আমি দীর্ঘ ৩-৪ বছর মৃগী রোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলাম কিন্তু গত ১৩ দিন আগে রোগটি পুনরায় দেখা যায়,,৩-৪ বছরের ভিতর উপশপ দেখা যেত কিছু কিন্তু সেগুলো আমি নিজেই কন্ট্রোল করতে পারতাম,এখনও সেরকম উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, যেমন বাম হাত ভারী থাকা,বাম হাত উপরে উঠাতে অসুবিধা,,হাতের ভিতর হালকা খিচুনি,এখন আমার করনীয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+6 টি ভোট
228 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (180 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (5,060 পয়েন্ট)

মৃগীরোগের চিকিৎসা

মৃগীরোগের চিকিৎসা প্রধানত কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল; যেমন:
অ্যান্টি-এপিলেপটিক ওষুধ
অ্যান্টি-এপিলেপটিক ওষুধগুলোর সাধারণত পছন্দসই চিকিৎসাব্যবস্থা। প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ৭০ শতাংশ ঘটনায় ওষুধ দিয়েই উপসর্গগুলো বা খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণ বা নিরাময় করা গিয়েছে। মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত হওয়া রাসায়নিকগুলোর পরিমাণ পরিবর্তন করে এই ওষুধগুলো খিঁচুনির তীব্রতা ও পুনরাবৃত্তির হার হ্রাস করতে সাহায্য করে। যদিও এই ওষুধগুলো মৃগীরোগের নিরাময় করতে পারে না, কিন্তু নিয়মিত চিকিৎসায় খিঁচুনির ঘটনার পুনরাবৃত্তির হার হ্রাস করে। এই ওষুধগুলো বিভিন্ন ধরনের পাওয়া যায়।

চিকিৎসার শুরুতে ওষুধ অল্প মাত্রায় প্রয়োগ করা হয় এবং খিঁচুনির ঘটনা না থামা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে ওষুধের মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়। কোনো অর্থপূর্ণ প্রতিক্রিয়া বা উন্নতি না দেখা গেলে চিকিৎসক ওষুধ পরিবর্তন করতে পারেন। মৃগীরোগের ধরনের ওপরে ওষুধের ধরন নির্ভর করে এবং শুধু একজন চিকিৎসকই এই ওষুধগুলো প্রেসক্রাইব করতে পারেন। রোগী যদি অন্য কোনো ওষুধ নিতে থাকেন, তাহলে ডাক্তারকে তা জানাতে হবে।

কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ তা ডাক্তারকে জানাতে হবে। সুতরাং যেভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, ওষুধগুলো ঠিক সেইভাবেই সেবন করতে হবে। ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে। ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা যাবে না। রোগীর মেজাজের কোনো পরিবর্তন লক্ষ করলে ডাক্তারকে তা জানাতে হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ অ্যান্টি-এপিলেপটিক ওষুধই বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়াই বাঁচতে পারবেন।

শল্য চিকিৎসা

ওষুধে খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণে না এলে অথবা বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে শল্য চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হতে পারে। অস্ত্রোপচারের সময় মস্তিষ্কের প্রভাবিত অংশ বাদ দেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার তখনই করা হয়, যখন মস্তিষ্কের খুব ছোট এলাকা প্রভাবিত হয় এবং সেই এলাকা শরীরের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ, যেমন: বাক্‌শক্তি, শ্রবণশক্তি, চলাফেরা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নড়াচড়া ও সমন্বয় ইত্যাদির কোনো ক্ষতি করে না।
এ ছাড়া কিটো-জেনিক ডায়েট, ইপিলেপসি সার্জারি, ভেগাল নার্ভ স্টিমুলেশন (ভিএনএস), রেসপন্সিভ নার্ভ স্টিমুলেশন (আরএনএস) স্টেরিওট্যাকটিক সার্জারি ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়। এসব চিকিৎসা সাধারণত উন্নত বিশ্বে হয়ে থাকে।

জীবনধারার ব্যবস্থাপনা

খিঁচুনির নিয়ন্ত্রণ জরুরি কারণ এটি বিপজ্জনক এবং জটিল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
• নিয়মিত ওষুধ সেবন করা। ডাক্তারের অনুমতি ছাড়া ওষুধ বন্ধ কর যাবে না।
• খিঁচুনি বা মৃগীরোগ শুরুর কারণ খুঁজে বের করুন। খুব সাধারণ কারণগুলো হলো নিয়মিত ওষুধ না খাওয়া, মানসিক চাপ, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, মদ্যপান, অনিদ্রা, উজ্জ্বল আলো, জোরে আওয়াজ ইত্যাদি খিঁচুনি সৃষ্টি করে।
• খিঁচুনি কবে ও কখন শুরু হলো, এর তীব্রতা কত, কতক্ষণ ধরে হয়েছে এবং তার সঙ্গে খিঁচুনি শুরুর আগে আপনি কী করছিলেন, তা বিস্তারিত লিখে রাখুন।
• খিঁচুনি শুরুর কারণগুলোকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করার নিয়ম—
১. নিয়মিত ওষুধ সেবন করা।
২. খাওয়াদাওয়া সময়মতো করা।
৩. ঘুমানোর জন্য তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ার চেষ্টা করা।
৪. শ্বাসের হালকা ব্যায়াম করা।
৫. মদ্যপান না করা।
৬. নেশাজাতীয় ওষুধ সেবন না করা।

• খিঁচুনি খুব ঘন ঘন হলে গাড়ি চালানো, সাঁতার কাটা এবং রান্না করা যাবে না। কারণ, এগুলো করার সময় খিঁচুনি হলে তা খুবই ক্ষতিকারক হবে।
• বাড়ির আসবাবপত্রগুলোর কোণ মসৃণ হতে হবে।
• স্নান করার সময় স্নানঘরের দরজা বন্ধ করা যাবে না।
• বাথটাবে স্নান করার বদলে শাওয়ার ব্যবহার করতে হবে। এতে খিঁচুনি শুরু হলে বাথটাবে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
• সাঁতার কাটার সময় এমন সঙ্গী সঙ্গে রাখুন, যিনি আপনার খিঁচুনি শুরু হলে আপনাকে উদ্ধার করতে পারবেন।
• ঘরের বাইরে কোনো খেলাধুলার সময় মাথায় হেলমেট ব্যবহার করতে হবে।
খিঁচুনিতে আক্রান্ত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা
• আক্রান্ত রোগীকে মেঝেতে শুইয়ে দিতে হবে এবং গায়ের কাপড় খুলে দিতে হবে।
• আশপাশের ধারালো জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলতে হবে।
• রোগীকে একপাশে করে শোয়াতে হবে যাতে করে লালা বা থুতু মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে।
• মাথার নিচে নরম কাপড় ভাঁজ করে দিতে হবে।
• রোগীর মুখে কোনো কিছু দেওয়া যাবে না।
• খিঁচুনির পরে রোগীকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম বা ঘুমাতে দিতে হবে।
মৃগীরোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ মানুষ সঠিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবা নিলে সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 154 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 92 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 212 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 142 বার দেখা হয়েছে

10,722 টি প্রশ্ন

18,365 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,643 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...