পৃথিবীর সর্বপ্রথম সিনেমার দৈর্ঘ্য কত ছিল? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
499 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (2,630 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (2,630 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর

পৃথিবীর সর্বপ্রথম সিনেমা হল "Roundhay Garden Scene" যা 1888 সালের 14 ই অক্টোবর মুক্তি পায় এবং এর সময়কাল ছিল মাত্র 2 সেকেন্ড। আজকালকার সময় যেটাকে বলা হয় GIF

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
বিশ্বে প্রথম তৈরি সিনেমা হলো 'রাউন্ডহে গার্ডেন সিন'। ১৮৮৮ সালে 'লুইস লে প্রিন্স' তার আবিষ্কৃত 'লাউয়িস লে প্রিন্স' ব্যবহার করে ২৪ ফ্রেম ও ২ সেকেন্ড দৈর্ঘের একটি চলমান ছবি তৈরি করেন।
0 টি ভোট
করেছেন (43,970 পয়েন্ট)

১৮৯৫ সালের ২৮শে ডিসেম্বর তারিখে প্যারিস শহরে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় তাদের তৈরী দশটি ছোট ছোট চলচ্চিত্র প্রথমবারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে প্রদর্শন করেন। চলমান ছবিকে প্রজেকশন বা অভিক্ষেপনের মাধ্যমে প্রথম সফলভাবে প্রদর্শনের নিদর্শন হিসাবে এই তারিখটিকেই গণ্য করা হয়। চলমান ছবিকে ক্যামেরার সাহায্যে গ্রহণ এবং প্রদর্শনের পূর্ববর্তী কিছু নজির থাকলেও হয় তার গুণমান ছিল নিম্ন নয়ত সেগুলোর কোনোটাই ‘লুমিয়ের সিনেমাটোগ্রাফ’-এর মত বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। এই ঘটনার পরে পরেই সারা বিশ্ব জুড়ে প্রচুর ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি তৈরী হয়ে যায় আর মাত্র এক দশকের মধ্যেই চলচ্চিত্র তার অভিনবত্ত্ব কাটিয়ে উঠে এক বিশাল সর্বজনীন বিনোদনশিল্পে পরিণত হয়।

ফ্রান্স এর লিও শহরের লুমিয়ের ইনস্টিটিউটে রাখা ‘লুমিয়ের সিনেমাটোগ্রাফ’ যন্ত্র

গোড়ার দিকের চলচ্চিত্র ছিল সাদা-কালোয় তোলা, দৈর্ঘ্য ছিল এক মিনিটেরও কম, আর ছিল নির্বাক। ১৮৯০ সাল থেকেই একাধিক শট সংবলিত, বেশ কয়েক মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরী হতে থাকে। ১৮৯৮ সালে তৈরী হয় প্রথম ঘূর্ণায়মান ক্যামেরা যা দিয়ে প্যানিং শট নেওয়া সম্ভব ছিল। ১৮৯৭ সালেই প্রথম ফিল্ম ষ্টুডিও তৈরী হয়ে যায়। স্পেশাল এফেক্ট, এক ঘটনাক্রম থেকে অন্য ঘটনাক্রমে ছবির কন্টিন্যুইটি বা অবিচ্ছেদ্যতা বজায় রাখা, ইত্যাদি নানারকম প্রয়োগকৌশলের ব্যবহার শুরু হয়ে যায়।

১৯০০ সাল থেকেই কন্টিন্যুইটির মাধ্যমে ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং ক্লোজ-আপ শটের ব্যবহার শুরু হয়ে যায় (অনেকে বলেন এর উদ্ভাবক ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ)। এই সময়ের বেশির ভাগ ছবিকেই ‘চেজ ফিল্ম’ বলা যেতে পারে। প্রথম একাধিক রিল সংবলিত কাহিনীচিত্র ১৯০৬ সালে অস্ট্রেলিয়া-তে তৈরী হয়। ১৯০৫ সালে পিটসবার্গে স্থাপিত ‘দ্য নিকেলোডিয়ান’ কে বলা হয় প্রথম স্থায়ী প্রেক্ষাগৃহ যেখানে সফলভাবে শুধুই চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়েছিল। ১৯১০ এর মধ্যেই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম পর্দায় লেখা শুরু হয়, আর চলচ্চিত্র-তারকা হিসাবে তাদের জনপ্রিয়তার রাস্তা খুলে যায়। ১৯১০ থেকে নিয়মিত সংবাদচিত্র প্রদর্শিত হতে থাকে এবং অচিরেই তা’ নতুন সংবাদমাধ্যম হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে যায়। ঐ সময়েই মার্কিন চলচ্চিত্রগুলি অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশের (ফ্রান্স ছাড়া) শেয়ার মার্কেটের বৃহত্তম ভাগীদার হয়ে দাঁড়ায়।

ঐ একই সময়ে কৃত্রিম আলোকে চিত্রগ্রহণ জাতীয় আরও অনেক নতুন প্রয়োগকৌশল জন্ম হয়। তখনই কৃত্রিম আলোয় আগুন জ্বলার বিভ্রম সৃষ্টি করা বা বিশেষ বিপদসূচক দৃশ্যে আলো কমিয়ে ভয়ের পরিবেশ তৈরী (লো-কী লাইটিং) করা সম্ভব হয়েছিল। গল্প বলার নতুন মাধ্যম হিসাবে চলচ্চিত্র যাতে দর্শকের কাছে সহজবোধ্য হয়ে ওঠে তারজন্য বিশেষজ্ঞ লেখক নিযুক্ত হওয়া শুরু হল, যারা বই হিসাবে প্রকাশিত জটিল নাটক-নভেলকে সরল করে ছোট আকারে নিয়ে আসতেন, যাতে একটিমাত্র রিলের মধ্যে তার চিত্ররূপ আঁটানো যায়। চলচ্চিত্রেও জঁর বা বিশেষ পদ্ধতি অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস চালু হল, যদিও কমেডি আর ড্রামারই প্রাধান্য ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় চলচ্চিত্র শিল্পে একটা জটিল রূপান্তর ঘটে যায়। এক রিলের ছোট ছবির জায়গা নেয় পূর্ণদৈর্ঘ্যের কাহিনীচিত্র। প্রেক্ষাগৃহ আকারে বড় হতে থাকে আর পাল্লা দিয়ে বাড়ে টিকিটের দাম। এক শট থেকে অন্য শটে কন্টিন্যুইটি বা অবিচ্ছেদ্যতা বজায় রাখার প্রয়োগকৌশলের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ১৯১৪ সালের মধ্যে এই ধরনের ধারাবাহিকতা যুক্ত ছবিই বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রের প্রধান ঘরানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে যায়।

ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ ছিলেন সেইসময় মার্কিন চলচ্চিত্র শিল্পের স্তম্ভস্বরূপ। দর্শকদের মধ্যে নাটকীয় উত্তেজনা সঞ্চারে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস এঞ্জেলেস শহরের প্রান্তে হলিউড অঞ্চলে তিনিই প্রথম শুটিং করেন আর অচিরেই হলিউড হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র তথা সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রাণকেন্দ্র। ১৯২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে চলচ্চিত্র উৎপাদনে শীর্ষস্থান দখল করে নেয়, প্রতি বছর গড়ে কমকরে ৮০০ চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হত।[১] সারা বিশ্বে নির্মিত চলচ্চিত্রের ৮২% ই এখানে তৈরী হত। বিশ্বখ্যাত বিনোদন কোম্পানি ওয়ার্নার ব্রাদার্স তৈরী করেন দ্য জ্যাজ সিঙ্গার, এই ছবিতে প্রথম সিঙ্ক্রোনাইজড বা সমলয় সংলাপ এবং সমলয় সংগীত ব্যবহার করা হয়। ১৯২৭ সালে এই ছবি মুক্তি পাবার সঙ্গেই নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের অবসান ঘটে।[২] ১৯২৯ সালের শেষে গিয়ে দেখা যায় হলিউডের প্রায় সমস্ত ছবিই সবাক। তখন অবশ্য শব্দগ্রহণ যন্ত্রের প্রমিতকরণ ঘটেনি, কিন্তু অতিদ্রুত সেটাও হয়ে যায়। শব্দের ব্যবহার শুরু হওয়ার জন্যেই হলিউডের চলচ্চিত্রশিল্প সেই সময়ের মারণ অর্থনৈতিক গ্রেট ডিপ্রেশনের হাত থেকে রক্ষা পায়।[৩]

যুদ্ধের সময়ে প্রচারমূলক ছবির হাত ধরে যুক্তরাজ্যে চলচ্চিত্র শিল্পে নবজাগরন আসে, প্রচুর বাস্তবানুগ যুদ্ধ-সম্পর্কিত চলচ্চিত্র তৈরী হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে অনেক দেশভক্তিপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারমূলক ছবিও তৈরী হতে থাকে। ১৯৫০ এর আশেপাশে হাউস আন-আমেরিকান এক্টিভিটিস কমিটি হলিউডে তদন্ত চালিয়ে প্রচুর কলাকুশলীকে কালো-তালিকাভুক্ত করে।[৪] বিশ্বযুদ্ধের অব্যবহিত পরেই দূরদর্শনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সামনে চলচ্চিত্রশিল্প কিছুটা বিপন্ন হয়ে পড়ে, বেশ কিছু কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যায়, অনেক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে ১৯৫০ এর দশক থেকে বিশ্ব জুড়ে ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষার চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে স্বর্ণযুগ শুরু হয়ে যায়।

পৃথিবীর সর্ব প্রথম সিনেমার দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ২ সেকেন্ড। 

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+3 টি ভোট
1 উত্তর 2,208 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 127 বার দেখা হয়েছে
+8 টি ভোট
2 টি উত্তর 328 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 553 বার দেখা হয়েছে
18 ফেব্রুয়ারি 2022 "রসায়ন" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rayhan Shikder (9,310 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,880 জন সদস্য

51 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 51 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. KieranShacke

    100 পয়েন্ট

  2. ArronGil956

    100 পয়েন্ট

  3. TerriStack30

    100 পয়েন্ট

  4. MadelineWeng

    100 পয়েন্ট

  5. RomaineGrazi

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...