লাইফ সাপোর্ট কী? কেন দেওয়া হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
694 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)
একজন রোগী যখন শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছে না নিজে থেকে, সেটা যেকোনো কারণে হতে পারে। এটি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে হতে পারে, মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে হতে পারে, ফুসফুসের কারণে হতে পারে বা শরীরে মারাত্মক ব্যাধি সংক্রমণের জন্য হতে পারে। বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, রোগী নিজে থেকে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছে না। যে রোগী নিজে শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে না পারবে, তার ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হলো শ্বাসপ্রশ্বাস দেওয়া। যেটা হলো ভেন্টিলেশন। একেই আমরা বলি লাইফ সাপোর্ট।

এখন এই লাইফ সাপোর্টের রোগীগুলো এমনিতেই খারাপ থাকে। তাদের শরীরে একটা কিছু হয়েছে, যার জন্য তারা শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারছে না। আগে যদি শ্বাসপ্রশ্বাসের যত্ন নেওয়া হয়, বাকি কাজগুলো যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে, সঠিক চিকিৎসা যদি থাকে, অনেক সময় দেখা যায় দেরি হয়ে যায়। অথবা কোনো ওষুধেই আর কাজ হয় না, সে ক্ষেত্রে আমরা যেটা করি, রোগী যখন আইসিউতে চলে আসে, রোগী হয়তো লাইফ সাপোর্টে ৭ থেকে ১০ দিন আছে।

আমরা দেখি, এই রোগী ব্রেইন ডেথ কি না। আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বুঝতে পারি, এই রোগীটার ব্রেইন ডেথ। তার মস্তিষ্কের কার্যকলাপগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। মস্তিষ্ক থেকে যখন সংকেত যাবে, সে তখন শ্বাসপ্রশ্বাস নেবে। মস্তিষ্ক থেকে যখন সংকেত যাবে, সে হৃদযন্ত্রের কাজ শুরু করবে। যখন সংকেত দিতে পারছে না, তখন এগুলো ঠিকমতো কাজ করবে না। যখন আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখি, ক্লিনিক্যালই ব্রেইন ডেথ, তখন আমরা রোগীর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আলাপে বসি। বলি যে এই রোগীর বাঁচার আশা কম।  এখন আপনাদের একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনারা লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলবেন, না এটি রেখে দেবেন। এখানে রোগীর আত্মীয়স্বজনে অংশগ্রহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আলোচনায় আনতে হবে এবং তাদের মত অনুসারে করতে হবে।

- ডা. সিনহা আবুল মনসুর
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
যখন শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নষ্ট হয়ে যায় তখন জীবন বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তাকে টিকিয়ে রাখা হয়। এটাকেই লাইফ সাপোর্ট বলে। এটা স্বল্পমেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।

 

মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ বা তন্ত্রকে যথেষ্ট সময় দেওয়া যাতে ঐ অঙ্গটি পুনরায় কর্মক্ষম হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে অথবা ট্রান্সপ্লান্টেশনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত হতে পারে।

 

অঙ্গগুলির মধ্যে হার্ট, লাংস, কিডনী ইত্যাদিই প্রধান তবে কৃত্রিমভাবে শরীরের পুষ্টি, পানি এবং লবণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করাও লাইফ সাপোর্টের আওতায় আসে। নিম্নলিখিত পদ্ধতিগুলো সাধারনভাবে লাইফ সাপোর্ট হিসাবে ধরা হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
2 টি উত্তর 454 বার দেখা হয়েছে
17 ডিসেম্বর 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Athaher Sayem (1,750 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,088 বার দেখা হয়েছে
03 জুন 2022 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন hossenrifat9977 (120 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 127 বার দেখা হয়েছে
+24 টি ভোট
1 উত্তর 191 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 372 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,661 জন সদস্য

63 জন অনলাইনে রয়েছে
6 জন সদস্য এবং 57 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. KayleeQwz886

    100 পয়েন্ট

  4. KarolynSteck

    100 পয়েন্ট

  5. MildredMcAle

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...