মেহেদির পাতা হাতে নখে নিলে লাল রং হয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+10 টি ভোট
1,947 বার দেখা হয়েছে
"জীববিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (123,360 পয়েন্ট)

6 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
প্রাচীনকাল থেকেই রুপচর্চায় মেহেদী ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাকৃতিক রঞ্জকপদার্থ হিসেবে এর জুড়ি মেলা কঠিন। মেহেদী পাতায় রয়েছে লসোন (Lawsone) নামক রঞ্জক পদার্থ। লসোনের রাসায়নিক সংকেত C10H6O3। লসোনকে Hennotannic Acid নামেও ডাকা হয়। পাতায় এই হেনোট্যানিক এসিড বা লসোনের উপস্থিতির কারণে শরীর রাঙ্গাতে মেহেদী পাতার এত কদর। যদিও এটি এসিডিক, তাও মেহেদী পাতা বেটে নেবার পর এতে এসিড আছে এমন উপাদান যেমন কমলা/লেবুর রস মেশালে পাতা থেকে লসোন অণু গুলো বেশি পরিমানে বেরিয়ে আসে, ফলে ভালো রঙ পাওয়া যায়।

ত্বকে মেহেদী লাগানোর পর সেখান থেকে লসোন অণু ত্বকে প্রবেশ করে। লসোন অণু ত্বকের যে অংশে মেহেদী লাগানো হয় ঠিক সেই অংশের কোষেই সীমাবদ্ধ থাকে, আশেপাশের কোষে ছড়িয়ে পড়েনা। ফলে মেহেদী দিয়ে ইচ্ছামতো ডিজাইন করা যায়। আবার এই অণুগুলো চারপাশের কোষে না ছড়ালেও লম্বালম্বি ত্বকের উপরের স্তর থেকে ক্রমশ গভীরে যেতে থাকে। উপরের দিকের কোষে স্বাভাবিক ভাবেই বেশি লসোন অণু প্রবেশ করে তাই উপরের দিকে ডিজাইনটি বেশি রঙিন দেখায়। অণুগুলো যতটা গভীরে যায় মেহেদীর রংও তত বেশিদিন স্থায়ী হয়। আমাদের ত্বকের কোষগুলো একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মরে যায় ও মৃত কোষ গুলো ঝরে পরে নতুন কোষগুলো ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে। তাই মেহেদীর রংও শুরুতে গাঢ় থাকলেও ধীরেধীরে হাল্কা হয়ে যায়।

ত্বকে মেহেদী যত দীর্ঘ সময় দিয়ে রাখা হয়, লসোন অণুগুলো ততসময় ধরে ত্বকে প্রবেশ করে ও আরো গভীরে যায়। তাই ভালো রঙ পেতে দীর্ঘসময় মেহেদী দিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও পুরু ত্বকে চিকন বা পাতলা ত্বকের তুলনায় কোষস্তর বেশি, ফলে অধিক পরিমাণ কোষে অণুগুলো প্রবেশ করতে পারে ও তুলনামূলক দীর্ঘস্থায়ী রঙ পাওয়া যায়।
0 টি ভোট
করেছেন (141,830 পয়েন্ট)

লসোন (lawsone) নামক এক প্রকার পদার্থের উপস্থিতির জন্যই মেহেদিতে রঙ হয়। মেহেদির পাতাতেই প্রধানত: লসোন থাকে।

image

ভালো নাম: 2-Hydroxy-1,4-naphthoquinone

ডাক নাম: Hennotannic acid, Natural Orange 6, C.I. 75480

0 টি ভোট
করেছেন (15,200 পয়েন্ট)
মেহেদী পাতায় রয়েছে লসোন  (Lawsone) নামক রঞ্জক পদার্থ। লসোনকে Hennotannic Acid নামেও ডাকা হয়। পাতায় এ হেনোট্যানিক এসিড বা লসোনের উপস্থিতির কারণে মেহেদী পাতা থেকে লাল রং হয়। মেহেদী পাতার মন্ডে এসিড আছে এমন কিছু মেশানো হলে লসোন অনুগুলো পাতা থেকে বেশী পরিমাণে বেরিয়ে আসে। সে কারণ, মেহেদী পাতার মন্ডে লেবুর রস, কমলার রস, ভিনেগার বা কোল্ড ড্রিংক মেশানো হলে ত্বকে ভালো রং পাওয়া যায়।
0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)

মেহেদী পাতার মন্ড ত্বকে লাগানো হলে লসোন অনু ত্বকের কোষে প্রবেশ করে। লসোন অনু ত্বকের একটি কোষ থেকে একই স্তরে অবস্থিত তার চারপাশের কোষে ছড়িয়ে পড়ে না। ফলে ত্বকের যে অংশে মেহেদী পাতার মণ্ড লাগানো হয় ঠিক সেখানেই রং হয়

0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)
মেহেদী পাতায় থাকা লসোন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে মেহেদি পাতা নখে দিলে নখ লাল হয়।
0 টি ভোট
করেছেন (160 পয়েন্ট)

এই প্রশ্ন ছোট বেলায় আমারও মাথায় আসত, মাঝে মাঝে বড়দের এই প্রশ্নই করতাম এখন বুঝি-

মেহেদী পাতায় রয়েছে লসোন (Lawsone) নামক রঞ্জক পদার্থ। লসোনের রাসায়নিক সংকেত C10H6O3। লসোনকে Hennotannic Acid নামেও ডাকা হয়। পাতায় এই হেনোট্যানিক এসিড বা লসোনের উপস্থিতির কারণে শরীরে লাল হয়।

আমরা আমাদের সাইটে মেহেদী পাতা সম্পর্কে সকল উত্তর ও নতুন নতুন মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করি। আপনি চাইলে আমাদের সাইটে ভিজিট করতে পারেন। আজকে আমরা শেয়ার করলাম লাভ মেহেদি ডিজাইন এই পোস্টটিতে শেয়ার করা ডিজাইন গুলো দেখতে পারেন যদি আপনি আপনার হাতে মেদেী ডিজাইন করতে চান।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 375 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 498 বার দেখা হয়েছে
19 সেপ্টেম্বর 2022 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Athaher Sayem (1,750 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
1 উত্তর 1,448 বার দেখা হয়েছে
+7 টি ভোট
4 টি উত্তর 293 বার দেখা হয়েছে
14 ডিসেম্বর 2020 "চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,320 পয়েন্ট)
+13 টি ভোট
2 টি উত্তর 511 বার দেখা হয়েছে

10,733 টি প্রশ্ন

18,381 টি উত্তর

4,731 টি মন্তব্য

243,478 জন সদস্য

57 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 55 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. MIS

    300 পয়েন্ট

  2. shuvosheikh

    180 পয়েন্ট

  3. তানভীর রহমান ইমন

    160 পয়েন্ট

  4. Aditto Roy

    110 পয়েন্ট

  5. akramul5556

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি #ask চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ #science পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...