কোয়ান্টাম ফ্ল্যাকচুয়েশান কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
523 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (7,990 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (28,330 পয়েন্ট)
ধারণা করা হয় যে মহাবিশ্শে পরম শূন্য স্থান বলতে কিছু নেই। প্রকৃতি শুন্যতা পছন্দ করে না। পরম শূন্য স্থানে এক সেকন্ডের বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ সময়ের মধ্যে শক্তি কনা ও প্রতিকণা (antimatter) তৈরী হচ্ছে ও মুহুর্তের মধ্যে একটার সাথে আরেকটার সংঘর্ষের ফলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনার স্তায়িত্ব মাত্র sqrt(10)-21 সেকেন্ড। এটাই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন।

এই ধারণার উতপত্তি হয়েছে Werner Heisenberg এর অনিশ্চয়তা নীতি থেকে। অনিশ্চয়তা নীতি অনুসারে কোনো কনার অবস্তান (position) ও ভরবেগ (momentum) একসাথে নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তাদের কোনো একটা নির্ভুলভাবে মাপতে গেলে অন্যটা তখন অন্যটা নির্ভুলভাবে মাপা যাবে না। এটা এই কারণে নয় যে আমাদের যন্ত্রপাতি কম উন্নত। এটাই হলো প্রকৃতির মৌলিক নিয়ম ।

কোনো কিছু নির্ভুলভাবে মাপার জন্য কনার উপর আলো ফেলতে হয়। আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যদি যদি বড় হয় তখন কনার অবস্তান নিখুতভাবে জানা যায় না। কনার অবস্তান নিখুতভাবে জানতে হলে ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘের আলো ফেলতে হয়। কিন্তু আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত ছোট তার শক্তি ও তত বেশি। তাছাড়া ইচ্ছামত আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও ছোট করা যাবে না। কমপক্ষে এক কোয়ান্টাম পরিমান আলো ফেলতে হয়। যখন ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘের আলো কোনো কনিকার উপর ফেলা হয় তখন আলোর শক্তি কনিকা টিকে অস্তির করে তুলবে। ফলে ভরবেগের অনিশ্চয়তা ও বাড়বে।

অনিশ্চয়তা নীতির অবস্তান ও ভরবেগ কে সময় ও শক্তির কেতরে বেবহার করা যায়। একেত্রে শূণ্য স্থানে কোনো শুন্যতা থাকবে না। তার মধ্যে সব সময় শক্তি কনার উত্পত্তি ও ধংশ হতে থাকবে। শূন্য স্থান মানে হলো অবস্তান ও ভরবেগ শূন্য যা কখনই সম্ভব নয়।

অনিশ্চয়তা নীতির সুত্র (Δq) (Δp) ≥ ℏ/2 ।

সময় ও শক্তির সুত্রটা হবে (ΔT) (ΔE) ≥ ℏ/2 ।

টপ কুয়ার্কের ভোরের পরিমান ও ল্যাম্ব শিফট কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের খুব ভালো প্রমান। সবচাইতে জোরালো প্রমান হলো ১৯৪৮ সালে ডাচ পদার্থবিদ হেনরিক কসিমির বলেছিলেন যে যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন সত্যি হয়ে থাকে তাহলে দুটি পাতলা দাতব পাত কাছা কাছি আনা হলে একটা আরেকটা কে ধীরে ধীরে আকর্ষণ করবে। কারণ ধাতব পাত্সমূহের মধ্যবর্তী স্থানে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের ফলে উচ্চ কম্পনাংকের তড়িত চম্বকীয় মোড এর উদ্ভব ঘটবে আর যেহেতু পাতগুলোর বাইরে সব কম্পনাংকের মোডের সৃষ্টি হবে সেহেতু বাহিরের অধিক চাপ পাত্গুলোকে একে অপরের দিকে আকর্ষিত করবে। এ বেপারটি পরবর্তিতে মার্কস স্পার্নে, স্টিভ লেমোরাক্স সহ অনেক বিজ্ঞানীদের পরীক্ষায় প্রমানিত হয়।

অনেকে মনে করে যে মহাবিশ্ব বিগবাং থেকে তৈরী হয়েছে সেটা সঠিক নয়। বিগ বাং মহাবিশ্ব তৈরী অনেকগুলো ধাপের একটা ধাপ মাত্র। তার আগেও অনেক কিছু হয়েছে। Inflationary theory অনুসারে ম্যাটার, আন্টি ম্যাটার ও ফোটন ফলস ভাকাউমের (False Vacuum) এনার্জি দিয়ে তৈরী হয়েছে। তারপর সেগুলো স্ফীতি তত্ত্ব অনুসারে দশা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্ফিত হয়েছে তারপর বিগবাং তৈরী করেছে।

এখন প্রশ্ন হলো ফলস ভ্যাকুয়াম এর ওই এনেরি কুথা থেকে আসল। আসলে শুন্নস্তানে অসংখ কোয়ান্টাম ফ্লাক্চুয়্শন ঘটে। কোনো কারণে হয়ত অনেক কেতরে পসিটিভ এনার্জি ও নেগেটিভ এনার্জি একে অপরকে ধংশ করতে পারে না। তাই কিছু ম্যাটার থেকে যায় যা ধংশ হয় না। সেগুলো তখন inflation এর মধ্যে পরে যায় তারপর বিগবাং হয়ে মহাবিশ্ব হয়।

এখনো হয়ত শূন্য স্থান গুলোতে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন হচ্ছে ও নতুন নতুন মহাবিশ্ব তৈরী হচ্ছে। যদি শূন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরী হয় তাহলে শক্তির নিত্ততা নীতির জন্য মহাবিশ্বের বর্তমান শক্তি ও শূন্য হবার কথা। যদি আমরা মহাবিশ্বের সব পদার্থ কে পসিটিভ শক্তি ও মহাকর্ষ বল কে নেগেটিভ শক্তি ধরি তাহলে দেখা যায় যে মহা বিশ্বে উভয়টার পরিমান সমান। তাই বলা যায় যে মহাবিশ্বের মোট শক্তি শূন্য। এখানে শক্তির নিত্ততা নীতির কোনো লঙ্গন হয় নাই।

শূন্য থেকে মহাবিশ্ব তৈরী হতে ইশ্বরের দরকার পরে নাই। সবকিছু পদাথের নিজস্সো নিয়মে হয়েছে। প্রশ্ন হতে পারে কথা থেকে পধার্থের ওই নিয়মগুলো আসল? অনেকগুলো পদার্থের মিশ্রনে যখন কোনো পরিবেশ তৈরী হয় তখন পদার্থের নিজ গুন ও পারিপার্শিক পদার্থগুলোর গুনাবলীর সং মিশ্রনে পদার্থের নিয়মগুলো তৈরী হয়। কিন্তু যখন সেটা জটিল থেকে জটিল তর হয় তখন সেটা বুজা কঠিন হয়ে যায়। একটা সহজ উধাহরণ দেই। সাগরের পানি তার নিজস্সো নিয়মে সূর্যের তাপ পড়লে বাস্প হয়। বাস্প তার নিজস্সো নিয়মে ও পরিবেশ গত কারণে উপরে উটে যায় ও ঠান্ডা হয়ে মেঘ হয়ে পড়ে। তারপর ও মেঘের পানি দ্বারা নদী তৈরী হয়। সবকিছু ঘটে এভাবেই নিজস্সো নিয়মে।

- সুবির চৌধুরী

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 267 বার দেখা হয়েছে
02 অক্টোবর 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 452 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 8,905 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,217 বার দেখা হয়েছে

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

561,924 জন সদস্য

51 জন অনলাইনে রয়েছে
14 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...