কবুতর কে কেন শান্তির প্রতীক ধরা হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
717 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (4,460 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (4,460 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর
কবুতরকে শান্তির প্রতীক হিসেবে গন্য করার পেছনে বেশ কিছু মতবাদ প্রচলিত আছে।

১। নোহা (আ:) /নোয়া এর সময়কালীন হওয়া মহাপ্লাবন শেষে নোহা (আ:) একটি কবুতর অবমুক্ত করেন কোনো জমি পানির উপর আছে কি না তা জানার লক্ষে। পরবর্তীতে সে কবুতর একটি জলপাইয়ের ডাল পায়ে নিয়ে ফিরে আসে। তা থেকে নোহা নিশ্চিত হন যে উঁচু জমি আছে৷ যেখান থেকে প্রাণকূল পুনরায় দুনিয়ার ছড়িয়ে যেতে পারবে।

উক্ত ঘটনায়, কবুতর এক নতুন জীবনের সন্ধান এবং সুখবর নিয়ে আসে। ফলস্বরূপ, আসমানী কিতাব অনুসারী ধর্ম সমূহের (মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি) অনুসারিদের কাছে কবুতর নতুন জীবনের আশা এবং সুখবরের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে।

২। হাজার বছর ধরে কবুতরকে বার্তা বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাই প্রায় সব সময় কবুতরের ফিরে আসাকে সুসংবাদ হিসেবে ধরা হয়েছে।

৩। কবুতরের গায়ের রং সাদা। সাদা রংকেও শান্তি এবং সম্প্রতির রং হিসেবে ধরা হয়।

- নাহিদ জাহান ভূঁইয়া।
  Student Executive.
  Science Bee.
0 টি ভোট
করেছেন (860 পয়েন্ট)
কবুতরের আরেক নাম পায়রা।শুধু সাদা নয়,সব কবুতরকেই শান্তির প্রতীক বলা হয়ে থাকে। সেই আদিযুগ হতে কবুতরকে পত্রবাহক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। তখন তেমন কোনো যোগাযোগ মাধ্যম না থাকায় কবুতরকে চিঠি আদান-আদানের বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এটি শান্তির প্রতীক হিসেবেই দেখা হতো।

কারণ সম্ভবত গ্রিক রূপকথায় কবুতর শান্তির প্রতীক

গ্রিক দেবী আফ্রোদিতি হলো প্রেম ও রোমাঞ্চের দেবী। আফ্রোদিতির জন্ম হয় কবুতর টানা রথের উপর। আফ্রোদিতি কবুতর খুব পছন্দ করতেন। তার চারপাশে বেশিরভাগ সময় কবুতর ঘোরাঘুরি করতো।

বিভিন্ন সময় তার হাতে কবুতর থাকতো। এই কারণে প্রাচিন গ্রিসের লোকজন কবুতরকে শান্তির প্রতিক মনে করতো। এথেকেই এই শান্তির প্রতীক৷

 
আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের শুরুতে কবুতর মুক্ত করা এজাতীয় আচার অনুষ্ঠান।

 
এছাড়াও প্রাচিন এজটেক সভ্যতার মানুষরা মনে করতো নবী নূহ (আঃ) এর সময় মহাপ্লাবন সংঘটিত হয়। মহাপ্লাবন শেষে পৃথিবী থেকে পাপ দূর হলে দেবি জোচিকুইজাল(Xochiquetzal) কবুতরের রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

 
এই দেবি হলো মানবতার জননী। এই কারণে এজটেক সভ্যতার আমলে কবুতর শান্তির প্রতিক বিবেচনা করা হতো।

 
আবার বাইবেলে উল্লেখ আছে, কবুতর শান্তির প্রতিক বলা হয়। বাইবেলের বর্ণনা হতে পাওয়া যায়। নবী নূহ (আঃ) তার উম্মতের পাপকার্যে বিরক্ত হয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে পৃথিবীকে পাপ মুক্ত করার আবেদন করেন। নূহ আঃ এর আবেদনের প্রেক্ষিতে মহান সৃষ্টিকর্তা নূহ (আঃ) কে নৌকা তৈরি করার জন্য আদেশ করেন।

 
সৃষ্টিকর্তার আদেশে সাড়া দিয়ে নূহ (আঃ) কাঠের একটি বিরাট নৌকা তৈরি করেন। নৌকা তৈরী হয়ে গেলে তিনি প্রত্যেকটা জীবকে জোড়ায় জোড়ায় সংগ্রহ করেন এবং নৌকায় তোলেন। সৃষ্টিকর্তার আদেশে আকাশ থেকে অনবরত বৃষ্টিপাত হতে থাকে। টানা ৪০ দিন বৃষ্টিপাতের ফলে পৃথিবীর সমস্ত ভূভাগ নিমজ্জিত হয়। এবার নূহ (আঃ) স্থলভাগের খোঁজ করার জন্য নৌকা থেকে একটি কাক বাইরে প্রেরণ করেন। কিন্তু বেশ কিছু দিন পার হলেও কাকটি আর ফিরে আসে না।

 
দ্বিতীয়বার নূহ (আঃ) একটি সাদা কবুতরকে স্থলভাগের খোঁজ নেওয়ার জন্য নৌকা থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেন। কবুতরটি কয়েকদিন পর একটি জলপাই গাছের শাখা তার ঠোঁটে নিয়ে নৌকায় ফিরে আসে। এটা দেখে নূহ (আঃ) বুঝতে পারেন যে আশপাশে কোথাও স্থল ভাগ আছে এবং পৃথিবী আর পানির নিচে ডুবে নাই। এ কারণে সাদা কবুতর শান্তির প্রতিক হিসেবে ধরা হয়।

 

বাইবেলের আরেকটি বর্ণনায় পাওয়া যায়,

নবী যিশুর কাছে প্রিয় ছিল সাদা কবুতর। শান্তির দূত সাদা কবুতরের রূপে পৃথিবীতে অবতরণ করে।এ কারণে সাদা কবুতর শান্তির প্রতিক হিসেবে ধরা হয়।

 
Md Maidur Islam
SCIENCE BEE

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 2,517 বার দেখা হয়েছে
16 জুন 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Kamrul official (4,280 পয়েন্ট)
+15 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,360 বার দেখা হয়েছে
25 ফেব্রুয়ারি 2020 "গণিত" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,300 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
1 উত্তর 914 বার দেখা হয়েছে
18 অক্টোবর 2020 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Imran Hossain (1,380 পয়েন্ট)

10,855 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

852,585 জন সদস্য

57 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 57 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. 66ffart

    100 পয়েন্ট

  2. lodenews

    100 পয়েন্ট

  3. ggstoryrucom

    100 পয়েন্ট

  4. 69vnapp1

    100 পয়েন্ট

  5. 715ukcom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...