কীভাবে নেতিবাচক চিন্তা থেকে বের হওয়া যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
1,375 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (134,780 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (54,220 পয়েন্ট)
নেতিবাচক চিন্তায় আবদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নানান মানসিক জটিলতা সৃষ্টি করে। তাই খুব বেশি খারাপ পরিস্থিতিতে যাওয়ার আগেই নিজের মানসিক পরিচর্যা করা উচিত।

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘মাই অনলাইন থেরাপি’র মনোবিজ্ঞানী ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা এলিনা টুরনি বলেন, “নেতিবাচক চিন্তাভাবনা যখন সর্পাকার হয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় ‘চিন্তার ফাঁদ’ বা ‘’অপ্রয়োজনীয় চিন্তন প্রক্রিয়া’। এর মধ্যে সাধারণ হল, বিপর্যয় (খারাপ কিছু সম্পর্কে ধারণা করতে পারা), সাদা ও কালো চিন্তা (ইতিবাচক ও নেতিবাচক চিন্তা) এবং আবেগিক যুক্তি (কোন বিষয় সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন তার উপর ভিত্তি করে)।”

যদিও চিন্তাভাবনা গুরুতর বিষয় নয়। কিন্তু যখন এমন নেতিবাচক চিন্তার চক্রে মানুষ আবদ্ধ হয়ে যেতে থাকে তখন চিন্তাভাবনার প্রভাব পড়ে কাজ কর্মে।

এই নেতিবাচক চিন্তার চক্রে আবদ্ধ হয়ে তার ভিত্তিতে কাজ করা শুরু করে এবং তা আবার প্রভাব ফেলে নিজস্ব বিশ্বাসের ওপর, এভাবেই এই চক্র চলতে থাকে।

প্রথমেই নেতিবাচক চিন্তা বাদ দেবেন না: ‘জয় অ্যান্ড ফিয়ার’ বইয়ের লেখক ডা. কার্লা মারি ম্যানলি বলেন, “নেতিবাচক চিন্তার প্রতি মনোযোগ দেওয়া ও তাতে বিরতি দেওয়া জরুরি কিন্তু তা নিয়ে মজা নেওয়া বা এতে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়।”

গবেষণায় দেখা গেছে, নেতিবাচক চিন্তা বাদ দাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয় কারণ এটা মানুষকে শক্তিশালী করে তলে এবং পরে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ইতিবাচক মনোভাব কাজে লাগিয়ে নেতিবাচক চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

শ্বাস নিতে ভুলবেন না: মানুষ খুব বেশি চিন্তিত থাকলে শ্বাস নিতেও ভুলে যায়। এই সময় চোখ বন্ধ করে গুনে গুনে চার বার বড় বড় শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। কখনও খুব বেশি মানসিক চাপ অনুভব করলে বা দুশ্চিন্তায় পড়লে নিজের প্রতি মনোযোগী হন এবং কিছুটা সময় নিয়ে শ্বাস নিন, অশান্ত মন শান্ত হবে।

এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে সচেতন রাখতে প্রয়োজনে নোট লিখে চোখের সামনে রাখার পরামর্শ দেন, ম্যানলি।

নিজের সকল চিন্তাধারাকেই বিশ্বাস করবেন না: মাথায় একটা চিন্তা এসেছে মানেই যে তা সত্যি এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। চিন্তাভাবনা ক্রমাগত নেতিবাচক হতে থাকলে নিজেকেই এটা নিয়ে প্রশ্ন করার পরামর্শ দেন, টুরনি।

আপনি যা ভাবছেন তার পক্ষে যুক্তি কতটা বা এমন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়ার আদৌ কোনো কারণ আছে কি-না তা ভেবে দেখুন। এছাড়াও, আপনি কী কেবল ঘটনার খারাপ দিকটাই দেখছেন নাকি সমগ্র বিষয়টা নিয়েই ভাবছেন তা আবারও ভেবে দেখুন।

ইতিবাচক বার্তার দিকে মনোযোগ দিন: নিজেকে শান্ত রাখতে ও শক্তিশালী অনুভব করতে ইতিবাচক কথা ও বার্তার দিকে মনোযোগ দেন। যেমন- সব ঠিক হয়ে যাবে, সব কাজ ঠিক মতো হবে, কাজ হবে ইত্যাদি।

ম্যানলি, এই ধরনের ইতিবাচক বাক্য ওয়ালেট, আয়না বা সহজেই চোখে পড়ে এমন স্থানে রাখার পরামর্শ দেন।

মানসিক অবস্থা ভালো থাকলেও এই সকল ইতিবাচক কথা স্মরণ করুন যেন মস্তিষ্ক এতে সম্মত হয় ও সাড়া দেয়। পরবর্তিতে খারাপ সময় কাটিয়ে উঠতে এই সকল মন্ত্র বাক্য আত্মনিষ্ঠ হতে ও শান্ত থাকতে সহায়তা করবে। প্রয়োজনে এই সকল বাক্য রাখা আছে এমন স্থান হাতে স্পর্শ করুন, এতে ভালো অনুভূতি কাজ করবে।

নিজেই নিজের বন্ধু হন: নিজেকে নিয়ে খুব খারাপ চিন্তা মাথায় এলে ভাবুন, এমন বিষয় বন্ধুকে বলতেন কিনা। যদি নিজের বন্ধুর সঙ্গে বা তার সম্পর্কে এমন খারাপ কথা বলতে না পারেন তাহলে নিজেই নিজের বন্ধু হয়ে যান এবং এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তাভাবনা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

টুরানি আরও পরামর্শ দেন, “কোথা থেকে এমন আত্মসমালোচনা আসে তা খুঁজে বের করুন। পুরানো অভিজ্ঞতাও যাচাই করে দেখুন তার কোনো প্রভাব আপনার ওপর বর্তমানে প্রভাব রাখছে কিনা।”

শান্তিপূর্ণ চিত্র চিন্তা করুন: মাথায় খারাপ কোনো চিন্তা এলে তা থেকে বেড়িয়ে আসতে সুন্দর মনোরম কোনো জ্যায়গার কথা চিন্তা করার পরামর্শ দেন ম্যানলি। খোলা মাঠ, নীরব কোনো সৈকত অথবা ছায়া ঘেরা পাহাড়ের চূড়ায় নিজেকে কল্পনা করুন। নিজেকে এমন শান্ত জায়গায় নিজের পছন্দের কোনো প্রাণি বা কোনো বন্ধুর সঙ্গে কল্পনা করুন।

© bdnews24.com
0 টি ভোট
করেছেন (134,780 পয়েন্ট)
নেতিবাচক চিন্তাসমূহ আমাদের মনে, ঢেউয়ের মত করে আসে। যখনই এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তা আপনার মনে আসছে, আপনি বুঝতে পারছেন -

আপনি জোর করে চিন্তাসমুহকে আটকে রাখতে যাবেন না

চিন্তাগুলোকে ভুলে যেতে চাইবেন না

চিন্তার ঢেউ আপনাকে Pass করে যেতে দিন। মনে করুন আপনি সাগরের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকলে, ঢেউ আপনাকে যেভাবে Pass করে যায়, সেভাবেই চিন্তা গুলোকে Pass করে যেতে দিন, মাথায় গেথে যেতে দিবেন না

গভীরভাবে শ্বাস নিন, শ্বাসের দিকে ফোকাস করুন

নেচিবাচক চিন্তাকে ফেস করতে হবে, ডাইভার্ট করতে যাবেন না

ভয়গুলোকে ফেস করতে হবে,ভয় পাবেন না

আমাদের জীবন মহাবিশ্বের সময়ের প্রবাহের তুলনায়, একফোঁটা বিন্দু থেকেও কম, এই কথাটা মনে রাখবেন। এই ছোট্ট সময়ে, নেতিবাচক চিন্তা আমাকে গ্রাস করতে পারবে না, এই ধরণের মনোভব রাখবেন।

মনে সাহস রাখবেন

collected
0 টি ভোট
করেছেন (710 পয়েন্ট)
নেতিবাচক চিন্তাগুলি মোকাবেলা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে কিছু কৌশল রয়েছে যা আপনি সেগুলি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করতে পারেন:

নেতিবাচক চিন্তা চিহ্নিত করুন: নেতিবাচক চিন্তা পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হল তাদের চিনতে হবে। আপনার স্ব-কথোপকথনে মনোযোগ দিন এবং আপনার চিন্তা কখন নেতিবাচক হয়ে যায় তা চিহ্নিত করুন।

নেতিবাচক চিন্তাগুলিকে চ্যালেঞ্জ করুন: একবার আপনি নেতিবাচক চিন্তাগুলি সনাক্ত করার পরে, সেগুলি সত্যিই সত্য কিনা তা নিজেকে জিজ্ঞাসা করে চ্যালেঞ্জ করুন। এই চিন্তার পক্ষে এবং বিপক্ষে প্রমাণ বিবেচনা করুন।

নেতিবাচক চিন্তাগুলিকে ইতিবাচক দিয়ে প্রতিস্থাপন করুন: আপনি যখন একটি নেতিবাচক চিন্তা লক্ষ্য করেন, তখন এটিকে একটি ইতিবাচক দিয়ে প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি নিজেকে মনে করেন যে "আমি কখনই এটি করতে পারব না," এটির পরিবর্তে "আমার এটি কঠিন মনে হতে পারে, তবে আমি শিখতে এবং উন্নতি করতে পারি।"

মননশীলতার অনুশীলন করুন: মননশীলতার মধ্যে বিচার ছাড়াই বর্তমান মুহুর্তে মনোযোগ দেওয়া জড়িত। এটি আপনাকে আপনার নেতিবাচক চিন্তাগুলি সম্পর্কে আরও সচেতন হতে এবং সেগুলি ছেড়ে দিতে সহায়তা করতে পারে।

কৃতজ্ঞতার অভ্যাস করুন: আপনি যে বিষয়গুলির জন্য কৃতজ্ঞ সেগুলির উপর ফোকাস করা আপনার ফোকাসকে নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে সরিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে। আপনি প্রতিদিনের জন্য কৃতজ্ঞ এমন জিনিসগুলির একটি তালিকা তৈরি করার চেষ্টা করুন।

সমর্থন সন্ধান করুন: একজন বন্ধু বা থেরাপিস্টের সাথে কথা বলা আপনাকে নেতিবাচক চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে কাজ করতে এবং তাদের সাথে মোকাবিলা করার জন্য কৌশল তৈরি করতে সহায়তা করতে পারে।

মনে রাখবেন যে নেতিবাচক চিন্তাগুলি কাটিয়ে উঠতে সময় এবং অনুশীলন লাগে, তাই আপনি যখন আপনার চিন্তার ধরণগুলি পরিবর্তন করতে কাজ করেন তখন নিজের সাথে ধৈর্য ধরুন।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 28 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
1 উত্তর 865 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 246 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 495 বার দেখা হয়েছে
30 অক্টোবর 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,200 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,859 বার দেখা হয়েছে

10,320 টি প্রশ্ন

17,327 টি উত্তর

4,666 টি মন্তব্য

197,931 জন সদস্য

55 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. mofizmohiuddin

    160 পয়েন্ট

  2. আহমেদ শরীফ

    120 পয়েন্ট

  3. Minhazul

    110 পয়েন্ট

  4. ElsaIrf64424

    100 পয়েন্ট

  5. WaldoEddingt

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ শরীর রাসায়নিক রক্ত আলো মোবাইল চুল ক্ষতি কী চিকিৎসা স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান সূর্য মহাকাশ মাথা পার্থক্য বৈজ্ঞানিক প্রাণী এইচএসসি-আইসিটি #biology বিজ্ঞান খাওয়া প্রযুক্তি গণিত শীতকাল #ask গরম কেন #জানতে ডিম কাজ বৃষ্টি কারণ চাঁদ বিদ্যুৎ রং উপকারিতা আগুন রাত শক্তি #science গাছ লাল খাবার মনোবিজ্ঞান আবিষ্কার সাদা সাপ দুধ হাত উপায় মশা ব্যাথা মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা শব্দ মাছ ভয় গ্রহ কি বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা পা বিস্তারিত মন রসায়ন উদ্ভিদ পাখি কালো রঙ সমস্যা বৈশিষ্ট্য মেয়ে গ্যাস ব্যথা মৃত্যু চার্জ দাঁত হলুদ ভাইরাস আকাশ আম অক্সিজেন বিড়াল সময় নাক পাতা কোষ বাচ্চা
...