Nishat Tasnim-
প্রতিটা প্রাণীরই নির্দিষ্ট প্রজননকাল আছে। সেই প্রজননকালেই তারা মিলিত হয়। বছরের অন্য সময়ে তারা সাধারণত মিলিত হয়না। এই নির্দিষ্ট মেটিং সিজনে প্রাণীগুলো অনেক অদ্ভুত আচরন করে। খাওয়া দাওয়া কমিয়ে দেয়। এলোমেলোভাবে লাফঝাপ দেয় বা খেলাধুলা করে। গৃহপালিত প্রানীগুলা ঘরের বিভিন্ন জিনিস নিয়ে কামড়াকামড়ি করে। মোট কথা, অনেক বেশি শিশুসুলভ বা অস্বাভাবিক আচরন করে। ক্যাট সোসাইটি অফ বাংলাদেশ বা এই জাতীয় পশুপ্রেমী গ্রুপগুলাতে প্রানীদের এই ধরনের অস্বাভাবিক আচরনের অনেক গল্প পাবেন। এই আচরনকে 'হিট' বলা হয়।
উপযুক্ত সঙ্গী পেলে, তাদের সাথে মিলনের সুযোগ পেলে পশুদের এই হিট স্বাভাবিক হয়ে যায়। উপযুক্ত সঙ্গী না পাওয়া গেলে অনেকে সাজেস্ট করেন, পশুগুলোকে নিউটার (প্রজনন ক্ষমতাহীন) করে দিতে। এর ফলে তাদের আর হিট উঠবে না। ভাদ্র-আশ্বিন মাস হচ্ছে কুকুরের মেটিং সিজন। এই সময়ে তারা হিট এ থাকবে -- এটাই স্বাভাবিক।
আবার, কুকুরের জলাতঙ্ক রোগ হলে তখন সে পাগল হয়ে যায়। জলাতঙ্ক রোগর জীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়ায় বা অন্য কোনো জন্তুর দেহে থাকে। আর সেখান থেকে কুকুরের দেহে কোথাও কেটেকুটে গেলে সেখান দিয়ে ঢুকে পড়ে। চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এর জীবাণু কাজ আরম্ভ করলে পর কুকুর ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়তে থাকে, জ¦র দেখা দেয়, খিদে মরে যায়। জীবাণু মস্তিষ্কে আক্রমণ করার পর কুকুর বিশ্রী রকম উত্তেজিত হতে থাকে, ঘোঁৎ ঘোঁৎ করে, মুখ দিয়ে খালি লালা ঝরে। ঠিক এই সময়টাতেই কুকুর কামড়ানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে ওঠে। আর তখনই তার নাম দেয়া হয় পাগলা কুকুর। এই রকম সব লক্ষণ দেখা দেয়ার পর তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে কুকুরটা মারা যায়।
©জহিরুল ইসলাম ও ডেইলিহান্ট