চীন কি সত্যিই সূর্য বানিয়েছে?বানালে তা কিভাবে সম্ভব? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
237 বার দেখা হয়েছে
"পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (110,340 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)

চীনের তৈরি কৃত্রিম সূর্যের তাপ আসল সূর্যের পাঁচ গুণ
গবেষণাগারে ‘কৃত্রিম সূর্য’ তৈরি করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। গত বছরগুলোতে এমন খবর আমরা পেয়েছি। সে সূর্য কেমন, কীভাবে কাজ করে, আসল সূর্য থাকতে নকল সূর্যের দরকারই-বা কী—সেসবে আমরা আসছি। তবে নতুন খবর হলো, সাম্প্রতিক পরীক্ষণে কৃত্রিম সে সূর্য ৭ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ উৎপন্ন করে, যা আসল সূর্যের পাঁচ গুণের কাছাকাছি। তার চেয়েও বড় কথা, এই তাপ প্রায় ১৮ মিনিট পর্যন্ত ধরে রাখতে সফল হয়েছেন তাঁরা।

বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এতে নিউক্লিয়ার ফিউশন বা কেন্দ্রকীয় সংযোজন প্রক্রিয়া কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব বিপুল শক্তি উৎপন্ন করা সম্ভব হবে। অন্তত সে পথে এক ধাপ এগিয়ে নেবে।

নিউক্লীয় বিক্রিয়ায় একাধিক হালকা নিউক্লিয়াই সংযোজিত হয়ে তুলনামূলক ভারী নিউক্লিয়াস গঠিত হয়। পাশাপাশি এ প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় বিপুল শক্তি। মূলত সূর্যের নিউক্লিয়ার ফিউশনের প্রক্রিয়া অনুকরণ করছেন ওই বিজ্ঞানীরা।

কোথায় চলছে গবেষণা?
শিনহুয়া নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, চীনের আনহুই প্রদেশের হফেই শহরের ‘এক্সপেরিমেন্টাল অ্যাডভান্সড সুপারকন্ডাক্টিং টকামাক (ইএএসটি)’ নামের নিউক্লীয় ফিউশন চুল্লিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যস্ত গবেষকেরা। হফেই ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্যাল সায়েন্সের অংশ এটি। এখন চুল্লিটিকে আরও শক্তপোক্ত, আরও তাপসহনীয় করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।

কৃত্রিম সূর্য’ বলা হয় কেন, কেনই-বা তা গুরুত্বপূর্ণ?
এ ধরনের গবেষণাগারকে কৃত্রিম সূর্য বলার কারণ সেখানে মূল সূর্যের নিউক্লীয় ফিউশনের প্রক্রিয়া অনুকরণ করা হয়। অর্থাৎ সূর্যের শক্তি উৎপন্নের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। এমন বিক্রিয়ায় জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয় হাইড্রোজেন ও ডিউটেরিয়াম গ্যাস।

এর মূল লক্ষ্য বলা যায় মানুষের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদার পরিবেশবান্ধব উৎস তৈরি। সমুদ্রের এক লিটার পানি থেকে যে পরিমাণ ডিউটেরিয়াম গ্যাস পাওয়া যাবে, তা থেকে নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে পাওয়া শক্তি ৩০০ লিটার গ্যাসোলিন পুড়িয়ে পাওয়া শক্তির প্রায় সমান।

এবার ভেবে দেখুন, সমুদ্রে কত পানি আছে আর তা থেকে কী পরিমাণ ডিউটেরিয়াম আহরণ সম্ভব। এখন নিউক্লিয়ার ফিউশনের মাধ্যমে কাজে লাগানোর মতো শক্তি উৎপন্নের টেকসই পদ্ধতি উদ্ভাবন সম্ভব হলেই লাখ লাখ বছরের জ্বালানি চাহিদা নিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া যেত।

ইএএসটি গবেষণাগারটি চীনাদের তৈরি হলেও ২০০৬ সাল থেকে বিশ্বের নানা দেশের বিজ্ঞানীরা সেখানে গবেষণা করেন। ১০ হাজারের বেশি চীনা এবং বিদেশি বিজ্ঞানীর কাজের ফল এই কৃত্রিম সূর্য। এ প্রকল্পে চীন এরই মধ্যে ৭০ কোটি ১০ লাখ ব্রিটিশ পাউন্ড খরচ করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গবেষকেরা ‘কৃত্রিম সূর্য’ ৭ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপে ১৭ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড পর্যন্ত পরিচালনা করেন। অথচ মূল সূর্যের কেন্দ্র দেড় কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো উত্তপ্ত হতে পারে।

চায়নিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের ইনস্টিটিউট অব প্লাজমা ফিজিকসের পরিচালক সং ইয়ুনতাওয়ের ভাষায়, গবেষণা থেকে প্রায়োগিক পর্যায়ের পথে এগিয়ে যাওয়ার মাইলফলক এটি।

গত মে মাসে ইএএসটি আরেকটি মাইলফলক অর্জন করে। সেবার ১২ কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াসে চুল্লিটি ১০১ সেকেন্ড ধরে চলেছিল।

সূত্র: শিনহুয়া নিউজ এজেন্সি, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট  দ্য সান
©️প্রথম আলো।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+9 টি ভোট
1 উত্তর 396 বার দেখা হয়েছে
28 ডিসেম্বর 2020 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,340 পয়েন্ট)
+11 টি ভোট
1 উত্তর 256 বার দেখা হয়েছে

10,837 টি প্রশ্ন

18,539 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

843,092 জন সদস্য

18 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 15 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M_Hamza

    200 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    140 পয়েন্ট

  3. MM88store

    100 পয়েন্ট

  4. peacock777ukcom

    100 পয়েন্ট

  5. bongvipdecom

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন গাছ মনোবিজ্ঞান খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার দুধ উপায় হাত শব্দ মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য বাচ্চা হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...