শূন্যের আবিষ্কারের পূর্বে ১০, ২০, ৩০ এগুলো কিভাবে লিখা হতো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+5 টি ভোট
1,273 বার দেখা হয়েছে
"গণিত" বিভাগে করেছেন (2,850 পয়েন্ট)

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (39,270 পয়েন্ট)
প্রথম এ ট্যালি আবিষ্কার হয়। তারপর মিশরীয়দের হায়ারোগ্লিফিক্স সংখ্যা পদ্ধতি আবিষ্কার হয়। তারপর রোমান সংখ্যা আবিষ্কার হয়। তারপর শুন্য আবিষ্কার করেন। তারপর দশ ভিত্তিক সংখ্যা প্রচলন হয়। অবশ্য প্রথম দিকের সভ্যতার মানুষ শুন্য সম্পর্কে জানত কিন্তু তারা এর ব্যাবহার করে নি কারন তারা শুন্য কে অপয়া বা অভিশপ্ত মনে করত। কিন্তু খ্রিষ্টপুর্ব নবম শতাব্দীর দিকে ভারতে বাস্তব সংখ্যা দ্বারা হিসাব নিকাশের সময় শূন্য ব্যাবহৃত হতো।
+3 টি ভোট
করেছেন (47,710 পয়েন্ট)
বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা হত ভিন্ন ভিন্ন সভ্যতায়, একদম প্রথম দিকে মানুষ ট্যালি পদ্ধতিতে গণনা করত মানে এক বলতে একটি দাগ, দুই মানে দুইটি দাগ কিন্তু এভাবে ১০০, ২০০ বা আরো বড় পরিমাণ বুঝাতে অনেক দাগ দিতে হত যা কস্টসাধ্য, তাই পরবর্তীতে বড় পরিমাণ বুঝানোর জন্য বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন ধরণের সাংকেতিক চিহ্ন ব্যাবহার শুরু হয়। ছবিতে প্রাচীন ইজিপশিয়ান দের এমন কিছু চিহ্ন দেখুন।
কিন্তু এগুলো আমাদের আধুনিক সংখ্যা পদ্ধতি না বা পজিশনাল সংখ্যা পদ্ধতি নয়, দাগ টেনে তিন বুঝালে তিনটা দাগ যেভাবেই রাখেন সেখানে তিন ই বুঝাবে, কিন্তু ১২ লিখাটায় ২ আগে নিলে ২১ মানে মান ও চেঞ্জ হয়ে গেছে এগুলো পজিশনাল নাম্বার যা আধুনিক সভ্যতায় প্রচলিত হয়।

বর্তমানে আমরা দশটি চিহ্ন ব্যাবহার করেই সকল মান প্রকাশ করি (০ থেকে ৯), নয় এর পর দশ বুঝাতে নতুন কোন চিহ্ন নেই একদম শুরুর দুটি চিহ্ন ১ এবং শূন্য পাশাপাশি বসিয়ে ১০ প্রকাশ করি।
এবার ভাবুন এমন সভ্যতা বা একটা পৃথিবী যেখানে ৭ এর পর নতুন কোন চিহ্ন বা সংখ্যা আবিষ্কৃত হয়নি, তাহলে তারা আট কিভাবে বুঝাবে? আমরা এগারো কিভাবে বুঝাই বা দশ কিভাবে বুঝাই আগে ভাবুন, ১০ লিখার সময় নতুন কোন চিহ্ন কিন্তু ব্যাবহার করছিনা, আগের ১ এবং ০ এই দুটি চিহ্ন কে পাশাপাশি বসিয়ে একটি নতুন কম্বিনেশন তৈরি করছি যা দশ হিসেবে চিনি কারণ ৯ এর পর আর নতুন চিহ্ন নেই।
তাহলে ৭ এর পর যদি নতুন চিহ্ন না থাকে সেক্ষেত্রে আট বুঝাতে প্রথম দুটি চিহ্ন বা সংখ্যাকে পাশাপাশি বসাতে হবে মানে ১ এবং ০, অর্থাৎ ১০ দ্বারা এখানে বুঝাবে আট। এরকমি একটি সংখ্যা পদ্ধতি আছে যাকে বলে অক্টাল (ইন্টারের আইসিটি বইয়ে এগুলো বিস্তারিত আছে)।
এছড়াও ১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি(হেক্সাডেসিমাল) যেখানে ১৫ পর্যন্ত আলাদা চিহ্ন আছে তাই পনেরো এর পর ষোল বুঝাতে প্রথম দুটি পাশাপাশি বসায় তাই সেক্ষেত্রে ১০ দ্বারা দশ নয় ষোল প্রকাশ করে।
বাইনারী পদ্ধতিতে শুধুমাত্র ০ এবং ১ আছে, এবার ভাবুন এই পদ্ধতিতে দুই কিভাবে লিখবে? এখানে ত দুই এর জন্য আলাদা কোন চিহ্ন নেই! আমাদের দশের জন্য আলাদা চিহ্ন নেই তাই প্রথম দুটি একসাথে বসিয়ে দশ প্রকাশ করি , বাইনারী পদ্ধতিতে দুই এর জন্য কোন চিহ্ন নেই তাই সেক্ষেত্রে প্রথম দুটি মানে ১ এবং ০ পাশাপাশি বসিয়ে দুই বুঝাবে, এখানে ১০ মানে হচ্ছে দুই।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে বিশ,ত্রিশ, বত্রিশ বা অন্য পরিমাণকে কিভাবে বাইনারি বা অক্টাল বা অন্য সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রকাশ করে? এগুলোর উপর ইন্টারের আইসিটি বইয়ে সম্পূর্ণ একটি অধ্যায় আছে।

লিখেছেন- Warman Hasbi । Science Bee
0 টি ভোট
করেছেন (3,190 পয়েন্ট)

চমক হাসানের লিখা অঙ্ক ভাইয়া বই থেকে প্রাপ্ত।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 374 বার দেখা হয়েছে
05 জানুয়ারি 2022 "গণিত" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Subrata Saha (15,210 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
4 টি উত্তর 9,574 বার দেখা হয়েছে
03 ফেব্রুয়ারি 2021 "গণিত" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন JannatulFerdous (2,850 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 262 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 17 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,147 বার দেখা হয়েছে

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

561,604 জন সদস্য

50 জন অনলাইনে রয়েছে
12 জন সদস্য এবং 38 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...