মৌমাছিরা কীভাবে মধু তৈরি করে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+23 টি ভোট
482 বার দেখা হয়েছে
করেছেন (71,000 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+5 টি ভোট
করেছেন (71,000 পয়েন্ট)
০১) কর্মী মৌমাছিরা ফুলে ফুলে ঘুরে ঘুরে ‌মৌরস সংগ্রহ করে। এই মৌরসকে ইংরেজিতে বলে নেকটার। নেকটার আসলে ফুলের রেণুতে থাকা মিষ্টি পানির মতো তরল। মৌমাছির শরীরে দুইটা পাকস্থলি আছে। একটাতে সে এই মৌরস জমা করে আর অন্যটি আমাদের মত স্বাভাবিক, খাবার পরিপাক হয়।
০২) কর্মী মৌমাছি দূর দূরান্ত থেকে পেটে মৌরস নিয়ে এসে মৌচাকে জমা করে। মৌচাকে মধুচকোষ বা Honeycomb বলে অনেক গুলো ছোট ছোট প্রকোষ্ঠ থাকে। মৌমাছিরা এই প্রকোষ্ঠে মধু ঢালার আগে পেট থেকে মধু মুখে নিয়ে আসে। মুখে এনে মধুকে তারা চিবুতে থাকে। এটা মধু তৈরি করার সব চেয়ে জরুরী ধাপ। কেননা, এই কাজটা পৃথিবীর কোনো মেশিন করতে পারে না। পারে শুধু মৌমাছিরাই। মধু চিবানো হয়ে গেলে মধু দিয়ে এক একটি করে প্রকোষ্ঠ ভরতে থাকে।
০৩) এরপরই হয় আরেকটি জরুরী কাজ। প্রকোষ্ঠ গুলো সব ভরে গেলে, কর্মী মৌমাছিরা সবাই মিলে ডানা ঝাপটাতে থাকে। এই সবার একসঙ্গে ডানা ঝাপটানো আসলে একটা বড় ফ্যানের কাজ করে। এভাবে প্রকোষ্ঠে থাকা মৌরসের পানি বাস্প হয়ে উড়ে যেতে থাকে। এভাবে মৌরস গাঢ় ও ঘন হয়। ১৭% আর্দ্রতায় ঘন মৌরস মধুতে পরিণত হয়ে যায়। মধু হয়ে গেলেও কর্মী মৌমাছির একটি দল সবসময় ডানা ঝাপটাতেই থাকে, যেন আর্দ্রতা কিছুতেই বাড়তে বা কমতে না পারে। এই জন্যই আপনি যখনই মৌচাকের কাছে যাবেন শুনবেন একটা ভোঁ ভোঁ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। এটা আসলে মৌমাছিদের সম্মিলিত ডানা ঝাপটানোর শব্দ।
০৪) যখন মধু পুরোপুরি তৈরি হয়ে যায়, মৌমাছি আবার পেট থেকে একটা মোম বের করে এবং প্রকোষ্ঠ গুলোর মুখ একদম বাতাসরোধী করে আটকে দেয়, যতদিন না তাদের সেই মধু ব্যবহার করা লাগে।
০৫) আমরা যখন মধু সংগ্রহ করি, তখন আমাদের মৌয়ালরা এই সব প্রকোষ্ঠ গুলোকে ভেঙে নিয়ে আসে। পরে মোমগুলো গলে গেলেই মধু বের হয়ে আসে।
আমরা যে মোম ব্যাবহার করি সেগুলো কিন্তু এই প্রকোষ্ঠ বন্ধ করার মোমই। পরে শুধু আমরা একটু পরিষ্কার করে আকৃতিতে নিয়ে।
তথ্যকণিকা #গুগল
0 টি ভোট
করেছেন (43,970 পয়েন্ট)
কর্মী মৌমাছি তাদের সংগৃহীত ফুলের মধু মৌচাকে থাকা মৌমাছির মুখে দিয়ে দেয়। এরপর মৌচাকের এই মৌমাছিগুলো ফুলের রসের সঙ্গে তাদের শরীর থেকে বেশ কয়েক ধরনের এনজাইম যোগ করে এবং মৌচাকে এই রস জমা করে রাখে। এভাবে বেশ কিছুদিন পর জমাকৃত এই বিশেষ রস গাঢ় মধুতে রূপান্তরিত হয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 351 বার দেখা হয়েছে
23 জুন 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Sabbir Ahmed Sajid (8,670 পয়েন্ট)
+28 টি ভোট
6 টি উত্তর 600 বার দেখা হয়েছে
13 মার্চ 2019 জিজ্ঞাসা করেছেন RakibHossainSajib (32,140 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
6 টি উত্তর 1,009 বার দেখা হয়েছে
10 মার্চ 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,320 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
2 টি উত্তর 603 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,479 জন সদস্য

37 জন অনলাইনে রয়েছে
4 জন সদস্য এবং 33 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Israt Jahan Taha

    130 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...