আমরা পৃথিবীর আবর্জনা গুলো মহাকাশে পাঠাচ্ছি না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
676 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (260 পয়েন্ট)
মহাকাশে তো বিপুল পরিমাণ জায়গা রয়েছে। সেহেতু যে সকল অব্যবহারযোগ্য আবর্জনা এবং পলি জাতীয় যেই পদার্থ আছে যেগুলা আমাদের পৃথিবীর মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনছে সেগুলো আমরা মহাকাশে একটা নির্দিষ্ট বেগ দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি না কেন? এতে নিউটনের ১ম সুত্র অনুযায়ী আবর্জনা গুলা সারাজীবন ওভাবেই যেতে থাকবে এবং পৃথিবীর আশেপাশেও আর থাকবেনা এক সময়। তো এটা করা হচ্ছে না কেন?

3 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (160 পয়েন্ট)
আমাদের বর্জ্য মহাশূন্যে পৃথিবীতে থেকে ছুড়ে ফেললে অবশ্যই সেটা মহাশূন্যে পৌঁছাবে না। মানলাম আমরা কোনো রকেট বা মহাকাশ যান দিয়ে বর্জ্য পদার্থ মহাশূন্যে ফেলে দিলাম।

তখন এসব বর্জ্য কৃত্রিম উপগ্রহের কক্ষপথে অবস্থান করলে এসবের সাথে যদি আমাদের পাঠানো কৃত্রিম উপগ্রহের ধাক্কা লাগে তখন বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটবে।তাছাড়াও মহাকাশ যান যখন অন্য গ্রহে পাঠানো হয় তখনও বর্জ্যের সাথে ধাক্কা লাগায় স্বাভাবিক। এতে আমদের অনেক অনেক ক্ষতি হবে। আমাদের গবেষণা ব্যাহত হবে।

২০০৭ সালে একটি মহাকাশ যানে এমনই এক বর্জ্যের আঘাত।

মহাকাশে বর্তমানে আবর্জনার পরিমাণ প্রায় সাত হাজার টন।আশঙ্কা হচ্ছে, বর্তমান হারে যদি মহাকাশ দূষণ চলতেই থাকে তাহলে তার বড়ো রকমের ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে আমাদের এই পৃথিবীর ওপরেও।
করেছেন (260 পয়েন্ট)
আমি শুধু ফেলে দেয়ার কথা বলিনি, আমি বোঝাতে চেয়েছি পরিমাপ করে নির্দিষ্ট একটি বেগ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি বেগ দিয়ে পাঠিয়ে যাতে আমাদের আশে পাশে তা না থাকে। অর্থাৎ কোনো কক্ষপথে আবর্তিত হয় এভাবে পাঠানোর কথা বলিনি। এতো বিশাল স্পেসে এমন পরিমাপ করে পাঠানো অসম্ভব? যাতে করে এই স্যাটেলাইট গুলোর সাথে ধাক্কা না লেগে তা অতিক্রম করে চলে যায়?

 

আর যদি তা নাই সম্ভব হয় তাহলে এটা কিভাবে করা যায় সেটারই গবেষণা করা উচিত নয়? যেভাবে পৃথিবীর এই ছোট পরিসরে আবর্জনা বাড়ছে তাতে অচিরেই কি ঘটতে পারে তা বিজ্ঞানীরা অবশ্যই অবগত আছেন তাইনা?
করেছেন (140 পয়েন্ট)
প্রথমত, তো ওতো দূরে আবর্জনা নিয়ে যাওয়া সম্ভব নাহ কারণ সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্যে কোনো ব্যবস্থা নেই। দ্বিতীয়ত, বাতাসের চাপের কারণে সেখানে কোনো কিছু টিকবে না। তৃতীয়ত, ৯৬০ কিমি এর উপরে আবর্জনা গুলো কে রাখাও সম্ভব নাহ কারণ এর কিছুদূর পর চন্দ্র অথবা অন্য কোনো গ্রহের আকর্ষণ বল কাজ করে
করেছেন (260 পয়েন্ট)
বুঝলাম ব্যবস্থা নেই, কিন্তু এই বিষয়ে গবেষণা করা উচিত নয় কি? আমরা মংগল গ্রহে চলে যেতে পারলে আবর্জনা কেন নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর অন্য গ্রহে আকর্ষণ করলে কোনো ক্ষতি হবে? ওই গ্রহে আছড়ে পড়লে আমাদের কোনো সমস্যা হবে?
+2 টি ভোট
করেছেন (350 পয়েন্ট)
অনেকেই মনে করেন মহাকাশে বর্জ্য নিষ্কাশনে হয়তো কোন সমস্যার সৃষ্ট হবে না।কিন্তু ধারণাটি মোটেও সঠিক নয়।মহাকাশে বর্জ্য ফেলার পরিণতি অত্যান্ত ভয়াবহ।মহাকাশে ইতিমধ্যেই অনেক বর্জ্যের সৃষ্টি হয়েছে।এখানেও আবর্জনা তৈরীর মূল কারণ মানুষ।প্রতিবারই মহাকাশে যখন কোন যান পাঠানো হয়েছে বা স্যাটেলাইট স্থাপন করা হয়েছে তখনই সেটা সেখানে রেখে এসেছে কিছু বর্জ্য। সেই স্তূপ ক্রমশই বড় হচ্ছে।বিভিন্ন দেশ এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২০০ স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। এর মাত্র ১৫০০টির মত বর্তমানে কার্যক্ষম। বাকি ২৭০০ এর মত স্যাটেলাইট অকেজো হয়ে গেছে। অকেজো হয়ে এগুলো মহাকশেই রয়ে গেছে। ফিরিয়ে আনার কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফিরিয়ে আনা অনেক জটিল ব্যাপারও বটে। ফিরিয়ে আনা হবে নাকি মহাকাশে কোনভাবে ধ্বংস করে দেয়া সম্ভব সেটাও নিশ্চিত নয়। এই বিপুল সংখ্যক অকেজো স্যাটেলাইট মহাকাশে ঝুঁকি বাড়িয়েছে। স্যাটেলাইট বিস্ফোরিত হয়ে ছোট ছোট টুকরা হয়ে ছড়িয়ে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে।

 

অনেক স্যাটেলাইটই এখন আবর্জনা! বিস্ফোরিত হয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে ছোট ছোট টুকরা,এই ২৭০০ অকেজো স্যাটেলাইট এর ভর ২০ লাখ কেজিরও বেশি!

বিজ্ঞানীর বলছেন, এসব বর্জ্য ভবিষ্যতের যেকোন অভিযানের জন্যেও হুমকি হয়ে উঠেছে।

ব্রিটেনে সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ড. হিউ লুইস বলেছেন, এসব বর্জ্য বহু জিনিস থেকেই তৈরি হয়েছে। সেখানে চালানো যেকোন মিশন বা সেখানে পাঠানো যেকোন মহাকাশ যান শেষ পর্যন্ত বর্জ্যে পরিণত হতে পারে।"অনেকেই মনে করছেন, এই মহাকাশের আবর্জনা ধারণ করার জন্যে যতো ক্ষমতা আছে ইতোমধ্যেই সেই সীমা পার হয়ে গেছে। এর ফলে ভবিষ্যতে অনেক সংঘর্ষ হতে পারে।" বলেন তিনি। অর্থাৎ,আবর্জনা  মহাকাশের অভিযানের ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা করেন বিজ্ঞানীগণ। একারণেই পৃথিবীতে উৎপন্ন অতিরিক্ত বর্জ্য মহাকাশে পাঠানো সম্ভব নয়।
করেছেন (260 পয়েন্ট)
আমি শুধু ফেলে দেয়ার কথা বলিনি, আমি বোঝাতে চেয়েছি পরিমাপ করে নির্দিষ্ট একটি বেগ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি বেগ দিয়ে পাঠিয়ে যাতে আমাদের আশে পাশে তা না থাকে। অর্থাৎ কোনো কক্ষপথে আবর্তিত হয় এভাবে পাঠানোর কথা বলিনি। এতো বিশাল স্পেসে এমন পরিমাপ করে পাঠানো অসম্ভব? যাতে করে এই স্যাটেলাইট গুলোর সাথে ধাক্কা না লেগে তা অতিক্রম করে চলে যায়?

 

আর যদি তা নাই সম্ভব হয় তাহলে এটা কিভাবে করা যায় সেটারই গবেষণা করা উচিত নয়?
করেছেন (350 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন
শুধুমাত্র স্যাটেলাইট ই না বিজ্ঞানীদের মতে,  “এসব বর্জ্য ভবিষ্যতের যেকোনো অভিযানের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।” যা আমার পূর্বের তথ্যে উল্লেখ আছে। হয়তো বা স্যাটেলাইটের সাথে ধাক্কা না লেগে অতিক্রম করা সম্ভব। কিন্তু বর্জ্য পদার্থগুলো মহাকাশে দূষণের সৃষ্টি করবে। সেটা মহাকাশ অভিযানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
0 টি ভোট
করেছেন (820 পয়েন্ট)

খরচঃ

মহাকাশে কোন বস্তু রকেটে পাঠাতে প্রতি পাউন্ড এ খরচ হয় ১০ হাজার ডলার বা ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। তাহলে মাহাকাশে এক কেজি ময়লা/প্লাস্টিক পাঠাতে খরচ হবে ১৮ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা।

তারপরেও যদি ধরে নেই যে সব দেশ রাজি হয়ে যায়ঃ

আমাদের পাঠানো সকল ময়লা/প্লাস্টিকগুলো পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরতে থাকবে ঘণ্টায় ২৮,২০০ কিলোমিটার গতিতে। যা কোন স্যাটালাইট কিংবা স্পেস ক্রাফট কে নষ্ট করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এগুলোকে বলা হয় স্পেস জাঙ্ক বা স্পেস ডিবরি। নাসার মতে বর্তমানে ৫০,০০০০ মানব সৃষ্ট স্পেস জাঙ্ক পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে (যা সৃষ্টি হয়েছে স্যাটালাইট এবং স্পেস ক্রাফটের ধ্বংসাবশেষ থেকে)। বর্তমানে বিজ্ঞানীরা স্পেস জাঙ্ক নিয়ে খুবি আতঙ্কিত, কারণ দিন দিন যদি এভাবে মহাকাশে স্পেস জাঙ্ক বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ মহাকাশ যাত্রা হুমকির মুখে পরবে।

করেছেন (260 পয়েন্ট)
আমি শুধু ফেলে দেয়ার কথা বলিনি, আমি বোঝাতে চেয়েছি পরিমাপ করে নির্দিষ্ট একটি বেগ দিয়ে নির্দিষ্ট একটি বেগ দিয়ে পাঠিয়ে যাতে আমাদের আশে পাশে তা না থাকে। অর্থাৎ কোনো কক্ষপথে আবর্তিত হয় এভাবে পাঠানোর কথা বলিনি। এতো বিশাল স্পেসে এমন পরিমাপ করে পাঠানো অসম্ভব? যাতে করে এই স্যাটেলাইট গুলোর সাথে ধাক্কা না লেগে তা অতিক্রম করে চলে যায়?

 

আর যদি তা নাই সম্ভব হয় তাহলে এটা কিভাবে করা যায় সেটারই গবেষণা আগে করা উচিত নয়? যেভাবে পৃথিবীর এই ছোট পরিসরে আবর্জনা বাড়ছে তাতে অচিরেই কি ঘটতে পারে তা বিজ্ঞানীরা অবশ্যই অবগত আছেন তাইনা? মহাকাশ যাত্রার আগে তো দরকার পৃথিবীটাকে বাচানো।
করেছেন (820 পয়েন্ট)
সেটাও হয়তো পসিবল কিন্তু সেটা কত দূরে ফেলতে হবে সেটা একবার চিন্তা করুন, পৃথিবীর আকর্ষণ বলের বাহিরে ফেলতে হবে, অর্থাৎ, চাঁদের কক্ষপথের থেকেও বেশি দূরত্বে। হয়তো সেটাও পসিবল কিন্তু সেগুলোর জন্যে প্রচুর খরচ হবে, যেটা আমি প্রথমেই উল্লেখ করেছি।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 133 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 276 বার দেখা হয়েছে
07 মে 2022 "পরিবেশ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Athaher Sayem (1,750 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
1 উত্তর 615 বার দেখা হয়েছে

10,720 টি প্রশ্ন

18,361 টি উত্তর

4,729 টি মন্তব্য

239,991 জন সদস্য

50 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 50 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Ayon Ratan Agni

    390 পয়েন্ট

  2. Vuter Baccha

    150 পয়েন্ট

  3. almoyaj_k

    130 পয়েন্ট

  4. Mehedi_Bknowledge

    110 পয়েন্ট

  5. Monojit Das

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি প্রাণী স্বাস্থ্য বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া শীতকাল গরম কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ মস্তিষ্ক শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস গ্রহ স্বপ্ন রসায়ন তাপমাত্রা উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা পাখি গ্যাস মন সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম বিড়াল কান্না নাক
...