মানসিক সমস্যা হওয়ার কারণ কি? এবং কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
512 বার দেখা হয়েছে
"মনোবিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (3,150 পয়েন্ট)

5 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (6,040 পয়েন্ট)
আমাদের সমাজে মানসিক রোগের কারণ নিয়ে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা যদি সহজভাবে বলি, মানসিক রোগের সঠিক কারণ এখনো পুরোপুরিভাবে জানা যায়নি।

 

গবেষকরা বলেন যে, তিনটি বিষয় মানসিক রোগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

 

 

১.বংশগত

 

২.মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন

 

৩.পরিবেশ এবং সামাজিক প্রভাব।

 

ব্রেইন ইমাজিং এবং টমোগ্রাফি পরীক্ষা করে রাসায়নিক পরিবর্তনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর উপর ভিত্তি করেই মানসিক রোগের মেডিসিন প্রয়োগ করা হয়।

 

১৯৫০ সালে প্রথম প্রজন্মের মেডিসিন আবিষ্কার মানসিক রোগ চিকিৎসায় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্ত পুরনো মেডিসিনগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি কষ্টদায়ক হওয়ায় ১৯৯০ সালের দিকে দ্বিতীয় প্রজন্মের মেডিসিনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। রোগীরাও স্বাভাবিক জীবন যাপনে সাবলিলতা ফিরে পাচ্ছে।

 

অতি সাম্প্রতিক সময়ে জিন থেরাপি বিবেচনা করা হচ্ছে। বংশগতির বাহন হলো এই জিন। যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

 

মেডিসিনের পাশাপাশি সাইকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট যেমন কাউন্সিলিং,সাইকোথেরাপি, বিহেভিয়ার থেরাপি নিলে রোগের জটিলতা কমে আসে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের রিলাক্সেশন থেরাপি যেমন ব্রেথিং এক্সারসাইজ, প্রগ্রেসিভ মাসকুলার রিলাক্সেশন, ইয়োগা, মেডিটেশন, নিয়মিত এক্সারসাইজ, পুস্টিকর খাদ্য গ্রহণ রোগীদের অনেকাংশে সুস্থ্য রাখে।

 

শুধুমাত্র আমাদের বাংলাদেশেই না অনেক উন্নত দেশেও মানসিক রোগীরা অবহেলিত। এই রোগের কারণ হিসেবে বলা হয় জ্বিন, ভূত, ডাইনির আছড়, যাদুটোনা, পাপের ফল, আর কত অদ্ভুত সব কেচ্ছা কাহিনী। এতে করে রোগীর ভোগান্তি বাড়ে আর রোগটিও জটিলতর হয়ে ওঠে। অবশেষে রোগীর স্বজনরাও হতাশায় ভুগতে থাকে। দিশেহারা সর্বশান্ত হয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন।

 

তবে আশার কথা এখন মানুষ অনেক সচেতন হয়েছে। মন খারাপ হলেও কাউন্সেলিংয়ের জন্যে প্রফেশনালদের কাছে আসতে শুরু করেছে।

 

আমি মনে করি, যদি আমরা আর একটু নিজেদের প্রতি সচেতন হই, পরিবারের প্রতি নজর দেই আর শিশুদেরকে নিরাপদ, নিয়মতান্ত্রিক, স্নেহময়, স্বাবলম্বী, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দিতে পারি তাহলেই মানসিক রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

 

লেখক: ডা. মো. জোবায়ের মিয়া

সোর্স যুগান্তর
0 টি ভোট
করেছেন (10,050 পয়েন্ট)
ব্যাক্তিত্বের দুর্বলতার কারণে মানসিক রোগ হয় না ।বরং অনেক ধরনের জৈবিক ও রাসায়নিক উপাদান মানসিক রোগের জন্য দায়ী ।যেমন জিনগত উপাদান,শারীরিক অসুস্থতা,আঘাতজনিত কারণ,মানসিক আঘাত,মানসিক নির্যাতন ইত্যাদি ।
0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)

মানসিক সমস্যা নিয়ে অধিকাংশ মানুষের প্রাথমিক ধারণা হলো “এটি দুর্লভ” এবং “এটি হলে অন্য কারো হবে”। মূলত ব্যাপারটা উল্টো। মাথা থাকলে যেমন মাথাব্যথা হবেই, তেমনি মন থাকলে মানসিক সমস্যাও হবেই। এক সমীক্ষায় বলে, আমেরিকায় প্রায় ৫৪ মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন প্রকার মানসিক সমস্যায় ভুগছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের দেশেও দিনকে দিন মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু যে হারে বাড়ছে মানসিক রোগী, সে হারে নেই সচেতনতা। কাউকে মানসিক সাহায্য নিতে বললে প্রথমেই যে প্রতিবাদটি আসে তা হলো, “আমি কি পাগল?” এই কথাটি একই সাথে মানসিক রোগ বিষয়ে অজ্ঞতা ও অসহনশীলতার পরিচায়ক।

মানসিক অসুস্থতার মানেই ‘পাগলামি’ না। আমাদের চারপাশে এমন অগণিত মানসিক রোগী ঘুরে বেড়াচ্ছে যারা বাইরে যথেষ্ট সুস্থ, স্বাভাবিক, যারা আপনার সাথে এক টেবিলে বসে চা পান করবে, রাজনীতি বা সমাজব্যবস্থা নিয়ে সুগভীর আলোচনা করবে, আপনি ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না তার ভেতরের অস্থিরতার। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে অকস্মাৎ এদের অসুস্থ সত্ত্বাটি বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় অসুস্থতার শিকার এই ব্যক্তিরা পারস্পরিক ব্যক্তিগত ও সামাজিক সম্পর্কগুলো নষ্টের পেছনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এতে তাদের দোষ দেয়া যায় না। তারা নেহাৎ অসুস্থ, শারীরিক অসুস্থদের মতো তাদেরও প্রয়োজন স্বাস্থ্যগত সাহায্য।

বিজ্ঞানীরা প্রায় ২০০ রকমেরও বেশি মানসিক অসুস্থতা শ্রেণিবদ্ধ করেছেন। বিভিন্ন মানসিক রোগের পেছনে মূল কারণ থাকে পরিস্থিতিগত চাপ, জেনেটিক ফ্যাক্টর, জৈব রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্যহীনতা অথবা এর সবগুলোই। খুব সাধারণ ও পরিচিত কিছু মানসিক সমস্যার মধ্যে রয়েছে উদ্বিগ্নতা, বিষণ্ণতা, ডিমেনশিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার, স্কিৎজোফ্রেনিয়া ইত্যাদি। এসবের লক্ষণ হিসেবে মেজাজ, ব্যক্তিত্ব, অভ্যাস ও সামাজিক ব্যবহারের পরিবর্তন বা তারতম্য। যেকোনো মানসিক সমস্যার মোকাবেলা করতে হলে আগে দরকার সমস্যার স্বীকৃতি দেয়া। তারও আগে প্রয়োজন সমস্যার লক্ষণগুলো চিহ্নিত করা। বলা হয়, “মনে আঘাত লাগলে শরীরও কাঁদে”। যখন মনে কোনো অস্থির অবস্থার উৎপত্তি হয়, তখন তার বিভিন্ন শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। এই ৯টি শারীরিক লক্ষণই করবে আপনার মানসিক অসুস্থতার বহিঃপ্রকাশ।

0 টি ভোট
করেছেন (16,190 পয়েন্ট)
জিনগতভাবে অথবা মানসিক বা শারিরীক আঘাতের কারণে মানসিক রোগ হয়ে থাকে I
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
১.বংশগত

২.মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন

৩.পরিবেশ এবং সামাজিক প্রভাব।

এই ৩ টি কারনেই মুলত মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 296 বার দেখা হয়েছে
24 অগাস্ট 2022 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন IamJabir (140 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,449 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,592 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 732 বার দেখা হয়েছে

10,729 টি প্রশ্ন

18,374 টি উত্তর

4,730 টি মন্তব্য

242,048 জন সদস্য

67 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 66 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. amir

    110 পয়েন্ট

  2. Raleigh97597

    100 পয়েন্ট

  3. ElizbethChar

    100 পয়েন্ট

  4. IrisStilling

    100 পয়েন্ট

  5. CarrolCormie

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী চোখ রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #ask চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য প্রাণী বৈজ্ঞানিক মাথা গণিত মহাকাশ পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি #science বিজ্ঞান #biology খাওয়া গরম শীতকাল কেন #জানতে ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক শব্দ ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো কি বিস্তারিত রঙ পা মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত আম হরমোন বিড়াল কান্না
...