কিছু মানুষ ঘুমের মধ্যে হাটাহাটি করে। তাদের এরুপ আচোরনের বিজ্ঞানসম্মত কারণ কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
410 বার দেখা হয়েছে
"তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে করেছেন (9,280 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)
সিনেমাতে ঘুমের মধ্যে হাঁটার দৃশ্য দেখে অনেকেই হয়তো হেসে গড়াগড়ি খেয়েছেন। বাস্তব জীবনেও কিন্তু এমন ঘটে। বলতে দ্বিধা নেই, এটি একটি সমস্যাই বটে! এই ঘটনা যাদের বেলায় ঘটে তারা তো বটেই পরিবারের অন্যরাও এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি সমস্যা।

 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ঘুমের মধ্যে হাঁটাকে বলা হয় ‘সোমনমবুলিজম’ বা ‘নকচামবুলিজম’। আসলে এটা এক ধরনের প্যারাসোমনিয়া। যা ঘুমের মধ্যে জাগ্রত ব্যক্তির ন্যায় বিভিন্ন কর্মকা- করার মাধ্যমে প্রকাশ পায়। ঘুমের মধ্যে হাঁটার বিষয়টি কিন্তু রাতের প্রথমভাগেই হয়। দিনের বেলা দীর্ঘ সময় ধরে ঘুমালেও এমন ঘটতে পারে।

এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা পর পর কয়েক রাত এমন কী এক রাতে কয়েকবার এই সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। এর সবচেয়ে ক্ষতিকর দিকটি হল, তখন তারা এ বিষয়ে একেবারেই অচেতন থাকেন এবং এটি মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। ঘুমের মধ্যে চলাফেরা করার প্রবণতা বাচ্চাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। কিশোর বয়সেও অনেকের মধ্যে এটি লক্ষ্য করা যায়। তবে পূর্ণ বয়স্কদের মধ্যে এর ঝুঁকি সবচেয়ে কম।

 

 

শিশুরা সাধারণত ঘুমের মধ্যে হেঁটে আলোকোজ্জ্বল জায়গায় কিংবা তাদের বাবা-মায়ের কক্ষের দিকে যায়। কিন্তু কিশোর এবং কিছু কিছু পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে নানাবিধ কাজ করে থাকে। যেগুলো মাঝে মাঝে অদ্ভুত ও বেশিরভাগ সময়ই মারাত্মক ধরনের হয়। যেমন ঘুম থেকে হঠাৎ উঠে হেঁটে কোনো দিকে চলে যাওয়া। বা এমন কোনো অস্বাভাবিক কাজ শুরু করা যা সাধারণত রাতে করা হয় না। পাশের জনের সঙ্গে কথা বলতে থাকা, ঘরের জিনিসপত্র নাড়া-চাড়া করা, ঘুম থেকে উঠে খাওয়া-দাওয়া করা, এমন কী গাড়ি চালানো পর্যন্ত!

 

এমন অবস্থায় তাদের জাগানো অনেক কষ্টের কাজ। যে তাদের জাগাতে যায়, তার অনেক  সময় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে মমতা দিয়ে তাদের অচৈতন্য অবস্থা থেকে জাগাতে হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান ঘুমের মধ্যে হাঁটার বেশ কিছু কারণ আবিষ্কার করেছে। যেমন-

বংশগত কারণে এটি হতে পারে। যদি বাবা-মা কারো মধ্যে এই অভ্যাস থাকে তাহলে  সন্তানদেরও এটা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।শরীরে থাইরয়েড হরমোনের আধিক্য হলে। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে।স্ট্রোক করলে।মস্তিষ্ক প্রদাহজনিত রোগে আক্রান্ত হলে। মাথায় বড় আঘাত পেলে।ওএসএ (Obstructive Sleep Apnea) নামক চোখের রোগে ভুগলে।অতিরিক্ত মানসিক চাপ কিংবা শারীরিক ক্লন্তি থাকলে।ভ্রমণের ক্লান্তির জন্যও অনেক সময় হয়ে থাকে।মাদকের প্রতি খুব বেশি আসক্ত থাকলে।শব্দ বা আলোর জন্য যদি কারো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অপরিচিত পরিবেশে ঘুমালে।বাচ্চাদের অতিরিক্ত জ্বর হলে।ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায়ও এমন হতে পারে।

 

এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। সতর্ক থাকার ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় মেনে চললে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে। যেমন-
ঘরের দরজা-জানালা ভালো করে বন্ধ রাখতে হবে। যাতে খুলে বেরিয়ে যেতে না পারে।ঘরে কোনো ধারালো ছুরি, ভাঙা কাচের টুকরা কিংবা ধারালো কিছু রাখা যাবে না।আগুন জ্বালানোর কোনো কিছু রাখা যাবে না।ঘুমের মধ্যে হাঁটতে গিয়ে ধাক্কা লাগতে পারে এমন কিছু ঘরে রাখা যাবে না।ঘুমের মধ্যে যাদের হাঁটার অভ্যাস রয়েছে তাদের বিছানা একটু নিচু বানাতে হবে। যাতে হাঁটতে গিয়ে পড়ে গেলে ব্যথা না পায়।আক্রান্তরা যেন নিয়মিত ঘুমাতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুমিয়ে গেলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে কিংবা ঘুম ভেঙে যায় এমন শব্দ বা কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে হবে। হঠাৎ ঘুমের মধ্যে হাঁটা শুরু করলে তাকে আস্তে আস্তে বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে। জোর জবরদস্তি করা যাবে না। অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

লেখাঃ শামিমা নাসরিন রিপা
0 টি ভোট
করেছেন (9,190 পয়েন্ট)
ডাক্তারী বিজ্ঞান মতে এর নাম “স্লিপ এপনিয়া”।

এই রোগে অবশ্য আমাদের শরীরের কোনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ওপর খুব একটা খারাপ প্রভাব পড়েনা। এটি মূলত মানুষের সাবকন্সিয়াস মাইন্ড এর কারণে হয়ে থাকে, যা তাকে বাস্তবিক দুনিয়া থেকে বের করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও, আরও কিছু কারণ আছে। উল্লেখ্য, আমাদের প্রত্যেকের মস্তিস্কে ঘুম বা হাঁটার মত কাজকে নিয়ন্ত্রণ করবার জন্য একটি কেন্দ্র আছে। রক্তের ক্যালসিয়াম দ্বারা এই কেন্দ্রটি নিয়ন্ত্রিত হয়। দিনের বেলায় যখন আমরা জেগে থাকি এবং আমাদের শরীরের অধিকাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করে থাকে, তখন শরীরে উৎপন্ন ল্যাকটিক এসিড, ক্যালসিয়াম রক্তের সাথে মিশে যায়। আর রক্ত যখন কালসিয়ামকে মস্তিস্কে অবস্থিত ঘুমকেন্দ্রে নিয়ে যায় তখন তা সক্রিয় হয়ে ওঠে ও আমাদের ঘুম আসে। শরীরে ঘুমকেন্দ্রের দুটি কাজ; প্রথমত ঘুমকেন্দ্র মস্তিষ্কের একাংশকে আটকে রাখে ফলে আমাদের কোন কাজ করতে ইচ্ছা হয় না, দ্বিতীয়ত মস্তিষ্কের কিছু কিছু স্নায়ুকে আটকে রাখে।

কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে স্নায়ুতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ না করায় মস্তিষ্ক ঘুমিয়ে পড়লেও শরীর জেগে থাকে। এই ক্ষেত্রে স্নায়ুতন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ না করলে মানুষের মস্তিষ্ক থাকে ঘুমন্ত অবস্থায় আর শরীর থাকে জাগ্রত অবস্থায়। সুতরাং বলা যায়, মস্তিষ্ক ও শরীরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবে মানুষ ঘুমের ঘোরে হাঁটে।

ক্রেডিটঃ অতনুউ চক্রবর্তী

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
3 টি উত্তর 646 বার দেখা হয়েছে
+4 টি ভোট
4 টি উত্তর 3,319 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 281 বার দেখা হয়েছে
15 এপ্রিল 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,820 পয়েন্ট)
+38 টি ভোট
4 টি উত্তর 7,881 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,688 জন সদস্য

47 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 45 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. akramul5556

    110 পয়েন্ট

  2. amir

    110 পয়েন্ট

  3. EliTarver48

    100 পয়েন্ট

  4. FLXLucinda34

    100 পয়েন্ট

  5. AdrieneMerri

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...