মানুষের শরীর ঘামে কেনো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
531 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (25,790 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (25,790 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim
ঘামের বেশিরভাগ অংশই হচ্ছে পানি। তবে এতে ইউরিয়া ও অ্যামোনিয়াও থাকে যা আমাদের খাবারের প্রোটিন থেকে তৈরি হয়। এছাড়া এতে অল্প পরিমাণে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার, আয়রন, নিকেল ও সীসা পাওয়া যায়। এসব রাসায়নিক পদার্থ ঘামের সাথে বিভিন্ন ধরনের লবণ তৈরি করে থাকে।
ঘাম হওয়ার কারণঃ-
ঘাম হয় আমাদের শরীরকে ঠাণ্ডা করার জন্য। যখন আমরা কোন গরম তাপমাত্রার স্থানে থাকি কিংবা কায়িক পরিশ্রমের কারণে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন আমাদের গা বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে। এ ঘামে যে পানি থাকে তা বাতাসে বষ্পীভূত হয়ে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। আর তার ফলে আমরা ঠাণ্ডা অনুভব করি। যেহেতু ঘাম থেকে পানি উড়ে যায় সেহেতু এরপর আমাদের ত্বকে ঘামে থাকা বিভিন্ন লবণ পড়ে থাকে। এসব লবণের কারণেই ঘামের স্বাদ লবণাক্ত হয়। এছাড়া অনেক সময় দুশ্চিন্তা, চাপ ইত্যাদি কারণেও ঘাম হতে পারে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দেহ থেকে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২-৪ লিটার ঘাম নির্গত হতে পারে (দিনে ১০-১৪ লিটার)।
ঘাম যেখান থেকে তৈরি হয়ঃ-
ঘাম আমাদের ঘাম গ্রন্থি থেকে তৈরি হয়। আমাদের দেহে দুই ধরনের ঘামগ্রন্থি আছে। একটি হল একক্রাইন (eccrine) ঘামগ্রন্থি ও অপরটি হল অ্যাপেক্রাইন (apocrine) ঘামগ্রন্থি। একক্রাইন এর সংখ্যা অসংখ্য এবং এরা আমাদের সারা শরীর জুড়ে বিস্তৃত। আমাদের মস্তিষ্কে হাইপোথ্যালামাস (hypothalamus) নামে একটি অংশ আছে যেটি আমাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চালনের কাজ দেখাশোনা করে। যখন আমাদের দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায় তখন এই হাইপোথ্যালামাস একক্রাইন ঘামগ্রন্থিকে সংকেত পাঠায় এবং এর ফলে আমাদের ঘাম নির্গত হয়।
অ্যাপেক্রাইন ঘামগ্রন্থি আমাদের সারা শরীরে থাকে না। এরা আমাদের বগলে ও কুঁচকিতে থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধি ছাড়াও আমাদের মানসিক চাপ, তীব্র অনুভূতির কারণে এ গ্রন্থি থেকে ঘাম বের হয়। এ ঘাম অনেকটা তৈলাক্ত থাকে এবং এতে প্রোটিন ও লিপিড থাকে যা আমাদের ত্বকে থাকা বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া গ্রহণ করে। আর এই ব্যাকটেরিয়াই এক ধরণের গন্ধ তৈরি করে। যার জন্য আমরা ঘামের গন্ধ পাই। এই গ্রন্থি বয়ঃসন্ধিকালের পর কাজ শুরু করে। আবার বৃদ্ধদের শরীরেও এদের কাজ থেমে যায়। অর্থাৎ শিশু ও বৃদ্ধদের ঘামে গন্ধ নেই।
0 টি ভোট
করেছেন (43,970 পয়েন্ট)
এমনিতে বেশি ঘামার প্রবণতা, যার তেমন কোনো কারণ নেই, কিছুটা বংশগত—তাকে বলে প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস। কিন্তু কিছু কিছু সমস্যার কারণে শরীর তুলনামূলক বেশি ঘামে। শারীরিক পরিশ্রমের পর বা জ্বর হলে স্বাভাবিক ঘাম হবে। টেনশন বা মানসিক চাপেও মানুষ ঘামতে শুরু করে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+7 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,846 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 271 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 287 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 286 বার দেখা হয়েছে
26 এপ্রিল 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Abdullah Al Fuad (2,990 পয়েন্ট)

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

243,180 জন সদস্য

34 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 33 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. FrancisBloom

    100 পয়েন্ট

  4. MatildaMcCoi

    100 পয়েন্ট

  5. ELRTory42685

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...