schizophrenia রোগটা কেনো হয়ে থাকে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+12 টি ভোট
818 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

Faria Richi Hawlader
◾সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণঃ
সিজোফ্রেনিয়া হ'ল একটি মানসিক ব্যাধি যা মস্তিষ্কের ফোরব্রেন, হিন্ডব্রেইন এবং লিম্বিক সিস্টেমের অসামান্জস্যতাকে কেন্দ্র করে ঘটে। এগুলার কোনটার অসামঞ্জস্যতার জন্য কি ঘটে?
লিম্বিক সিস্টেম মেজাজ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দায়ী। সুতরাং, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাস্তব এবং বাস্তব কী তা বলতে সমস্যা হয়।
নিউরোট্রান্সমিটার, মস্তিষ্কের বার্তাবাহক যারা এক কোষ থেকে অন্য কোষে তথ্য বহন করে তাদের সিজোফ্রেনিয়ার সাথে যুক্ত করা হয়েছে। তারা ডোপামিন এবং গ্লুটামেটের মুক্তি নিয়ন্ত্রণ করে। এর উচ্চ বা নিম্ন স্তরের কারণে মানসিক লক্ষণ, ভৌতিক চিন্তাভাবনা, স্মৃতিশক্তি এবং শিক্ষাগত অক্ষমতা দেখা দেয়
মনোবিজ্ঞানীদের মতে মানুষ যখন প্রচন্ড মানসিক আঘাত পায় কিংবা কোন বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে প্রচন্ড চাপে থাকে তখনই মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে দ্বৈত সত্ত্বার জন্ম নেয়। আরো কিছু কারণঃ
- জেনেটিক কারণে
- শৈশবের কোন খারাপ প্রভাবের কারণে
- ব্রেইনে ফিজিক্যাল অস্বাভাবিকতা
- সামাজিক কারণ
- ভ্রূনের বিকাশের সময় মানসিক চাপ
- মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার (এতে সিজোফ্রেনিয়া যদি কমও থাকে, বেড়ে যাওয়ার প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে)
- অপর্যাপ্ত পুষ্টি। (এটি শুধুমাত্র সিজোফ্রেনিয়া নয়, মস্তিষ্কেও দারুণ প্রভাব ফেলে)।
+1 টি ভোট
করেছেন (141,820 পয়েন্ট)

স্কিজোফ্রেনিয়া শব্দের অর্থ ‘split mind’ বা ‘দ্বিখণ্ডিত মন’। এটি এক ধরনের জটিল মানসিক রোগ। এই রোগকে একসময় শয়তান বা ভূতে পাওয়া হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হতো। এই রোগে আক্রান্ত মানুষের আলাদা একটি কাল্পনিক জগৎ থাকে, তারা বাস্তব জীবনের কোন ঘটনাকে অতিপ্রাকৃত ও অবাস্তবভাবে ব্যাখ্যা দেন। স্কিজোফ্রেনিয়া রোগীদের মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়, বেশিরভাগ রোগীদেরই হ্যালুসিনেশন হয়। 

বাংলাদেশে স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ০.২৪% (প্রায় ৪ লক্ষ) মানুষ এবং পুরুষের চেয়ে নারীদের মাঝে স্কিজোফ্রেনিয়া রোগের হার বেশি। স্কিজোফ্রেনিয়া কয়েক ধরনের হতে পারে, এগুলো হলোঃ 

▪️Paranoid Schizophrenia: প্যারানয়েড স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মাঝে ভ্রম, অডিটরি হ্যালুসিনেশন, সন্দেহপ্রবণতা দেখা যায়। তারা ভাবতে থাকে যে কেউ তাদেরকে দেখছে, ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।

▪️Disorganized Schizophrenia: ডিজঅর্গানাইজড স্কিজোফ্রেনিয়া এর কারণে মানুষের কথা, চিন্তাধারা ও কাজে অমিল দেখা যায়। বেশিরভাগ সময়েই তারা পরিস্থিতির বিপরীত আচরণ করেন। এর ফলে তাদের দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটে।

▪️Catatonic Schizophrenia: ক্যাটাটোনিক স্কিজোফ্রেনিয়া তে আক্রান্ত মানুষ হঠাৎ কোন পরিস্থিতিতে কথা বলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যক্রম কয়েক ঘন্টার জন্য বন্ধ করে দেয় বা একই কথা বার বলতে থাকে।

▪️Residual Schizophrenia: রেসিডিউয়াল স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের মাঝে এই রোগের লক্ষণ তেমনভাবে প্রকাশ পায়না। তাদের মাঝে অনুভূতি, বেঁচে থাকার আগ্রহের অভাব দেখা দেয়।

▪️Undifferentiated Schizophrenia: এই ধরনের স্কিজোফ্রেনিয়া তে আক্রান্ত মানুষের মাঝে একাধিক ধরনের স্কিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণ একসাথে দেখা দেয়।

স্কিজোফ্রেনিয়ার কারণঃ

স্কিজোফ্রেনিয়ার কোন সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। নানা কারণে এই রোগ হতে পারে। মূলত মানুষের মস্তিষ্কে আছে কোটি কোটি স্নায়ুকোষ বা নিউরন। নিউরনের কাজ হচ্ছে উদ্দীপনা বহন করা, প্রাণীদেহের বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে কাজের সমন্বয় সাধন করা, বিভিন্ন কাজের নির্দেশ দেওয়া এবং পরিচালনা করা। স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানুষের নিউরনে গোলযোগ দেখা দেয় যার ফলে ব্যক্তির চিন্তা-চেতনা, বিচার-বিবেচনা করার শক্তি লোপ পায়। তাছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপে, পারিবারিক অশান্তি, ক্ষোভ-রাগ, দুশ্চিতা বা জিনগত কারণেও স্কিজোফ্রেনিয়া হতে পারে। science bee

স্কিজোফ্রেনিয়ার লক্ষণঃ

স্কিজোফ্রেনিয়া রোগে আক্রান্ত মানুষের মাঝে অবাস্তব চিন্তাভাবনা, অহেতুক সন্দেহপ্রবণতা, হ্যালুসিনেশন, অসংলগ্ন কথা বলার প্রবণতা দেখা দেয়। অনেক সময় রোগী নিজেকে মহাপুরুষ, জ্ঞানী, বিখ্যাত মানুষ ভাবতে শুরু করেন। রোগী অবাস্তব জিনিস দেখেন, অনেকে আবার গায়েবি আওয়াজ বা কথা শুনতে পান যা অন্য কেউ শুনেনা। তাছাড়া স্কিজোফ্রেনিয়া আক্রান্তদের মাঝে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যাওয়া, একা একা থাকা, আত্মহত্যার চেষ্টার প্রবণতা দেখা দেয়।

স্কিজোফ্রেনিয়ার চিকিৎসাঃ

বর্তমানে স্কিজোফ্রেনিয়ার বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক চিকিৎসা আছে তবে স্কিজোফ্রেনিয়া প্রতিরোধের কোন উপায় নেই। এই রোগ নিরাময়ে অ্যান্টি সাইকোটিক ঔষধ নিয়মিত সেবন করতে হয়। পাশাপাশি তাদেরকে কাউন্সিলিং, সাইকোথেরাপি দেওয়া হয়। 

লেখক: নিশাত তাসনিম

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+12 টি ভোট
2 টি উত্তর 463 বার দেখা হয়েছে
10 এপ্রিল 2020 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন বিজ্ঞানের পোকা (11,730 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 215 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 88 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 437 বার দেখা হয়েছে

10,727 টি প্রশ্ন

18,372 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

241,565 জন সদস্য

42 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 41 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Ahnaf_Tahmid

    330 পয়েন্ট

  3. Al Moyaj Khondokar

    210 পয়েন্ট

  4. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  5. Hasan rafi

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন গ্রহ তাপমাত্রা রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...