আঁচিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই ? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
579 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (71,000 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (123,340 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

Nishat Tasnim- 

আঁচিল হচ্ছে ছোট রুক্ষ প্রবৃদ্ধি যা চামড়ার উপর অনেকটা ফুলকপির মত বৃদ্ধি অথবা কঠিন ফোস্কার মত দেখায় । এটা সাধারণত মানুষের হাতে বা পায়ে অথবা শরীরের অন্যান্য স্থানে দেখা দেয় । আঁচিল একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা মানবদেহে সংক্রমনকারী অনেক ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর একটি দ্বারা সৃষ্ট হয় । মানবদেহে ১০ রকমের আঁচিল বা ফুসকুড়ি হতে পারে, এর মধ্যে বেশিরভাগগুলোকেই নিরীহ বলে মনে করা হয়।

আঁচিলের প্রকারভেদঃ

আঁচিলের আকৃতি এবং আক্রান্ত স্থানের উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের আঁচিল শনাক্ত করা হয়েছে, এছাড়াও মানবদেহে নানা ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর উপরও আঁচিলের ধরন নির্ভর করে থাকে ।

আঁচিলের কারনঃ

মানবদেহে পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর সংক্রমনের কারনে বিভিন্ন ধরনের আঁচিল হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত জানামতে প্রায় ১৩০ ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস যা মানবদেহে সংক্রমন ঘটিয়ে থাকে, পাওয়া গেছে।

প্রতিরোধঃ

র্ডাসিল হচ্ছে একটি এইচ পি ভি ভ্যাকসিন যা সার্ভিকাল ক্যান্সার ও যৌনাঙ্গের আঁচিল প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয় । গার্ডাসিল ভ্যাকসিনটি এইচ পি ভি ধরন-১৬, ১৮, ৬ এবং ১১ কে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে । এইচ পি ভি ধরন-১৬ এবং ১৮, ৭০% সার্ভিকাল [ক্যান্সার] এর ক্ষেত্রে প্রায় অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় ।এছাড়াও স্ত্রীযোনিদ্বার, স্ত্রীযোনি, পুরুষ যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ ক্যান্সার এই দুই ধরনের এইচ পি ভি দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে। এইচ পি ভি ধরন-৬ এবং ১১, ৯০ শতাংশ যৌনাঙ্গের আঁচিল এর জন্য দায়ী ।

©Soikat Hossian

+4 টি ভোট
করেছেন (71,000 পয়েন্ট)

১.আঁচিল কি?

আঁচিল হচ্ছে ছোট রুক্ষ প্রবৃদ্ধি যা চামড়ার উপর অনেকটা ফুলকপির মত বৃদ্ধি অথবা কঠিন ফোস্কার মত দেখায় । এটা সাধারণত মানুষের হাতে বা পায়ে অথবা শরীরের অন্যান্য স্থানে দেখা দেয় । আঁচিল একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা মানবদেহে সংক্রমনকারী অনেক ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর একটি দ্বারা সৃষ্ট হয় । মানবদেহে ১০ রকমের আঁচিল বা ফুসকুড়ি হতে পারে, এর মধ্যে বেশিরভাগগুলোকেই নিরীহ বলে মনে করা হয়।

২.আঁচিলের প্রকারভেদঃ

আঁচিলের আকৃতি এবং আক্রান্ত স্থানের উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের আঁচিল শনাক্ত করা হয়েছে, এছাড়াও মানবদেহে নানা ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর উপরও আঁচিলের ধরন নির্ভর করে থাকে ।

৩.আঁচিলের কারনঃ

মানবদেহে পাপিলোমা ভাইরাস (এইচ পি ভি) এর সংক্রমনের কারনে বিভিন্ন ধরনের আঁচিল হয়ে থাকে । এখন পর্যন্ত জানামতে প্রায় ১৩০ ধরনের পাপিলোমা ভাইরাস যা মানবদেহে সংক্রমন ঘটিয়ে থাকে, পাওয়া গেছে ।

৪.প্রতিরোধঃ

র্ডাসিল হচ্ছে একটি এইচ পি ভি ভ্যাকসিন যা সার্ভিকাল ক্যান্সার ও যৌনাঙ্গের আঁচিল প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয় । গার্ডাসিল ভ্যাকসিনটি এইচ পি ভি ধরন-১৬, ১৮, ৬ এবং ১১ কে প্রতিরোধ করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে । এইচ পি ভি ধরন-১৬ এবং ১৮, ৭০% সার্ভিকাল [ক্যান্সার] এর ক্ষেত্রে প্রায় অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচিত হয় ।এছাড়াও স্ত্রীযোনিদ্বার, স্ত্রীযোনি, পুরুষ যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ ক্যান্সার এই দুই ধরনের এইচ পি ভি দ্বারা সংঘটিত হয়ে থাকে ।এইচ পি ভি ধরন-৬ এবং ১১, ৯০ শতাংশ যৌনাঙ্গের আঁচিল এর জন্য দায়ী ।

৫. এইচ পি ভি নিষ্ক্রিয় করনঃ

এই ভাইরাসটিকে সাধারনভাবে প্রচলিত জীবানুনাশক দ্বারা নিষ্ক্রিয়করন তুলনামূলকভাবে কঠিন । ৯০% ইথানল, ২% গ্লুটারাল্ডিহাইড, ৩০% স্যাভলন এবং ১% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট মিশ্রনে অন্তত ১ মিনিট রাখলে এই জীবাণুটিকে নিষ্ক্রিয়করন করা সম্ভব।
ভাইরাসটি তাপ এবং উষ্ণতা প্রতিরোধী, কিন্তু ১০০° সেলসিয়াস (২১২° ফারেনহাইট) এবং আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দ্বারা একে নিহত করা সম্ভব।

৬.চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

আঁচিল অপসারণের জন্য অনেক চিকিৎসা এবং পদ্ধতি বিদ্যমান রয়েছে । এর মধ্যে স্যালিসিলিক এসিড সম্পৃক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি অধিক কার্যকারিতা লাভ করেছে । ক্রায়োথেরাপি পদ্ধতিও স্যালিসিলিক এসিডের মতই কার্যকরী দৃশ্যমান হয়, তবে এ ক্ষেত্রে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও হয়নি ।

একজন চর্মরোগবিশেষজ্ঞ স্যালিসিলিক এসিড সমৃদ্ধ ওষুধ প্রস্তাব করতে পারেন ।

ইমিকুইমড একটি প্রচলিত ক্রিম যা শরীরের ভাইরাস প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে আঁচিলের ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে থাকে।

ক্যানথারিডিন, এককভাবে অথবা পোডোফিলিন এর সাথে প্রক্রিয়াকরণ অবস্থায় পথ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় ।

আরেকটি ওষুধ ব্লিয়োমাইসিন, যার প্রয়োগে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দৃষ্ট হয়ে থাকে । যে ক্ষেত্রে একটি কিংবা দুটি ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়ে থাকে ।

ডাইনাইট্রোক্লোরোবেনজিন (ডিএনসিবি) ব্যবহারের মাধ্যমে ।

➤বিভিন্ন থেরাপিঃ

ক্যারাটোলাইসিস পদ্ধতির মাধ্যমে ত্বকের মৃত কেষ|কোষগুলো সরিয়ে এ চিকিৎসা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় ৷

ইলেকট্রোডেসিকেশান পদ্ধতিঃ

ক্রায়োসার্জারী; এ পদ্ধতিতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।
সার্জারীর মাধ্যমে আক্রান্ত কোষকে কেটে অপসারন করার মাধ্যমে ৷

লেজার চিকিৎসাঃ

ইনফ্রা রেড কোয়াগুলেটার-এক্ষেত্রে অবলোহিত রশ্মির সাহায্যে আক্রান্ত কোষের চিকিৎসা করা হয় ৷ এটি কম ব্যয়বহুল চিকিৎসা ৷
ডাক্টটেপ অক্লুসন থেরাপি- এটি একটি থেরাপি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আঁচিলের চিকিৎসা করা হয় ৷
গার্লিক এক্সট্রাক্ট থেরাপি- এ চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ৫০ শতাংশরও বেশি ক্ষেত্রে উপকারিতা পাওয়া গেছে । এ ক্ষেত্রে রসুন থেতলিয়ে এর পুরু স্তর আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করা হয় ।

বিঃদ্রঃ তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন কিছু ব্যবহার বা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করবেন না। এই পোস্ট দেখে অনুপ্রানিত হয়ে কিছু করবেন না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+4 টি ভোট
1 উত্তর 271 বার দেখা হয়েছে
03 জানুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Samsun Nahar Priya (47,700 পয়েন্ট)
+7 টি ভোট
2 টি উত্তর 309 বার দেখা হয়েছে
03 ফেব্রুয়ারি 2021 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Samsun Nahar Priya (47,700 পয়েন্ট)
+7 টি ভোট
2 টি উত্তর 495 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 537 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
1 উত্তর 1,462 বার দেখা হয়েছে

10,722 টি প্রশ্ন

18,365 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,706 জন সদস্য

25 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 23 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...