন সৌর বায়ু সবচেয়ে শক্তিশালী হয়। সৌর বায়ু মোটামুটি স্থির থাকে কিন্তু সৌর আবহাওয়া সূর্যের বিভিন্ন অংশের উত্তাপ এবং শীতলতা প্রতিদিন পরিবর্তন হয়।চৌম্বকীয় ঝড় এবং সক্রিয় মেরুজ্যোতি আয়ন গুলো কখনও কখনও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে।রেডিও এবং রাডার সংকেতকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সৌর বায়ুর আয়ন গুলো যদি বায়ুমন্ডলের অক্সিজেন পরমাণুগুলোকে আঘাত করে তবে লাল আভা তৈরি হয়।যখন নিম্ন উচ্চতায় আয়নগুলো অক্সিজেন পরমাণুকে আঘাত করে তখন সবুজ-হলুদ আভা সৃষ্টি হয়। লালচে এবং নীলাভ আলো যা প্রায়ই অরোরার নিচের প্রান্তে দেখা যায় তা মূলত আয়ন গুলোর নাইট্রোজেন পরমাণুকে আঘাত করার ফলে উৎপন্ন হয়। হাইড্রোজেন এবং হিলিয়াম পরমাণুতে আঘাতকারী আয়ন গুলো নীল এবং বেগুনি অরোরা তৈরি করতে পারে।
মেরুজ্যোতি সবসময়ই রাতের আকশের জন্য একটি সুন্দরতম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

Source: National Geographic
 

© Mariam Akter Shahana

Team Science Bee 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 134 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 571 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 274 বার দেখা হয়েছে
05 অক্টোবর 2023 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Asraful Kader Tawhid (1,450 পয়েন্ট)

10,776 টি প্রশ্ন

18,477 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

314,095 জন সদস্য

55 জন অনলাইনে রয়েছে
7 জন সদস্য এবং 48 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. GrohanuMax

    700 পয়েন্ট

  2. Md Sumon Islam

    120 পয়েন্ট

  3. H.I Srijon

    110 পয়েন্ট

  4. saleh

    110 পয়েন্ট

  5. TheodoreEwen

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত বাংলাদেশ কান্না আম হরমোন
...