প্লুটো কেন গ্রহ নয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
548 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

১৯৩০ সালে আবিষ্কারের পর থেকে ৯০ দশক পর্যন্ত সবচেয়ে ছোট এবং কিউট নাম বিশিষ্ট প্লুটোকে মানুষ গ্রহ হিসেবেই চিনে এসেছে । কিন্তু ঝামেলাটা শুরু হল তখনি যখন ৯০ পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা তর্কে লেগে গেলেন প্লুটোকে নিয়ে । অবশেষে ২০০৬ সালের ২৪শে আগস্ট প্লুটোকে চিরতরে বাদ দিয়ে দেয়া হল গ্রহের তালিকা থেকে।

বেচারা প্লুটো কি দোষ করেছিল বা তার কি যোগ্যতার অভাব ছিলো তা জানার আগে চলুন জেনে নিই তার ইতিহাস সম্পর্কে।

ক্লাইড টমবো” নামের ২৩ বছরের এক তরুন ১৯৩০ সালে আবিষ্কার করেন প্লুটো গ্রহ। আবিষ্কারক ক্লাইড টমবো প্লুটোকে নিয়ে অসন্তোষ দেখা যেতে থাকে যখন এর একটি উপগ্রহ আবিষ্কার করা হয়, যা কিনা প্লুটোর চেয়েই আকারে বড়! এটা গ্রহের নিয়মের পরিপন্থী । এছাড়া বিজ্ঞানীরা পরে আরো কিছু বস্তু আবিষ্কার করেন যাদের ভর প্লুটোর ভরের চেয়ে বেশী।তাহলে তারাও তো নিজেকে দাবি করতেই পারে গ্রহের খাতায় নাম লেখানোর জন্য। তবে কি সবাইকেই গ্রহের মর্যাদা দেয়া হবে?
এমতাবস্থায় বিজ্ঞানীর গ্রহের মর্যাদার যোগ্য হবার জন্য তিনটি যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেন । যদি এই মর্যাদার পরীক্ষায় প্লুটো উত্তীর্ণ হতে পারে তাহলেই সে পাবে গ্রহের মর্যাদা । তো কি সেই তিনটি যোগ্যতা? চলুন দেখে নিই ।

সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরতে হবে ।
যথেষ্ট পরিমাণ ভর থাকতে হবে যেন তার অভিকর্ষীয় শক্তির মাধ্যমে নিজেকে গোলাকার আকার ধারণ করাতে পারে।
কক্ষপথে ঘোরার সময় তার আশেপাশের শক্তিশালী প্রভাব থাকতে হবে যেন তার আশে পাশে অবস্থিত ঘোরায় বাধা সৃষ্টিকারী বস্তু সমূহ দূর হয়ে যায়। প্রথম পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে পাশ করে গেলেও শেষ দুইটিতে এসে আমাদের প্লুটো বেচারা একেবারেই ফেল। এসব দিক বিবেচনা করেই এর পরে প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

আর এভাবেই , আমাদের ছোটবেলায় পড়ে আসা গ্রহের তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় প্লুটো।

প্লুটো সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য:
প্লুটো আকারে প্রায় চাঁদের সমান।
সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এর সময় লাগে ২৪৮ বছর।
সূর্য থেকে প্লুটোতে আলো পৌছাতে সময় লাগে পাঁচ ঘন্টা যেখানে পৃথিবীতে লাগে মাত্র আট মিনিট।

পরিশেষে আশা করি প্লুটো একদিন তার হারানো সম্মান ফিরে পাবে!

​​​সংগৃহিত

0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
প্লুটো আর গ্রহ নয়

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আর্ন্তজাতিক সম্মেলনে নতুন তিনটি মহাজাগতিক বস্তুকে গ্রহের মর্যাদা দিয়ে সৌর জগতের মোট গ্রহের সংখ্যা ১২টি করা হতে পারে- জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আর্ন্তজাতিক সংস্থা আই.এ.ইউয়ের নেতাদের সেই রকম পরিকল্পনা থাকলেও এ বিষয় নিয়ে ভোটাভুটির ফলাফল সম্পুর্ন উল্টো হয়েছে এবং ১৯৩০ সালে আবিষ্কার হওয়া গ্রহ প্লুটো তার গ্রহের মর্যাদা হারিয়েছে৻

 

এর ফলে পাঠ্য বইয়ে আবার নতুন কোরে লিখতে হবে যে সৌর জগতে গ্রহের সংখ্যা ৯টির জায়গায় এখন আটটি৻ সম্মেলনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে রিচার্ড বিনজেল, যিনি নিজে গ্রহের সংজ্ঞা নির্ধারনের কাজের সাথে জড়িত ছিলেন বলেন এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা৻ সহস্র বছর পর এই প্রথম বিজ্ঞানীরা গ্রহের প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারন করলেন৻ প্রাচীন আমলে গ্রীকরা প্রথমে প্ল্যানেট বা গ্রহ শব্দটি আবিষ্কার করেছিলেন৻

 

ভাবতেও অবাক লাগে এতদিন গ্রহের সুনির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা ছিল না৻ কিন্তু কেন এতদিন পরে এখন গ্রহের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বিবিসির বিজ্ঞান বিষয়ক ভাষ্যকার ম্যাট ম্যাকগ্রাথ৻ তিনি বলছেন ১৯৯০-এর দশকে আধুনিক টেলিস্কোপগুলোর শক্তি এবং দেখার ক্ষমতা ক্রমেই বাড়তে থাকে৻ এগুলোর মাধ্যমে সৌর জগতের বাইরের দিকের সীমানায় কুইপার বেল্ট নামে এলাকায় বেশ কিছু মহাজাগতিক বস্তু দেখা যায়, যেগুলোর আকার এবং প্রকৃতি প্লুটোর মতন৻ তা ছাড়া বিজ্ঞানীরা দেখতে পান সৌর জগতের অন্যান্য গ্রহের চাইতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে প্লুটোর অনেক বেশী সময় লাগে – পুরো ২৪৭ বছর৻

 

অনেক দিন ধরেই বিজ্ঞানীরা যত বেশী করে প্লুটো সম্পর্কে জানতে পারছিলেন, ততই গ্রহ হিসাবে প্লুটোর মর্যাদা নিয়ে তাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছিল৻ সেই সব সংশয় দূর করার জন্যই চেক প্রজাতন্ত্রের রাজ্বধানী প্রাগের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন আড়াই হাজারের বেশী জ্যোতির্বিজ্ঞানী৻

 

তাদের বক্তব্য ছিল মহাজাগতিক কোন বস্তুকে গ্রহের মর্যাদা পেতে হলে সেগুলোকে কোন নক্ষত্রের চতুর্দিক প্রদক্ষিন করতে হবে এবং সেগুলো নিজে নক্ষত্র হতে পারবে না৻ এটাকে আকারে যথেষ্ট বড় হতে হবে যাতে করে সেই মহাজাগতিক বস্তুটি তার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে গোলাকার রূপ পায়৻ আর তাছাড়া ঐ সম্ভাব্য গ্রহটির নিজের কক্ষপথ পরিষ্কার থাকতে হবে৻

 

আর এই শেষ শর্তটিতে এসে প্লুটোর গ্রহের মর্যাদা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়৻ কারণ প্লুটোর কক্ষপথ তার চাইতে অনেক বড় গ্রহ নেপচুনের কক্ষপথের মধ্যে গিয়ে পড়ে৻ সে কারণেই প্লুটোকে আর গ্রহ বলা হবে না৻ প্লুটোকে ফেলা হবে নতুন এক শ্রেনীতে যাকে বলা হবে ডোয়ার্ফ প্ল্যানেট বা ক্ষুদ্রাকার গ্রহ।

 

সূত্র- বিবিসি বাংলা
0 টি ভোট
করেছেন (140 পয়েন্ট)
১৯৩০ সালে লর্ড ক্লাউড টোম্বাউ প্লুটো আবিষ্কার করেন ৷ তখন সূর্যকে আবর্তন করলেই গ্রহ বলা হতো ৷ সে অনুযায়ী প্লুটো গ্রহ হিসেবে স্বীকৃতি পায় ৷ পরবর্তীতে নেপচুনের পরে এরিস, মাকিমাকি, হওমেয়াসহ আরও অনেক বস্তু আবিষ্কৃত হয় ৷ বস্তুগুলোর সাথে প্লুটোর অনেক সাদৃশ্য লক্ষ্য করা হয় ৷ গ্রহ হিসেবে প্লুটোকে পৃথিবীর চেয়েও বড় ভাবা হয়েছিল, পরে দেখা গেল প্লুটো চাঁদের চেয়েও ছোট ! ১৯৯২ সালে প্রমাণিত হয় নেপচুনের পরে গ্রহাণু বেষ্টনীর মতো তবে এর চেয়েও ২০ গুণ চওড়া ও ২০০ গুণ ভারী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর সমন্বয়ে গঠিত এলাকা রয়েছে ৷ জ্যোতির্বিদ  গারার্ড কাইপার (বা কুইপার) এর নামানুসারে এর নাম দেওয়া হলো কাইপার বেল্ট (বা কুইপার বেল্ট) ৷ পরে প্রমাণিত হয় প্লুটো কাইপার বেষ্টনীর সদস্য, কক্ষপথ গ্রহদের সাথে সমান্তরাল নয়, নেপচুনের সাথে অনুরণন ঘটায় ৷ প্লুটো আকারে কাইপার বেষ্টনীর অন্য সদস্যের তুলনায় বড় ৷ এরিস প্লুটোর চেয়ে সামান্য ছোট ৷ এই বস্তুগুলো কাইপার বেষ্টনীর সদস্য হলেও আকারে বড়সড় আবার গ্রহ বহির্ভূত বৈশিষ্ট্যধারী ৷ এদের গ্রহ বলা নিয়ে সংশয় দেখা দেয় ৷ ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক সংস্থা (International Astronomical Union) গ্রহের নতুন সংজ্ঞা দেয় ৷ গ্রহ হতে হলে -

- যথেষ্ট মহাকর্ষ থাকায় গোলাকার হবে ও ভারী হবে, এতটাও ভারী হবে না যে নক্ষত্রের মতো নিউক্লিয়ার ফিউশন তৈরি করে ৷
- সূর্যকে সরাসরি আবর্তন করবে ৷
- মহাকর্ষের সাহায্যে কক্ষপথের আশপাশ পরিষ্কার রাখবে এবং কোনো দলের সদস্য হবে না, নিজের কক্ষপথে নিজের আধিক্য থাকবে ৷

প্লুটোর তৃতীয় বৈশিষ্ট্য নেই ৷ কেননা সে কাইপার বেষ্টনীর সদস্য, আবর্তন করতে নেপচুনের সাথে অনুরণন ঘটনায় অর্থাৎ স্বতন্ত্র নয় ৷ এই কারণে প্লুটোকে গ্রহ থেকে সরিয়ে বামন গ্রহে নামক নতুন শ্রেণিতে রাখা হয় ৷
0 টি ভোট
করেছেন (6,150 পয়েন্ট)
গ্রহ হওয়ার জন্য তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকা প্রয়োজন।
 ১. নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করবে।
 ২. যথেষ্ট গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্স যার কারণে এটি গোলাকার হবে
 ৩.নিজস্ব কক্ষপথ থাকবে এবং কক্ষপথের সবচেয়ে প্রভাবশালী বস্তু হতে হবে।

প্লুটোর ক্ষেত্রে ৩ নং বৈশিষ্ট্যের অভাব ছিল।এটি সূর্যকে প্রদক্ষিণ এর সময় নেপচুনের কক্ষপথে প্রবেশ করে।নেপচুন যেহেতু প্লুটোর তুলনায় অনেক বড় এবং প্রভাবশালী,তাই নেপচুনকে রাখা হয় এবং প্লুটোকে গ্রহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে 'বামন গ্রহ' ঘোষণা করা হয়।

তথ্যসূত্রঃ CNN

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+17 টি ভোট
3 টি উত্তর 553 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
3 টি উত্তর 589 বার দেখা হয়েছে
01 ফেব্রুয়ারি 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,320 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 729 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 536 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 375 বার দেখা হয়েছে

10,719 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

239,787 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 22 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...