মানুষ কিংবা প্রাণীর দুইচোখ দুটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের হয় কেন? এর পিছনে বৈজ্ঞানিক কারন কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+7 টি ভোট
1,112 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (47,710 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (47,710 পয়েন্ট)

কোনো মানুষ বা প্রাণীর দুই চোখের আইরিশ যখন ভিন্ন রঙের হয় তখন তাকে হেটেরোক্রোমিয়া বলে। আমাদের চোখের রঙ এর সাথে মেলানিন এর সম্পর্ক রয়েছে। মেলানিন হচ্ছে এক ধরনের পিগমেন্ট বা রঞ্জক পদার্থ যা মানুষের ত্বক ও চুলের রঙের জন্য দায়ী। সাধারণত একজন ফর্সা মানুষের মেলানিন এর মাত্রা একজন কালো মানুষের চেয়ে কম থাকে। এই মেলানিন নামক রঞ্জক চোখের রঙও নির্ধারণ করে। যাদের চোখে মেলানিন এর মাত্রা কম তাদের চোখের বর্ণ হয় হালকা, আর যাদের চোখের মেলানিন বেশি তাদের চোখের বর্ণ গাঢ়। 

হেটেরোক্রোমিয়া যাদের থাকে তাদের চোখে মেলানিনের পরিমাণে ভিন্নতা দেখা যায়। চোখের মেলানিন এর ভিন্নতা হয়ে  8-HTP পথে কিছু জিনের প্রভাবে এবং ক্রোমোজোম এর জন্য। এই ভিন্নতার জন্যই দুই চোখের রঙ ভিন্ন ভিন্ন হয়। আবার প্রাণীদের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র‍্যের জন্য হেটেরোক্রোমিয়া হতে পারে। সাধারণত বিড়াল, কুকুর, ঘোড়া, গবাদি পশু এর মধ্যে হেটেরোক্রোমিয়া বেশি দেখা যায়। মানুষের ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্ট্য খুবই দুর্লভ। 

হেটেরোক্রোমিয়া কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমন:

১. Complete বা সম্পূর্ণ হেটেরোক্রোমিয়া: মানুষের দুটো আইরিশ সম্পূর্ণ ভিন্ন রঙের হয়ে গেলে তাকে সম্পূর্ণ হেটেরোক্রোমিয়া বা হেটেরোক্রোমিয়া ইরিডাম বলা হয়।

২. Segmental বা বিভাগীয় হেটেরোক্রোমিয়া: যখন মানুষের একটি চোখের আইরিশে দুটি ভিন্ন ভিন্ন রঙ দেখা দেয় তখন তাকে বলে বিভাগীয় হেটেরোক্রোমিয়া বা হেটেরোক্রোমিয়া আইরিডিশ। 

৩. Central বা কেন্দ্রীয় হেটেরোক্রোমিয়া: এটি অন্যান্য ধরনের চেয়ে বেশি সাধারণ এবং সহজে বুঝাও যায়না। এই হেটেরোক্রোমিয়া এর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে দুটি আইরিশ এর রঙ প্রায় একই, তবে পিউপিল এর আশেপাশের রিং ভিন্ন রঙের। যেমন: নীল রঙের আইরিশ এর কারোর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে তাদের পিউপিল এর আশেপাশে চিকন বাদামী রঙের রিং। এই ধরনের হেটেরোক্রোমিয়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জন্ম থেকেই দেখা যায়। 

আবার কিছু কিছু মানুষ জন্ম থেকে হেটেরোক্রোমিক হয়না। তারা বয়স বাড়ার পর এই বৈশিষ্ট্য লাভ করেন। একে বলে Acquired বা অর্জিত হেটেরোক্রোমিক।

যেকোনো ধরনের হেটেরোক্রোমিয়া এর জন্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ মতে চিকিৎসা করতে হবে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তাররা সাধারণত চোখের পেরিফেরিয়াল ভিশন, অপটিক নার্ভ, চাপ, ভিজ্যুয়াল টেস্ট করা হয়। আবার রেটিনার ছবি তুলার জন্য অনেক চিকিৎসক OCT করার পরামর্শ দেন। চোখের অস্বাভাবিকতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসার ধরন। 

© Nishat Tasnim (Science Bee)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
1 উত্তর 3,363 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 945 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 520 বার দেখা হয়েছে

10,809 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

561,596 জন সদস্য

57 জন অনলাইনে রয়েছে
16 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মস্তিষ্ক মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...