বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন কীভাবে হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
1,321 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

বাঁশের চাল, এটা মুয়ালারি নামেও পরিচতি। গবেষণা মতে, এটা বনাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীদের আয়ের প্রধান উৎস। বাঁশের চাল মূলত মরা বাঁশের অঙ্কুরিত বীজ, যা একটি বাঁশের জীবনকালের শেষ দিকে হয়। যেখান থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হয় সেই বয়স্ক গাছে ফুল ধরতে অনেক বছর লাগে। তাই এই চাল সহজলভ্য নয়।  

রান্নায় বাঁশের চালঃ

রান্নার ক্ষেত্রে এটা অন্য চালের মতোই এবং এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। রান্নার পর যে গঠনগত উৎকর্ষতা পাওয়া যায় সেখানেই এর ভিন্নতা রয়েছে। এটা বেশি চিবাতে হয় ও ভেজাভেজা ভাব থাকে এবং এই চাল খিচুড়ি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় বেশি।

উচ্চমাত্রায় প্রোটিনঃ

এক গবেষণায় বলা হয়, এতে যে কোনো ধরনের চাল ও গমের চেয়েও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে। একই সঙ্গে এটি হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, পিঠের ব্যথা ও বাতজনিত ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা বাঁশের চাল নিয়মিত খেলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এটার ডায়বেটিস প্রতিরোধের গুণ আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন ওষুধি গুণ থাকার কারণে বাঁশের চাল তাদের কাছে দারুন পছন্দের হতে পারে। এটা গর্ভবতী মায়ের জন্য ভিটামিনের অভাব পূরণে খুবেই উপকারী এবং কফ, পিত্ত দোষের মতো সমস্যাগুলো নিরাময়ের জন্যও খুব কার্যকরী। এটি খাবারের জগতে নতুন, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারে ভরপুর। যদিও গবেষকরা এর ব্যাপক সম্ভবনার বিষয়টি অনুভব করলেও ব্যবসায়ীরা ভাবছেন- সময়ই বলে দেবে মানুষ এটা পছন্দ করবে কিনা। 

সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

0 টি ভোট
করেছেন (7,800 পয়েন্ট)
বাঁশ হলো একধরনের ঘাস যা ধান ও গমসহ একইসাথে Poaceae (পোয়াসী) পরিবারের অন্তর্ভুক্ত। ঘাসদের মধ্যে সবচেয়ে বড় প্রজাতি ধরা হয় বাশকে। সেই সূত্র ধরেই বাঁশের ফুল থেকে উৎপাদন হয় শস্যও। সচরাচর বাঁশে ফুলের দেখা না মিললেও প্রকৃতপক্ষে জীবনচক্রের প্রায় শেষের দিকে কিছু কিছু প্রজাতির বাঁশ গাছের ডালপালায় প্রচুর ফুলের মঞ্জরি আসতে শুরু করে। ধীরে ধীরে এই মঞ্জরি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং নতুন ফুলের কুড়ি দেখা যায়। কুড়িগুলো বৃদ্ধি পেয়ে নতুন পূর্ণাঙ্গ ফুলে পরিণত হয়। কিছু প্রজাতির বাশ জীবনচক্রে ২ থেকে ৩ বার ফুল দেয়। তবে অধিকাংশ প্রজাতির বাশ জীবনে একবার ফুল দিয়েই মারা যায়। প্রজাতি ভেদে বাঁশ গাছে এই ফুল আসতে সময় লাগে প্রায় ২০ থেকে ১৩০ বছর পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু উদ্ভিদে ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যেই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। মজার বিষয় হলো ভৌগলিক স্থান এবং বয়স ভেদে যখন কোনো প্রজাতির বাঁশে ফুল আসে তখন একইসাথে সেই প্রজাতির সকল বাঁশেই ফুল আসে। ফুলে বীজ সৃষ্টির পর তা দেখতে হয় অনেকটা ধানের বীজের মতো। আমাদের উপমহাদেশীয় অঞ্চলে অনেকেই একে বাঁশের চাল বলে আখ্যায়িত করেন। এই শস্যদানা অনেকে পুষ্টিসম্পন্ন মনে করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। তবে প্রকৃতপক্ষেই এই বাঁশের বীজে অনেক পুষ্টিগুণ বিদ্যমান থাকে। এই শস্যদানা রান্নার পরও দেখতে অন্যান্য চালের মতো হয় এবং অনেক সুস্বাদু হয়। বরং এই বাঁশের চালে গম ও অন্যান্য চালের থেকে অধিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা শরীরের বিভিন্ন স্থানের ব্যাথা দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি বাঁশের চালে কোলেস্টেরলের মাত্রা থাকে অনেক কম এবং এই চাল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক উপকারী একটি খাদ্য।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 300 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 508 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 415 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
3 টি উত্তর 5,758 বার দেখা হয়েছে
15 মার্চ 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 374 বার দেখা হয়েছে
16 এপ্রিল 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)

10,855 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

852,833 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 22 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. nohu90abycom

    100 পয়েন্ট

  2. 88vvgroup

    100 পয়েন্ট

  3. s666abccom

    100 পয়েন্ট

  4. lc888tech

    100 পয়েন্ট

  5. Lc88llc

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...