লাই-ফাই (Li-Fi) কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
1,593 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

4 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনকে আমরা সবাই চিনি। বলা হয়, অন্ধকারের অমানিশা দূর করে তিনিই প্রথম আমাদের ঘরে ঘরে জ্বেলে দিয়েছিলেন বৈদ্যুতিক বাতির আলো। কিন্তু তিনি হয়তো জানতেন না, এই বাতি শুধু ঘর আলোকিত করার কাজেই নয়, বরং একদিন তথ্য সম্প্রচারের কাজেও ব্যবহৃত হবে। হ্যাঁ পাঠক, এলইডি তথা লাইট এমিটিং ডায়োড (যে ডায়োড থেকে আলো নির্গত হয়) বাতি ব্যবহার করে কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে তথ্য (ডেটা) আদান–প্রদান করা যাবে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, এমনকি হাতের মুঠোফোনটিতেও। নতুন এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘লাই-ফাই’, যা তারহীন ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের চেয়েও ১০০ গুণ দ্রুতগতিতে তথ্যের আদান-প্রদান করবে।
২০১১ সালে স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের বিজ্ঞানী হ্যারল্ড হ্যাস সর্বপ্রথম ‘লাই-ফাই’ প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেন। এতে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গকে অতি দ্রুতগতির যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। দ্রুতগতির সিগন্যাল বাতি যেমন খুব দ্রুত অন-অফ হয়ে সংকেত প্রেরণ করে, ঠিক তেমনি এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বাইনারি কোডের ভাষায় তথ্য প্রেরণ করা যায়। পরীক্ষণে দেখা গেছে, এই প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২২৪ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য প্রেরণ করা যায়, যেখানে ওয়াই-ফাইয়ের সর্বোচ্চ গতি প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬০০ মেগাবাইট।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে হ্যাস জানিয়েছেন, ‘প্রতিটি বাতির সঙ্গে একটি করে ছোট মাইক্রোচিপ লাগিয়ে দিলেই এটা আলো দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারবিহীন তথ্য সম্প্রচারের কাজটাও করবে।’ তিনি এটাও জানান যে বাতির অন-অফ হওয়ার কাজটা এত দ্রুত হবে যে তা আলাদা করে শনাক্ত করা মানুষের পক্ষে অসম্ভব এবং এটা চোখের জন্যও বিরক্তিকর হবে না।
ইতিমধ্যেই নতুন এই লাই-ফাই প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত হতে শুরু করেছে। এই যেমন, ওয়াল্ট ডিজনি তৈরি করতে শুরু করেছে এমন কিছু পুতুল, যা লাই-ফাই প্রযুক্তিতে কাজ করবে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সাল নাগাদ সারা বিশ্বে প্রতি মাসে ২৪.৩ এক্সাবাইট ডেটার প্রয়োজন হবে, যা কি না বর্তমান তারবিহীন সংযোগের দ্বারা জোগান দেওয়া অসম্ভব। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হলো, ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির এই বাড়তি চাপ কমাতে লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করা।
লাই-ফাই প্রযুক্তিতে যেমন অনেক সুবিধা আছে, তেমনি আছে কিছু সীমাবদ্ধতা। যেমন, আলো কোনো দেয়াল ভেদ করে যেতে পারে না। তাই আলোর মাধ্যমে সম্প্রচারিত তথ্যও (ডেটা) অনেক বেশি নিরাপদ থাকে। আবার এটাও ঠিক যে ঘরটি ত্যাগ করলেই গ্রাহক ইন্টারনেট সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। এটা এই প্রযুক্তির একটা সীমাবদ্ধতা। এটুকু কাটিয়ে ওঠা গেলে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে ওয়াই-ফাইয়ের তুলনায় লাই-ফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা আরও অনেক বেশি লাভবান হতে পারি।

আইএফএল সায়েন্স ডটকম অবলম্বনে

ক্রেডিট: প্রথম আলো

+2 টি ভোট
করেছেন (54,270 পয়েন্ট)
লাইফাই এর পুরো নাম হলো লাইট ফিডালিটি (Light-Fidelity)। এই প্রযুক্তি প্রথম আবিষ্কার করেন প্রোফেসার হারাল্ড হস (Professor Harald Haas)। ২০১১ সালে তিনি লাইফাইয়ের মূলমন্ত্র জনগন এর সামনে প্রথম প্রকাশ করেন এবং তিনি দেখিয়েছিলেন যে কিভাবে আপনি লাইট এর সাহায্যে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। তারপর তিনি এই প্রযুক্তি নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা চালিয়ে যেতে থাকেন এবং এই প্রযুক্তিটি পরীক্ষা করেন এবং পরীক্ষার ফলাফলে লাইফাইকে ওয়াইফাইয়ের তুলনায় বেশি দ্রুতগামী হিসেবে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল।

আসলে এই প্রযুক্তি ভিএলসি বা ভিসিবল লাইট কমনিকেশন (VLC- Visible Light Communication) ধারনার উপর কাজ করে। এখন এই ভিএলসি কি, দেখুন আপনি যদি একটি এলইডি বাল্বকে কন্সট্যান্ট ইনপুট পাওয়ার দেন তবে আপনি এর আউটপুটও কন্সট্যান্ট দেখতে পাবেন। যদি আপনি ইনপুট পাওয়ার কিছু পরিবর্তন করে দেন তবে আপনি আউটপুটেও পরিবর্তন দেখতে পাবেন। আপনি যত দ্রুত ইনপুট পরিবর্তন করবেন আপনি আউটপুটও ততো দ্রুত পরিবর্তন হতে দেখতে পাবেন। এবং এই ধারনার মাধ্যমে আপনি এক ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারবেন।
+2 টি ভোট
করেছেন (54,270 পয়েন্ট)
লাই-ফাই (Light Fidelity) একটি দ্বিমুখী, উচ্চ গতির এবং ওয়াই ফাই অনুরূপ সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি। প্রফেসর হারাল্ড হাস দ্বারা উদ্ভাবিত, লাই-ফাই অপটিক্যাল বেতার যোগাযোগ (OWC) একটি সাবসেট এবং আরএফ কমিউনিকেশন (Wi-Fi অথবা ওয়াই ফাই), বা তথ্য সম্প্রচার প্রেক্ষিতে প্রতিস্থাপনের করার জন্য একটি সম্পূরক হতে পারে। এটা এখন পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে 224 গিগাবাইট এর গতি পৌঁছনো, ওয়াই ফাই চেয়ে প্রায় 100 গুণ দ্রুত হতে মাপা হয়।

তা বেতার এবং দৃশ্যমান আলোর যোগাযোগ বা (পরিবর্তে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ) অবলোহিত এবং কাছাকাছি অতিবেগুনি বর্ণালী, আরো অনেক তথ্য বহন করে যা অপটিক্যাল বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি, অংশ ব্যবহার, এবং আরএফ-ব্যান্ডউইথ সীমাবদ্ধতা একটি সমাধান হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে একটি সম্পূর্ণ সমাধান একটি শিল্প প্রমিতকরণ নেতৃত্বে রয়েছে।
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)
যথাযথ ক্রেডিট দিবেন, আর ২ বার না দিয়ে একই বক্সে সম্পূর্ণ উত্তর দিবেন!

ধন্যবাদ!
0 টি ভোট
করেছেন (24,230 পয়েন্ট)

‌‌ Li-Fi কী ?

বর্তমানে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৭০% ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে থাকে। জন্য ওয়াই-প্রযুক্তির থেকে, উন্নত প্রযুক্তি; লাই-ফাই (Li-fi) ভবিষ্যৎতে আসতে চলেছে ।

LiFi হচ্ছে, WI-FI এর মতোই একটি ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম, Li Fi (Light Fidelity) একটি দ্বিমুখী, উচ্চ গতির এবং ওয়াই ফাই অনুরূপ সম্পূর্ণরূপে সংযুক্ত বেতার যোগাযোগ প্রযুক্তি । যেটি কিনা ওয়াই-ফাই এর তুলনায়, ১০০গুন বেশি ফাস্টার হবে। Li-Fi হলো: Light Fidility ।

লাইফাই ( LiFi) হলো, একটি ওয়্যারলেস অপটিক্যাল নেটওয়াকিং প্রযুক্তি, যেটি LED লাইট এর সাহায্যে ডাটা ট্রান্সমিশণ করে থাকে।

অর্থাৎ লাই-ফাই অনেকটা ওয়াই-ফাই এর মতোই কাজ করে থাকে, ওয়াই-ফাই ডাটা ট্রান্সমিশন করে থাকে, রেডিও ওয়েভ এর সাহায্যে কিন্তু লাই-ফাই ডাটা ট্রান্সমিশন করে থাকে, লাইট এর গতিতে।

তো বুঝতেই পারছেন, যদি আলোর গতিতে ডাটা ট্রান্সমিশন হয় তবে , এর স্পিড কতো বেশি হবে। তাছাড়া আলোর ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্চ , রেডিও ওয়েব এর তুলনায় দশ হাজার গুন বেশি হয়ে থাকে।

আর যেহেতু, রেডিও ওয়েব ব্যবহার করা হয় না, তাই হাসপাতালে, বিমানে এটি ব্যবহার করলে, কোন সমস্যা হবে না । বর্তমানে , ওই প্রযুক্তিটি নিয়ে, পৃথিবীর অনেক গুলো বড়, বড় সংস্থা কাজ করছে ।

এই প্রযুক্তিটি কাজ করে, LED Light এর পাল্স (Puleses) অনুযায়ী , অর্থ্যাৎ. ওই লাইট এর পাল্স অনুযায়ী, ডাটা, আপনার ডিভাইস হতে,রিসিভার এর ডিভাইস পযর্ন্ত ,ট্রাভেল করবে যাকে বলা হয় আপ লিঙ্ক-ডাউন লিঙ্ক। আর ওই LED Ligth এর, পাল্স গুলো আপনি ,চোখে দেখতে পারবেন না। মানুষের পক্ষে ,খালি চোখে দেখা সম্ভব না।

লাই-ফাই এর ডাটা ট্রান্সমিশন স্পিড, 100 Gbps এর বেশি হয়ে থাকে। যা কিনা, WiGig এর থেকে, ১৪ গুন বেশি স্পিড. বলে রাখি, WiGig হলো. পৃথিবীর সব থেকে দ্রুত গতির ওয়াই-ফাই।

লাই-ফাই প্রযুক্তিটি, ডাটা ট্রান্সমিশণ এর ক্ষেত্রে, একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহন করেছে, যেটি লাইট পাল্স/বিম এর সহায্যে ডাটা ট্রান্সফার করে থাকে।

 যেভাবে কাজ করে:

কোন (LED) লাইট এর থেকে, মডিউলেট আলো ফ্রিকোয়ন্সি গুলোতে, ডেটা ক্যাপচার করা হয়। এবং ডাটা গুলো ট্রান্সমিট ও রিসিভ করা হয়, LiFi- সাপোটের্ড ডিভাইসগুলির মাধ্যমে।

একটি আলোক সংবেদনশীল ডিটেক্টর (photosensitive detector) , আলোক ফ্রিকুয়েন্সি সংকেতকে ,ডি-মডিউলেট করে। এবং ইলেক্ট্রনিক ডাটা স্টিমে, রুপান্তর করে এর ফলে, এটি অনেক দ্রুতগতি সম্পন্ন, আরো সুরক্ষিত যোগাযোগ মাধ্যম ।

 Wi-Fi Vs Li-Fi সুবিধা :

# ওয়াইফাই: ডাটা ট্রান্সিমিট করে থাকে, ওয়াই-ফাই রাউটার এর রেডিও ওভেব এর সাহায্যে।

** লাইফাই: ডাটা ট্রান্সমিট করে থাকে, LED bulbe এর, পাল্স/বিম অনুসারে।

# ওয়াই-ফাই এর , ব্যবহার করা হয়, শুধু মাত্র ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর জন্য।

** অন্যদিকে, লাই-ফাই. এর ব্যবহার করা হয়: হাই-স্পিড ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর পাশাপাশি, হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে, সমুদ্রের তলে এক্সপ্লোরেশন, অফিস, বাসায় ব্যবহার করা হয়।

# ওয়াই-ফাই এ অনেক বেশি ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়, এটির সিগন্যাল জলে মধ্য দিয়ে যেতে পারে না, এটি কম কম ঘন অঞ্চলে কাজ করে।

* লাই-ফাই , এ কম ইন্টারফেস ব্যবহার করা হয়, এটি জলের নিচেও কাজ করবে, বেশি ঘনত্ব অঞ্চলেও এটি ভালো কাজ করবে।

# ওয়াই-ফাই এর ,কভারেজ ডিস্টেন্জ, ৩২ মিটার বার তার বেশি হয়ে থাকে, ওয়াই-ফাই রাউটার এর অ্যান্টেনার উপর ভিত্তি করে।

* অন্যদিকে, লাইফাই এদিক থেকে একটু পিছনে আছে, লাইফাই এর কভারেজ এরিয়া মাত্র ১০ মিটার।

# ওয়াই-ফাই , বেশি ঘনত্বের পরিবেশে ভালো ভাবে কাজ করতে পারে না। কারন, বিভিন্ন ইলেকট্রিক অবজেক্ট, রেডিও ওভেব কে বাধা প্রদান করে থাকে।

** অন্যদিকে, লাই-ফাই বেশি ঘনত্বের পরিবেশেও ভালো ভাবে কাজ করতে পারে, সহজেই।

# ওয়াই ফাই এর রেডিও সিগন্যালকে, অনেক ধরনের, ইলেকট্রিক অবজেক্ট, বাধা প্রদান করে থাকে, এই জন্য সিগন্যালের, ল্যাটেন্সি টাইম বেড়ে যায়।

** কিন্তু, লাইফায়ে এই ধরনের, কোন সমস্যা হয় না।

** সিকিউরিটি এর দিক থেকে, লাইফাই , ওয়াই ফাই এর তুলনায় , অনেক বেশি সিকিউর হয়ে থাকে।

লাই ফাই এর ইতিহাস:

ইডেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের, মোবাইল যোগাযোগ বিভাগের , একজন প্রধান প্রফেসর হ্যারাল্ড হাশ কে, লাই-ফাই প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা/ আবিষ্কারক বলা হয়ে থাকে।

২০১১ এর দিকে, তিনি, TED Global talk এর মঞ্চে , লাই-ফাই প্রযুক্তিটি সম্পর্কে সবাইকে পরিচিত করিয়ে দেয়।

এবং একটি কোম্পানির সাথে, ওই প্রযুক্তিটি ,ডেভলপ করতে কাজে লেগে যান। কোম্পানির নাম রাখা হয়: purelifi ।

বর্তমানে অনেক গুলো প্রতিষ্ঠান লাইফাই নিকে কাজ করছে। PureLifi কোম্পানি, লাইফাই প্রযুক্তি সহ, লাইফাই ডিভাইজ নিয়ে গবেষণা করছে।

TED Talk অনুষ্ঠানে, তিনি এটিও বলেছিলেন, লাই-ফাই বা Light Fidility, প্রযুক্তিটি গাড়ির হেডলাইট ব্যবহার করে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রন সিস্টেমে ও ব্যবহার করা যেতে পারে , তাছাড়া এটি, ক্যামিক্যাল ম্যানুফেকচারিং প্ল্যান্ট এ ও ব্যবহার করা সম্ভব, যেখানে , ওয়াই-ফাই এর রেডিও ওভেব ব্যবহার করা,সম্ভব নয়।

রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি, যেখানে পৌছাতে পারে না, সেখানে, লাইফাই এর মাধ্যমে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করা সম্ভব।

>> ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, বিশ্বের প্রথম , লাইফাই প্রযুক্তিটি রিলিজ করা হয় ।

>> এরপর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে, বিশ্বের প্রথম লাইফাই ডিভাইস ,রিলিজ করা হয়। যেটির সাহায্যে মোবাইলে ওয়্যারলেস ,লাইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।

>> একবছর পর ২০১৬ সালে, PureLifi এবং Lucibel ,French Lighting Company , বিশ্বের প্রথম ইন্ড্রাসট্রিয়াল লাইফাই সলিউশন নিয়ে আসে।

এবং বিভিন্ন , প্রতিষ্ঠানে এটি ব্যবহার করা হয়, এমনটি, প্যারিস এর মাইক্রোসফট অফিসেও ব্যবহার করা হয়।

> ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে, LiFi-XC সিস্টেম রিলিজ করা হয়, এই টি, প্লাগ এবং প্লে সিস্টেম এর ন্যায় কাজে করে, এইটি USB Devices এর সাথে কাজ করে ।

 Li-Fi কখন আসবে ?

>> যেহেতু, অনেক গুলো কোম্পানি, এই লাইফাই নিয়ে কাজ করছে, তাই একটি প্রথমিক ধারনা করা যায় ,২০২২ সালের প্রথম দিক, দিয়ে লাইফাই বাজারে আসতে পারে।

বিভিন্ন দেশের, কিছু অফিস,দোকানে এটির ব্যবহার হচ্ছে।অ্যাপেল এর মতো কিছু বড় বড় মোবাইল কোম্পানি, তাদের ভবিষ্যৎ ,মোবাইল গুলোকে, LiFi সক্ষম ,করে তৈরি করার কাজ করতেছে।

তাছাড়াও pureLiFi কোম্পানি, অনান্য কোম্পানির সাথে, এক যোগে কাজ করতেছে।

লাই-ফাই research এবং development করতে, অনেক অর্থ ব্যয় করছে। তো বলাই যেতে পারে, যে লাই-ফাই অতিশিঘ্রই আসছে।

 লাই-ফাই এর ভবিষ্যৎ :

বর্তমানে, লাই-ফাই, পুরোপুরি ওয়াই-ফাই এর জায়গা নিতে পারবে না।

কিন্তু ,যেহেতু অনেক গুলো কোম্পানি, লাই-ফাই নিয়ে কাজ করছে, এবং এটি তাদের প্রাইমারি ওয়্যারলেস প্রযুক্তি হিসাবে বিবেচনা করছে।

তাই বলা, যেতে পারে আরো কিছু বছর পর, লাইফাই সম্পূর্ন রুপে. ওয়াই-ফাইকে রিপ্লেস করতে সক্ষম হবে ।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
1 উত্তর 336 বার দেখা হয়েছে
+10 টি ভোট
1 উত্তর 179 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 94 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 101 বার দেখা হয়েছে

10,727 টি প্রশ্ন

18,372 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,577 জন সদস্য

37 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 36 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Ahnaf_Tahmid

    330 পয়েন্ট

  3. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  4. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  5. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ তাপমাত্রা রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...