বাচ্চারা খাবার খেতে চায় না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
316 বার দেখা হয়েছে
"লাইফ" বিভাগে করেছেন (11,220 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন

5 উত্তর

+4 টি ভোট
করেছেন (105,560 পয়েন্ট)

পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার

 

কারণ

২ থেকে ৬ বছর

এ বয়সী বাচ্চাদের না খাওয়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। ছোট বাচ্চাদের খাবার খাওয়ানোর ক্ষেত্রে দুটো ভুল ধারণা রয়েছে। একটা হলো অল্প খাবারে পরিপূর্ণ পুষ্টি দেওয়ার চেষ্টা করা। ধরা যাক, খিচুড়িতে চাল-ডালের চেয়ে সবজি যদি বেশি হয় বা চার-পাঁচ রকমের সবজি হয়, তাহলে খাবারটা স্বাদহীন হয়ে যায়। দ্বিতীয় জিনিস হলো, খাবারটি যদি মিশ্রিত খাবার হয়, তাহলে ওই খাবার বাচ্চা বেশি দিন পছন্দ করে না। তৃতীয় হচ্ছে, একই রকমের খাবার। একই খাবার যদি প্রতিবেলায় দেওয়া হয়, তাহলে ওই খাবার পছন্দ করে না। বাচ্চারা একই রকম খাবার কখনোই খেতে চায় না। বাচ্চাদের খাবার তৈরি সময় একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, উপকরণগুলো ঠিক রেখে রান্নার পদ্ধতিটা পরিবর্তন করে নেওয়া।

৬ থেকে ১৪ বছর

এ বয়সে বাচ্চা স্কুলে যাওয়া শুরু করে। শিশুরা ঘুম থেকে উঠেই স্কুলে যায়। স্কুলে যাওয়ার আগে ওই সময়ে বাচ্চা কিছু খেতে চায় না। সকালে না খেয়ে বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার পর যখন ক্ষুধা লাগে, তখন তারা ঘরের খাবার (বাড়িতে বানানো খাবার) না খেয়ে জাঙ্ক ফুড খায়। জাঙ্ক ফুড খাওয়ার ফলে তাদের অল্প একটু খেলেই পেট ভরে যায়। তখন মূল খাবারটা (বাড়িতে বানানো খাবার) খেতে চায় না। ফলে মা বলেন, তাঁর বাচ্চা খাবার খাচ্ছে না।

 

0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)
এটা বাচ্চাদের ব্যাক্তিগত ব্যাপার।সব বাচ্চা এক রকম হয় না ।
0 টি ভোট
করেছেন (15,200 পয়েন্ট)
বেশির ভাগ মায়েরই অভিযোগ—বাচ্চা খেতে চায় না। কিছু কিছু রোগের কারণে শিশুদের রুচি কমে যেতে পারে, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। অনেক ক্ষেত্রেই এ বিষয়ে মা-বাবার উৎকণ্ঠা থাকে। হয়তো শিশু তার রুচি ও পরিমাণ অনুযায়ী ঠিকই খাচ্ছে, কিন্তু মা-বাবা তাতে তৃপ্ত হচ্ছেন না। শিশুর আসলে কোনো রোগ নেই, সমস্যাটা তার মনে। বয়স অনুযায়ী মানসিক ও শারীরিক বিকাশ অন্য বাচ্চাদের মতো হলে শিশুর খাওয়া নিয়ে মা-বাবার দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।
শিশুর প্রতি মনোযোগ কমে গেলেও সে খাওয়া কমিয়ে দিতে পারে। সে যখন দেখে যে ঠিকমতো না খেলে বা খাবার নিয়ে যন্ত্রণা করলে তাকে নিয়ে সবাই অস্থির হয়ে পড়ছে, তখন খাবার নিয়ে বায়না ধরে।
এ বিষয়ে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন মৃধা বলেন, তবে কিছু বাচ্চা আছে যারা, সত্যি সত্যি খায় না। বৃদ্ধিটাও ঠিকমতো হয় না। তাহলে দেখতে হবে যে বাচ্চাটি অপুষ্টির শিকার হচ্ছে কি না বা তার রক্তশূন্যতা হয়েছে কি না? না কি বাচ্চার ঘন ঘন কোনো সংক্রমণ হচ্ছে, যার জন্য খাওয়ায় রুচি কমে যাচ্ছে। যদি শিশুটির রক্তশূন্যতা থাকে, অপুষ্টি থাকে—বাচ্চাটি বসে থাকবে, খুব বেশি সচল থাকবে না। তাহলে এগুলো দেখতে হবে। পাশাপাশি কৃমি আছে কি না দেখতে হবে। কিছু বাচ্চার থ্যালাসেমিয়া, অ্যাজমা থাকতে পারে, কিংবা প্রস্রাবে সংক্রমণ আছে; তখন বাচ্চাটিকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সে যে খায় না, তার কারণ কী খুঁজতে হবে। শুধুই কি ক্ষুধামান্দ্য নাকি সঙ্গে আর কিছু রয়েছে, সেসব দেখতে হবে। দেখে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে।
খাওয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে আচরণগত পরিবর্তন আনুন
ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠেই খিচুড়ি বা অন্য খাবার না দিয়ে আগে বুকের দুধ দিন। এর দুই-তিন ঘণ্টা পর অন্য খাবার দিন। শিশুকে যখন-তখন চিপস, জুস, চকলেট ইত্যাদি দেওয়া যাবে না, এতে খিদে নষ্ট হয়।
আহারের মধ্যবর্তী সময়গুলোতে শিশুকে অন্যান্য খাবার বেশি দেবেন না। যেমন ভাত খাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে দুধ বা নাশতা দেবেন না। শিশুর বিদ্যালয় যদি দুপুর ১২টায় ছুটি হয়, তবে ফিরে এসে তেমন কোনো নাশতা না দেওয়াই উচিত। এ ক্ষেত্রে খিদে থাকা অবস্থাতেই ভাত বা মধ্যাহ্নভোজ দিয়ে দেওয়া যায়।
শিশুকে এক খাবার প্রতিদিন দেবেন না। যেমন রোজ ডিম সেদ্ধ না দিয়ে ডিমের তৈরি নানা জিনিস যেমন পুডিং, জর্দা ইত্যাদি দিতে পারেন। দুধের ক্ষেত্রেও তাই; পুডিং, সেমাই বা পায়েসে প্রচুর দুধ থাকে, সেটাই দিন। ফল খেতে না চাইলে কাস্টার্ড করে দিন।
অনেক সময় খাবার পরিবেশনেও ভিন্নতা আনলে কাজ হয়। রঙিন পাত্রে খাবার পরিবেশন করুন। টেবিলকে করুন সুন্দর ও আকর্ষণীয়। টিভি দেখা কমিয়ে পর্যাপ্ত খেলার ব্যবস্থা করুন, এতে খিদে বাড়বে।
সচরাচর এটাই দেখা গেছে, শিশু যদি একা খায়, তাহলে সে খুব বেশি খেতে চায় না। কিন্তু যদি সপরিবারে বসে একসঙ্গে খায়, তাহলে আপনার শিশুটিও খেতে উৎসাহ পাবে। তাই দুপুরের খাবার বা রাতের খাবার সবাই একসঙ্গে করুন।
শিশু যদি খুব অন্যমনস্ক থাকে, তাহলে খিদে নষ্ট হয়ে যায়। ধরুন, আপনার শিশুর বন্ধুরা সবাই বাইরে খেলাধুলা করছে, আর আপনি জোর করে বাড়ির মধ্যে রেখে তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন; তাহলে কিন্তু আপনার শিশুটি একেবারেই খেতে চাইবে না।
খাবার নিয়ে জোর করবেন না। শিশুকে নিজের হাতে খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। খাবার প্রস্তুত, বাজার বা পরিবেশনে সম্ভব হলে তাকে সঙ্গে রাখুন। তার পছন্দমতো মাছ, মাংস বা সবজি কিনুন। এতে খাবারের প্রতি শিশুর আগ্রহ বাড়বে।
সন্তান ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না, তাও নজরে রাখতে হবে। যদি দেখা যায় যে বাচ্চা সমবয়সীদের মতোই বাড়ছে, ওজনও ঠিক আছে; তাহলে বুঝতে হবে তার শরীরে পুষ্টির কোনো ঘাটতি নেই, অর্থাৎ আপনার শিশুর খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিকই আছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার দেখা যায়, বাচ্চার ওজন বয়সের তুলনায় বেশি অথচ মা-বাবার অভিযোগ—শিশুটি একদমই খায় না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে মা-বাবাকে বুঝতে হবে যে শিশু যদি ঠিকঠাক না খেত, তাহলে তার ওজন বেশি হতো না। আর এরপর যদি জোর করে শিশুটিকে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা শিশুটির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যদি দেখা যায় যে বাচ্চা ঠিকঠাক বাড়ছে না, বয়সের তুলনায় ওজন অনেক কম অথবা ওজন বয়সের তুলনায় অনেক বেশি, তাহলে কোনো শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

লেখক: চিকিৎসক
0 টি ভোট
করেছেন (7,400 পয়েন্ট)

বাচ্চারা খাবার খেতে চায় না কারণ বিভিন্ন কারণ রয়েছে। কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • তাদের ক্ষুধা না থাকা। বাচ্চাদের ক্ষুধা বিভিন্ন কারণে কমে যেতে পারে, যেমন:

    • তারা পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়ার কারণে।
    • তারা মানসিক চাপের কারণে।
    • তারা অসুস্থ হওয়ার কারণে।
  • তাদের খাবারের প্রতি অনীহা। বাচ্চাদের খাবারের প্রতি অনীহা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন:

    • তারা নতুন খাবার চেষ্টা করতে ভয় পায়।
    • তারা স্বাদ, গন্ধ, বা খাবারের চেহারা পছন্দ না করতে পারে।
  • তাদের খাবারের সাথে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাচ্চারা খাবারের সাথে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা পেলে, যেমন খাবার ফেলে দেওয়া বা বিষম খাওয়া, তারা সেই খাবারের প্রতি অনীহা তৈরি করতে পারে।

  • তারা খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। বাচ্চারা যখন খাবারের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, তখন তারা খাবার খেতে অস্বীকার করতে পারে। এটি ঘটতে পারে যদি মা-বাবা বা অন্যরা বাচ্চাকে খাওয়ার জন্য চাপ দেয় বা জোর করে খাওয়ায়।

বাচ্চাদের খাওয়ার অনীহার কারণ নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনি মনে করেন যে আপনার সন্তানের খাওয়ার অনীহার কারণ শারীরিক, তাহলে আপনার সন্তাকে একজন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া উচিত। যদি আপনি মনে করেন যে আপনার সন্তানের খাওয়ার অনীহার কারণ মানসিক, তাহলে আপনি একজন শিশু বিকাশ বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

বাচ্চাদের খাওয়ার অনীহা মোকাবেলা করার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:

  • আপনার সন্তানের ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার সন্তাকে খাবারের জন্য অনুরোধ না করা পর্যন্ত তার খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করুন।
  • আপনার সন্তাকে বিভিন্ন ধরণের খাবার পরিবেশন করুন। আপনার সন্তাকে নতুন খাবার চেষ্টা করার জন্য উৎসাহিত করুন।
  • খাবারকে মজার এবং আকর্ষণীয় করে তুলুন। আপনার সন্তাকে খাবার তৈরিতে সাহায্য করুন।
  • খাওয়ার সময় চাপ বা জোর দেবেন না। আপনার সন্তাকে খাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া বা জোর করে খাওয়ানো তাকে খাবার থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
2 টি উত্তর 338 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 366 বার দেখা হয়েছে
18 জানুয়ারি 2023 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন farianimran (520 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 435 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 209 বার দেখা হয়েছে
01 জানুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,320 পয়েন্ট)

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,890 জন সদস্য

40 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 40 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...