অরবিটাল-এর শেলগুলিকে s, p, d, f ইত্যাদি নামে কেন ডাকা হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+27 টি ভোট
1,345 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (15,170 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+6 টি ভোট
করেছেন (105,560 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর
বিভিন্ন গ্যাসের পাত্রের মধ্যে দিয়ে আসা আলোই আপনাকে বলে দেবে যে কোনটা কোন গ্যাস। এই একই ধারণা কাজে লাগিয়ে আমরা বহু আলোকবর্ষ দূরে থাকা নক্ষত্রের মধ্যের উপাদান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা করতে পারি। বর্ণালী বিশ্লেষণের ধারণা এতই ক্ষমতাশালী যে একে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার করা হয়। পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন- উভয় শাস্ত্রেরই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা হল বর্ণালী বিশ্লেষণ। ১৮৮৫ সালে বামার এর সাফল্যে উৎসাহিত হয়ে বিজ্ঞানীরা সেই ধারণা কে আরও এগিয়ে নিয়ে গিয়ে অন্যান্য মৌলের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ করে একে একটা সাধারণ ও ব্যাপকতর আকার দিতে চেয়েছিলেন। ১৮৮০ এর দশকের আগে থেকেই বিভিন্ন ক্ষারধাতুর বর্ণালী বিশ্লেষণ করছিলেন বিজ্ঞানীরা। এই দশকে তা গতি পেল।তাঁরা একটা বিষয় লক্ষ্য করেছিলেন। তাঁরা একই ধাতুর মধ্যে, বা আলাদা আলাদা ধাতুর ক্ষেত্রে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ধরণের ভিন্ন প্রকারের রেখা দেখছিলেন তাঁরা। এই কাজ করেছিলেন লিভিং আর ডিওয়ার। তাঁরাই প্রথম শার্প, ডিফিউসড আর প্রিন্সিপল এই তিনটি নাম দেন 1 । আবার এরকম দেখা যাচ্ছিল যে একটা বর্ণালী কে তিনটি বর্ণালীর যোগফল হিসেবে দেখানো যেতে পারে। এইটা প্রথম পৃথক ভাবে লক্ষ্য করেন হাইনরিখ কাইসের আর কার্ল রুঙ্গ 2 এবং সুইডিশ বিজ্ঞানী রিডবার্গ 3 । তাঁরাও লিভিং এবং ডিওয়ারের পথ অনুসরণ করে এই বর্ণালীর রেখা গুলিকে একই নামে অভিহিত করেন। আমো বার্গম্যান ১৯০৭ সালে একটি চতুর্থ রেখার আবিষ্কার করেন এবং এর নাম দেন- “ফান্ডামেন্টাল"
করেছেন (105,560 পয়েন্ট)
তখনো কিন্তু কেউ “অরবিটাল" এর “অ" জানেন না। অরবিটালের ধারণা তখনও বহু দূর।

পরমাণুর মধ্যে এরকম ঘর করা আছে ভাবলে ভুল হবে। এই ছবি গুলি পরমাণুর মধ্যে বিভিন্ন শক্তিসম্পন্ন ইলেক্ট্রনের সম্ভাব্য সঞ্চারপথের সন্ধান দেয়। এই ভিডিও দেখে ধারণা পরিষ্কার করা যেতে পারে।

এখন ভিন্ন কক্ষকে সঞ্চারণরত ইলেক্ট্রনের শক্তি ভিন্ন হয়। এবং আগেই বলেছি যে বর্ণালী বিশ্লেষণের মূল রীতিই হল ইলেকট্রন আর আলোর মধ্যের আন্তঃক্রিয়া। তো বিভিন্ন শক্তিসম্পন্ন ইলেকট্রনের সঙ্গে একই আলোর ক্রিয়ার ফল যে ভিন্ন হবে এটা খুব সহজেই বোঝা যায়।

এজন্যই ভিন্ন ধরণের তিনটি রেখা দেখা যাচ্ছিল।

১৯১৩ সালে নীলস বোর তাঁর যুগান্তকারী পেপার প্রকাশ করেন যাতে করে তিনি পরমাণু গঠনের কোয়ান্টাম তত্ত্ব দেন। তখন এই নতুন মডেল কে পুরনো বর্ণালী বিশ্লেষণের দ্বারা প্রাপ্ত বিভিন্ন ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তোলার প্রচেষ্টা শুরু হয়।

এই প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ ফলপ্রসূ হয় যখন ১৯২০ এর দশকে মূলত উলফগ্যাং পাউলির হাত ধরে কোয়ান্টাম বলবিদ্যা আধুনিক যুগে প্রবেশ করে। আমি বিস্তৃতি তে যাচ্ছি না। প্রয়োজন নেই বলে।

১৯২৫ সালে প্রবাদপ্রতিম ম্যাক্স বর্ন নিজের পেপার “Vorlesungen über Atommechanik” (অনুবাদঃ “পরমাণুর গঠন সম্পর্কিত প্রাথমিক বক্তৃতা”) -এ এভাবে পরমাণুর কক্ষক নির্দেশ করেন-

31 ,  32 ,  33  ইত্যাদি।

তিনিই প্রথম প্রাক-কোয়ান্টাম যুগের ধারণা এবং কোয়ান্টাম যুগের কক্ষকের ধারণার মেলবন্ধন ঘটিয়ে এভাবে লিপিবদ্ধ করেন।
এরপর বিজ্ঞানী হুন্ড (এনার নামই “হুন্ডের মাল্টিপ্লিসিটি থিওরি" তে পাওয়া যায়) নিজের একটা পেপার “Linienspektren und periodisches System der Elemente” (অনুবাদঃ “মৌলসমূহের রেখা বর্ণালী ও পর্যায়ক্রমিক ব্যবস্থা") এ এভাবে পরমাণুর কক্ষক বোঝান-

3s ,  3p ,  3d  ইত্যাদি।

এবং এই নিয়মই ধীরে ধীরে রসায়ন শাস্ত্রে ও পদার্থবিদ্যায় ছড়িয়ে পড়ে। আজ তো এর ব্যবহার সর্বত্র এবং সর্বজনস্বীকৃত।

তাহলে নিশ্চয়ই বোঝা গেল যে পরমাণুর কক্ষকের বিভিন্ন উপকক্ষের নাম দেওয়া হয়েছে, বর্ণালী বিশ্লেষণ পদ্ধতিতে পাওয়া তাদের দ্বারা উৎপন্ন ভিন্ন প্রকার রেখার ভিত্তিতে।

আজকে পরমাণুর কক্ষক বোঝাতে যে লিখনরীতি ব্যবহৃত হয় তার জন্য আমি চার জনের অবদান দেখতে পাই- লিভিং এবং ডিওয়ার (আসল নাম গুলি দিয়েছিলেন), ম্যাক্স বর্ন (কক্ষকের ধারণাকে প্রথম একটি লিখনরীতির মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করেন) এবং হুন্ড (আজকে প্রচলিত পদ্ধতিতে কক্ষকের ধারণা লিপিবদ্ধ করেন)।

লেখক :
ঋতব্রত ঘোষ
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+22 টি ভোট
1 উত্তর 385 বার দেখা হয়েছে
+24 টি ভোট
1 উত্তর 313 বার দেখা হয়েছে
17 অক্টোবর 2020 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন HABA Audrita Roy (105,560 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
1 উত্তর 287 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 924 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 207 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,994 জন সদস্য

55 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. LynneWinkler

    100 পয়েন্ট

  4. Lee35D624176

    100 পয়েন্ট

  5. StormySchaue

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...