মহাকাশ ভ্রমণে বয়স কম বাড়ে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
2,746 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

এটা হবে টাইম ডিলেশনের কারণে। আমাদের মহাবিশ্বের সকল যায়গায় সময় একই গতিতে চলে না, এর কারণ স্পেস-টাইম বা স্পেস-ফেব্রিকের বক্রতা। সময় এবং স্পেস দুইটাকেই আমরা যেরকম ভাবি সাধারণত, আসলে কিন্তু সেরকম না। আমরা ভাবি সময় একইভাবে চলে বা অপরিবর্তিত, কিন্তু সময় ফ্লেক্সিবল একটা জিনিস, ক্ষেত্র বিশেষ এর পরিবর্তন ঘটে। যেমন গ্রাভিটির কারণেও সময় এর পরিবর্তন বা ব্যাবধান ঘটে। 

স্পেস কে আমরা ৩ মাত্রিক (যার শুধু দৈর্ঘ প্রস্থ উচ্চতা আছে) বা থ্রি-ডাইমেনশন হিসেবেই দেখি বা কল্পনা করি। কিন্তু এতে ৪র্থ মাত্রা বা ডাইমেনশন হিসেবে সময়ও আছে। সময় এবং স্পেস মিলে যা হয় তাকে বলে স্পেস্টাইম(যা ৪ মাত্রিক অবস্থায় থাকে)। এবং স্পেস কে আমরা সাধারণ ভাবে দেখলেও এটি চার মাত্রিক তলে (স্পেস-টাইমে) অবস্থিত (বুঝার সুবিধায় মনে করুন একটি বিছানার চাদর চারদিক থেকে টান টান করে আটকানো, এবং এই চাদরে একটি লোহার বল ছাড়লে তার ভরে অবশ্যই চাদরটি বলের জায়গায় বক্রতা সৃষ্টি করবে, যত ভাড়ি বল রাখবেন তত বেশি বক্রতা সৃষ্টি করবে, এক্ষেত্রে চাদরটিকে স্পেস ফেব্রিক ভাবতে পারেন। মূলত সময় এবং স্পেস এর কম্বিনেশন এর ৪ মাত্রিক অবস্থাটিই স্পেস-টাইম বা স্পেস-ফেব্রিক, বুঝার জন্য একেই একটি তল বললাম। 

আসলে এটি ৪ মাত্রিক অবস্থা যা এভাবে বুঝানো যাচ্ছে না। এরকম ভাবে, স্পেস এ যে অবজেক্ট এর ভর যত বেশি সে তত বেশি বক্রতার সৃষ্টি করে স্পেস ফেব্রিক বা স্পেস্টাইমে। একটি সোজা পথে যেতে যতটুকু সময় লাগবে,যদি রাস্তার মাঝে বিশাল গর্ত থাকে (নিচের দিকে রাস্তায় বক্রতা সৃষ্টি হল) তাহলে অবশ্যই যেতে বেশি সময় লাগবে। অর্থাৎ, স্পেস ফেব্রিক এ যত বেশি বক্রতা হবে সেখানে সময় ও তত ধীরে চলবে। পৃথিবীর থেকে অনেক বেশি ভরের একটি গ্রহ অবশ্যই স্পেসটাইমে বক্রতার সৃষ্টি অনেক বেশি করবে যে কারণে সেখানে সময় আরো ধীরে চলেবে। ফলে পৃথিবী এবং সেই গ্রহে সময়ের গতি এক হবে না।

এবার ভাবুন আপনি স্পেসের এমন এক জায়গায় গেলেন সেখানে পৃথিবীর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ভরের একটি গ্রহ আছে, সেই গ্রহের পাশে স্পেস-ফেব্রিক এর বক্রতাও ১০০ গুণ বেশি হবে এবং এর ফলে সেখানে আমাদের পৃথিবীর তুলনায় সময় একশ গুণ ধীর চলবে, যার ফলে সেই গ্রহের পাশে যখন আপনি মাত্র এক বছর কাটাবেন এদিকে আমাদের পৃথিবীতে ১০০ বছর কেটে যাবে। এরকম কোথাও গেলে এসে দেখবেন আপনার বাচ্চা রা বুড়ো হয়ে গেছে একদম। আবার যদি স্পেসের এরকম কোথাও না যান তবে আপনি এমন একটি রকেটে যাত্রা করেন যেটার গতি আলোর গতির প্রায় কাছাকাছি তাহলেও সময় আপনার নিকট ধীর হয়ে যাবে। সময় যেহেতু কোন একটা গতিতে চলে তাহলে আপনি আপনার গতি যত বাড়াবেন ততটাই সময়ের কাছাকাছি যাবেন। 

যেমন ধরে নিন : সময়ের গতি একটি  বাসের সমান এবং আপনি একটি বাইকে যাচ্ছেন, এখন আপনি বাইকের গতি যত বাড়াবেন সেটা ততটাই বাসের কাছাকাছি যাবে,অন্যদিকে আপনার পিছে আরেকজন সাইকেলে আসছে, সেও চেস্টা করছে বাসের কাছে আসতে। এক্ষেত্রে আপনি বাসটিকে যতটা জোরে চলতে দেখবেন সাইকেলওয়ালা আরো অনেকটা বেশি জোরে চলতে দেখবে, কারণ বাসের সাপেক্ষে আপনার গতি কম কিন্তু বাসের সাপেক্ষে সাইকেলের গতি আরো কম। এরকম যদি আপনি দ্রুত চলমান অবস্থায় থাকেন তাহলে যে স্থির বা আপনার থেকে কম গতিসম্পন্ন তার থেকে সময় আপনার জন্য ধীরে চলবে।

তাই পৃথিবীতে আপনার বাচ্চাদের চলার গতি প্রায় নেই বলা যায়, অন্যদিকে আপনি আলোর কাছাকাছি গতিতে ভ্রমণ করার সময় আপনার নিকট সময় অনেক ধীর চলবে ফলে আপনার যখন মাত্র এক বছর কাটবে এদিকে পৃথিবীর সবার অনেক গুলো বছর কেটে যাবে। এখন ভাবতে পারেন আপনার শরীর এর বয়স কেন বাড়ল না (লাইট ক্লক নিয়ে একটু দেখে নিলে এটা ভালোভাবে বুঝবেন)। আপনি মহাবিশ্বের যে স্থানে আছেন বা আপনার নিকট সময় যে গতিতে চলছে আপনার শরীরের প্রতিটি রাসায়নিক বিক্রিয়াও সেই সময়ের গতির সাথে মিলিয়েই চলে। 

অর্থাৎ, আপনি পৃথিবীতে থাকলে শরীরের রাসায়নিক ক্রিয়াগুলো যেভাবে চলত যদি স্পেসের এমন কোথাও যান যেখানে সময় ১০০ গুণ ধীরে চলে তবে সেখানে আপনার শারীরিক ও রাসায়নিক ক্রিয়াসমূহ ও ১০০ গুণ ধীরেই চলবে ফলে শারীরিক বয়স টাও সেখানকার সময়ের সমানই বৃদ্ধি পাবে।

ক্রেডিট: Warman Hasbi (Science Bee)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+8 টি ভোট
1 উত্তর 280 বার দেখা হয়েছে
14 নভেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৫ (123,390 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 463 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
1 উত্তর 5,865 বার দেখা হয়েছে

10,767 টি প্রশ্ন

18,435 টি উত্তর

4,740 টি মন্তব্য

254,082 জন সদস্য

39 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    360 পয়েন্ট

  2. Ayesha Akter

    160 পয়েন্ট

  3. Zeet Baral 1

    140 পয়েন্ট

  4. Md Abu Mostafa

    130 পয়েন্ট

  5. Sheikh Zimraan Bin W

    120 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...