Schizophrenia রোগের সমাধান কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
575 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (11,730 পয়েন্ট)
পূনঃরায় খোলা করেছেন

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (11,730 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

স্কিৎসোফ্রেনিয়া ( Schizophrenia)

একটি ভয়ানক মানসিক রোগের নাম স্কিৎসোফ্রেনিয়া। আসলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক সমস্যাকে সাধারণত কেউ তেমন গুরুত্ব দিতে চান না। যে কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানসিক রোগের চিকিৎসা শুরু হয় একেবারে শেষ মুহূর্তে। বর্তমানে গোটা বিশ্বে শুধু স্কিৎসোফ্রেনিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি, যার বেশিরভাগই মূলত অবহেলার শিকার। সাধারণ মানুষের গড় আয়ুর তুলনায় স্কিৎসোফ্রেনিয়া রোগীর আয়ু প্রায় ১৫-২০ বছর কমে যায়।

স্কিৎসোফ্রেনিয়া রোগের প্রধান লক্ষণগুলো মূলত তিনভাবে প্রকাশ পায়-

১) মনে অযথা সন্দেহ: কোনও কারণে সন্দেহ হতেই পারে। কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষকেও সন্দেহ করতে থাকেন। তারা ভাবতে থাকেন সবাই তাকে নিয়ে মজা করছে, সমালোচনা করছে কিংবা বিশেষ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন।

২) ভুল জিনিসে দৃঢ় বিশ্বাস:স্কিৎসোফ্রেনিয়া আক্রান্ত ব্যক্তি অহেতুক এবং অবাস্তব জিনিসকে সত্য ভাবতে থাকেন। যেমন, সবাই তার ক্ষতি করছে, খাবারে বিষ মেশানো রয়েছে, তিনি না বললেও কেউ তার মনের গোপন কথা জেনে যাচ্ছে ইত্যাদি।

আচরনগত সমস্যা-

১) হঠাত করেই জোরে হেঁসে ওঠা, আবার কোনও কারণ ছাড়াই কেঁদে ফেলা।

২) হঠাত করেই খুব বেশি রেগে যাওয়া বা উত্তেজিত হয়ে ওঠা।

৩) মানুষের সঙ্গ একেবারেই মিশতে না চাওয়া।

৪) কোনও কারণ ছাড়াই আত্মহত্যার চেষ্টা করা।

৫) কোনও কারণ ছাড়াই এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকা।

৬) আগে একেবারেই যা করতেন না, সে ধরনের আচরণ করতে থাকা।

অনুভূতি বিষয়ক সমস্যা-

১) কেউ তার সঙ্গে কথা না বললেও, মনে হতে পারে কেউ যেন তার সঙ্গেই কথা-বার্তা বলছে, রোগীরা এভাবেই পশুপাখির ডাকও শুনতে পান।

২) গায়ে পোকামাকড়ের হাঁটার অনুভূতি হয়।

৩) বিশেষ কোনও কিছুর গন্ধ পেতে থাকা, যদিও সেই গন্ধ অন্যেরা কেউই পাচ্ছেন না।

উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো যদি কারও মধ্যে ৬ মাসের বেশি সময় দেখতে পাওয়া যায় তাহলে তিনি স্কিৎসোফ্রেনিয়া হতে পারেন।
#Mehu

0 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

স্কিজোফ্রেনিয়া শব্দের অর্থ ‘split mind’ বা ‘দ্বিখণ্ডিত মন’। এটি এক ধরনের জটিল মানসিক রোগ। এই রোগকে একসময় শয়তান বা ভূতে পাওয়া হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হতো। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের আলাদা একটি কাল্পনিক জগৎ থাকে, তারা বাস্তব জীবনের কোন ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত ও অবাস্তবভাবে ব্যাখ্যা দেন। স্কিজোফ্রেনিয়া রোগীদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়, বেশিরভাগ রোগীদেরই হ্যালুসিনেশন হয়। 

বাংলাদেশে স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ০.২৪% (প্রায় ৪ লক্ষ) মানুষ এবং পুরুষের চেয়ে নারীদের মাঝে স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের হার বেশি। স্কিজোফ্রেনিয়া কয়েক ধরনের হতে পারে, এগুলো হলোঃ 

▪️Paranoid Schizophrenia: প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মাঝে ভ্রম, অডিটরি হ্যালুসিনেশন, সন্দেহপ্রবণতা দেখা যায়। তারা ভাবতে থাকে যে কেউ তাদেরকে দেখছে, ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

▪️Disorganized Schizophrenia: ডিজঅর্গানাইজড স্কিজোফ্রেনিয়া এর কারণে মানুষের কথা, চিন্তাধারা ও কাজে অমিল দেখা যায়। বেশিরভাগ সময়েই তারা পরিস্থিতির বিপরীত আচরণ করেন। এর ফলে তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

▪️Catatonic Schizophrenia: ক্যাটাটোনিক স্কিজোফ্রেনিয়া তে আক্রান্ত মানুষ হঠাৎ কোন পরিস্থিতিতে কথা বলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রম কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয় বা একই কথা বার বলতে থাকে।

▪️Residual Schizophrenia: রেসিডিউয়াল স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মাঝে এই রোগের লক্ষণ তেমনভাবে প্রকাশ পায়না। তাদের মাঝে অনুভূতি, বেঁচে থাকার আগ্রহের অভাব দেখা দেয়।

▪️Undifferentiated Schizophrenia: এই ধরনের স্কিজোফ্রেনিয়া তে আক্রান্ত মানুষের মাঝে একাধিক ধরনের স্কিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ একসাথে দেখা দেয়।

স্কিজোফ্রেনিয়ার কারণঃ

স্কিজোফ্রেনিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আছে কোটি কোটি স্নায়ুকোষ বা নিউরন। নিউরনের কাজ হচ্ছে উদ্দীপনা বহন করা, প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করা, বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া এবং পরিচালনা করা। স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের নিউরনে গোলযোগ দেখা দেয় যার ফলে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা, বিচার-বিবেচনা করার শক্তি লোপ পায়। তাছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপে, পারিবারিক অশান্তি, ক্ষোভ-রাগ, দুশ্চিতা বা জিনগত কারণেও স্কিজোফ্রেনিয়া হতে পারে।

স্কিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণঃ

স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত মানুষের মাঝে অবাস্তব চিন্তাভাবনা, অহেতুক সন্দেহপ্রবণতা, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্ন কথা বলার প্রবণতা দেখা দেয়। অনেক সময় রোগী নিজেকে মহাপুরুষ, জ্ঞানী, বিখ্যাত মানুষ ভাবতে শুরু করেন। রোগী অবাস্তব জিনিস দেখেন, অনেকে আবার গায়েবি আওয়াজ বা কথা শুনতে পান যা অন্য কেউ শুনেনা। তাছাড়া স্কিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের মাঝে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, একা একা থাকা, আত্মহত্যার চেষ্টার প্রবণতা দেখা দেয়।

স্কিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসাঃ

বর্তমানে স্কিজোফ্রেনিয়ার বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসা আছে তবে স্কিজোফ্রেনিয়া প্রতিরোধের কোন উপায় নেই। এই রোগ নিরাময়ে অ্যান্টি সাইকোটিক ঔষধ নিয়মিত সেবন করতে হয়। পাশাপাশি তাদেরকে কাউন্সিলিং, সাইকোথেরাপি দেওয়া হয়।

ক্রেডিট: নিশাত তাসনিম

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 939 বার দেখা হয়েছে
15 সেপ্টেম্বর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা ৩ (25,790 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 476 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 489 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 440 বার দেখা হয়েছে
18 নভেম্বর 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,490 পয়েন্ট)

10,843 টি প্রশ্ন

18,543 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

845,599 জন সদস্য

15 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 13 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. s8newscom

    100 পয়েন্ট

  2. 8kgjogocombr

    100 পয়েন্ট

  3. sunwincontractors1

    100 পয়েন্ট

  4. damanbet88

    100 পয়েন্ট

  5. keonhacai5co

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...