কিভাবে টেনশন কমানো যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+8 টি ভোট
561 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (123,340 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (123,340 পয়েন্ট)
 
সর্বোত্তম উত্তর
Nishat Tasnim-

টেনশন কাটানোর উপায়ঃ-

১। মাসাজ- যদি সময় থাকে তবে ছোট্ট করে একটা মাসাজ নিয়ে নিন। এতে পেশি শিথিল হবে। টেনশন কমবে। সময় না থাকলে নিজেই ঘাড়ে, কাঁধে, কানের পিছনে হালকা আঙুলের চাপে মাসাজ করতে থাকুন।

২। হিট থেরাপি- গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন, বোতল অথবা ব্যাগে গরম জল ভরে ঘাড়, কোমর, কাঁধে আস্তে আস্তে সেঁক দিন। এতে টেনশনও কমবে, ব্যথা থাকলে তা-ও দূর হবে।

৩। স্নান- হালকা গরম জলে স্নান করলে যে কোনও সময়ই আরাম লাগে। ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস উষ্ণতায় জল গরম করে ভাল করে স্নান করে নিন। টেনশন দূর হবে।

৪। হাঁটা- অফিসে কাজের অনেক চাপ থাকলে বা কোনও কারণে মাথা গরম হলে কী করবেন? চেয়ার ছেড়ে উঠে একটু হেঁটে আসুন। হাত, পা নাড়াচাড়া করলে, সচল থাকলে হালকা লাগে। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়ে স্বস্তি পাবেন। টেনশন কমাতেও এই হাঁটা কাজে আসবে।

৫। স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ- শরীরে অক্সিজেনের অভাবে পেশি শক্ত হয়ে গেলে টেনশন বেশি হয়। তাই হালকা স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করুন যাতে পেশি শিথিল ও সচল হয়। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে, রক্ত চলাচল ভাল হয়।

৬। সহজ যোগ ব্যায়াম- যোগ ব্যায়াম করলে টেনশন কমে। কিন্তু অভ্যাস না থাকলে হঠাত্ করে করতে যাবেন না। হালকা ব্রিদিং, বজ্রাসন, পবনমুক্তাসনের মতো সহজ কিছু আসন করুন।

৭। জল- ডিহাইড্রেশন টেনসন বাড়ায়। দেখবেন নার্ভাস লাগলে গলা শুকিয়ে যায়। তাই টেনশন হলে অল্প অল্প করে জল খেতে থাকুন।

এ ছাড়াও টেনশন দূরে রাখতে যে জিনিসগুলো প্রতি দিন করবেন-

৮। ঘুম- ঘুমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ নয়। অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুম যেন হয় দিনে। না হলে মাথা কাজ কম করবে। সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হলে টেনশন বেশি হবে।

৯। ডায়েট- খাওয়া, দাওয়া ঠিকঠাক ও নিয়মিত করবেন। শরীরে অস্বস্তি যেমন টেনশন বাড়ায়, তেমনই খালি পেটে থাকলেও মাথা কাজ করে না।

১০। স্ট্রেস এড়িয়ে চলুন- নিজেকে বোঝান টেনশন করে কোনও লাভ নেই। চিন্তা করে কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। তা টেনশন থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন। মাথা ঠান্ডা রাখলে অনেক জটিল সমস্যারও সমাধান করে ফেলা যায়।
0 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

পরিবার বা কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, সম্পর্কে অবনতি, অর্থনৈতিক সংকট, খারাপ স্বাস্থ্য, এমনকি ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু— এসব বিভিন্ন কারণে আমরা মানসিক চাপের মধ্যে থাকি। এই মানসিক চাপ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তাই নিজেকে ভালো রাখতে চাপ কমানো জরুরি।

মানসিক চাপ কমাতে হলে শুরুতে চাপ হওয়ার কারণগুলো জানতে হবে। এরপর সমস্যার গভীরে গিয়ে সমাধান করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মানসিক চাপ একা একা সমাধান করার চেষ্টা করবেন না। চাপ নিয়ন্ত্রণে বন্ধু,পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

মানসিক চাপ দূর করার কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট ওইকিহাউ।  

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন:

ব্যায়াম মানসিক চাপ তৈরিকারী হরমোনের নিঃসরণ কমায়।সুখি হরমোন হিসেবে পরিচিত এনডোরফিনের মাত্রা বাড়ায়।তাই যত ব্যস্তই থাকুন না কেন একটু সময় বের করে ব্যায়াম করার চেষ্টা করুন।যদি জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সময় না হয় তবে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। সেটিও চাপ কমাতে কাজে দেবে।

২. ঘুমান:

ঘুম শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠার একটি নির্দিষ্ট রুটিন তৈরি করুন। নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

৩. সঠিকভাবে খান:

মানসিক চাপে থাকলে খাওয়ার প্রতি অনেকেরই অনীহা হতে পারে। মনে রাখবেন, না খেয়ে থাকা চাপকে বা সমস্যাগুলোকে কমিয়ে দেবে না বরং খাবার আপনার শরীরকে কর্মক্ষম রাখবে এবং চাপ দূর করার পদক্ষেপগুলো নিতে সাহায্য করবে। এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। ক্যাফেইন গ্রহণ কমিয়ে দিন।

সকালের নাস্তা ভালোভাবে করুন। দিনে অন্তত ছোটবড় মিলিয়ে ছয় বেলা খাবার খান। গমে রুটি, পাস্তা ইত্যাদি খান। ভিটামিন এ এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খান। পাশাপাশি গ্রিন টি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান।

৪. শিথিল থাকতে শিখুন:

মানসিক চাপের সময় দেহ ও মনকে শিথিল রাখা জরুরি। মানসিক চাপের কারণ সহজেই চলে যাবে না। এটা দূর হতে সময় লাগবে। তাই এসময় নিজেকে শান্ত রাখা জরুরি। মনকে শিথিল রাখতে হালকা ধাঁচের গান শুনুন। আর শরীরকে শিথিল রাখতে স্নান করতে পারেন। পার্লারে বা স্যালুনে গিয়ে মানসিক চাপ কমাতে পারে এ রকম ম্যাসেজ করান।

৫. ডায়রি লিখুন:

আপনি হয়তো কখনোই ডায়রি লেখেননি। তবুও এ সময়টায়  নোট প্যাড বা ডায়রিতে কিছু লেখার চেষ্টা করুন। যে বিষয়টি আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে, মানসিক চাপের কারণ হচ্ছে সেটি ডায়রিতে লিখুন। পাশাপাশি আপনি কী চান বা কী করলে আপনার ভালো লাগত সেই বিষয়টিও লিখুন। ডায়রি লেখার এই অভ্যাসটি মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা সাহায্য করবে আপনাকে।

৬. যোগ ব্যায়াম ও ধ্যান করুন:

মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান করতে পারেন। ধ্যানের সময় গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম শরীরকে শিথিল করে। ধ্যান আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চাপ কমাতে যোগব্যায়ামও করতে পারেন।

৭. পছন্দের কাজগুলো করুন:

হয়তো ছোটো বেলায় গান শিখতেন বা ছবি আঁকতেন আপনি। বড় হওয়ার পর কাজের চাপে বা সংসারের বিভিন্ন ঝক্কি-ঝামেলায় এগুলো করা হয়ে উঠে না আর। মানসিক চাপের সময় এই পছন্দের কাজগুলো আবার শুরু করুন এবং কাজগুলোর মাধ্যমে নিজেকে সময় দিন।

৮. নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন:

খারাপ চিন্তা হয়তো সবসময় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তবে চেষ্টা করুন ইতিবাচক চিন্তা করতে। ভাবুন যা চাইছেন তা ইতিবাচকভাবেই পাবেন। এটা আপনাকে মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করবে।

৯. নিজেকে গুছান:

জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী নিজেকে গুছান। জীবনযাপনকে একটি রুটিনের ভেতরে নিয়ে আসুন। খাওয়া, ঘুমানো, কাজ এবং নিজের পছন্দের কাজ-সবকিছুর জন্য একটি সময় নির্ধারণ করুন।

১০. সব পরিবর্তন হয় না:

হয়তো খুব কাছের কারো মৃত্যু আপনাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে বা কোনো ঘটনা আপনাকে এতটা আহত করেছে যে এর চাপ বহন করা কষ্টের হয়ে যাচ্ছে। ভাবুন অতীত কি ফিরিয়ে আনা সম্ভব বা ঠিক করা সম্ভব?  যদি উত্তর ‘না’ হয়, তবে এটি নিয়ে ভাবনা বন্ধ করে দিন। কেননা সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আর সবকিছু আমাদের হাতেও থাকে না।

১১. কাছের বন্ধুর সাথে কথা বলুন:

মানসিক চাপের কারণ নিয়ে কাছের বন্ধুর সাথে কথা বলুন। বন্ধুকে বলুন, আপনাকে সাহায্য করতে। তবে এমন বন্ধুকে বলবেন না, যে আপনাকে বুঝবে না অথবা একপর্যায়ে আপনাকে উপহাস করবে। 

১২. নিজের সাথে কথা বলুন:

সর্বোপরি নিজের সাথে কথা বলুন। কোন বিষয়গুলো আপনাকে মানসিক চাপে ফেলছে? কী করলে চাপ কম হতো? বর্তমানে কী অবস্থা? এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি কী করতে পারনে- এগুলো ভাবুন।

চাপ দূর করতে কী করা প্রয়োজন, এর জন্য একটি তালিকা তৈরি করুন। আপনার চাহিদা অনুসারে তালিকাটি সাজান এবং সেই তালিকা অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। এই পদক্ষেপগুলোর চর্চা মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করবে।

ক্রেডিট: এনটিভি বিডি

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 130 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 398 বার দেখা হয়েছে
10 অক্টোবর 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Anupom (15,280 পয়েন্ট)
+9 টি ভোট
2 টি উত্তর 480 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 269 বার দেখা হয়েছে
+6 টি ভোট
1 উত্তর 1,665 বার দেখা হয়েছে

10,723 টি প্রশ্ন

18,367 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

240,919 জন সদস্য

57 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  3. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  4. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

  5. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...