অ্যান্টিবায়োটিক খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
248 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (180 পয়েন্ট)
সাধারণ ঠাণ্ডা-জ্বর দুএকদিনেই সেরে যায়। এজন্য অ্যান্টিবায়োটিকের দরকার পড়ে না। তবে চাইলেই হাতের কাছে ওষুধ পাওয়া যায় বলে আমরা সবাই কমবেশি চকলেটের মতো ওষুধ খেতে শুরু করি।

 

অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজনের চাইতে বেশি সময় সেবন করলে তা সংক্রমণ সারানোর বদলে আরও গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।

 

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রয়োজন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণের কুফলগুলো এখানে দেওয়া হল।

 

ভাইরাস নয়, প্রধানত ব্যাকটেরিয়াজনীত রোগ ও সংক্রমণ সারাতে অ্যান্টি-বায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে অনেকেই সামান্য ঠাণ্ডা-জ্বরে পড়লেই টপাটপ অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করেন।

 

ঠাণ্ডা-জ্বর ভাইরাসজনীত রোগ, যার উপর অ্যান্টি-বায়োটিকের কোনো উপকারী প্রভাব নেই। বরং ক্ষতিকর প্রভাব থাকতে পারে।

 

বর্তমান সময়ে এবিষয়ে সচেতন হয়ে সামান্য রোগ সারাতে ঘরোয়া উপায় বেছে নিচ্ছেন কিছু মানুষ। তবে ওষুধের ভুল ব্যবহারের মাত্রা এখনও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেশি।

 

পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি আরও ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাপার হল অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োজন ছাড়া সেবন করলে অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।

 

নিয়মিত এধরনের ওষুধ সেবনের কারণে শরীরে তৈরি হয় এই ওষুধের প্রভাব নিয়ামক উপাদান। ফলে ভবিষ্যতে মারাত্বক কোনো রোগের চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলেও তা কোনো কাজে আসবে না।

 

একটি গবেষণায় দেখা গেছে, অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকেও প্রভাবিত করে অ্যান্টিবায়োটিক। রোগ প্রতিরোধক কোষ ধ্বংসের মাধ্যমে রোগাক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।  

 

শরীরে যে পরিমাণ শ্বেত রক্তকণিকা থাকে তা রোগ প্রতিরোধ এবং সংক্রমন তাড়াতে যথেষ্ট। অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পাশাপাশি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস হয়, যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

 

গবেষণা বলে, ওষুধের প্রতি নিয়মিত নির্ভরশীলতার কারণে শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে।

 

তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন না করাই সবচাইতে ভালো। আর রোগী অপ্রয়োজনীয় ওষুধ সেবন করছেন কিনা এবং করলে তার কারণে কোনো ক্ষতি হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও চিকিৎসকদের সচেতন হতে হবে।  

 

আবার অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স পুরোপুরি শেষ করাও যে জরুরি সেটা মাথায় রাখতে হবে। সমস্যা সেরে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়।

 

এছাড়া বাকি কাজ শরীরকেই করতে দেওয়া ভালো।
0 টি ভোট
করেছেন (180 পয়েন্ট)

রোগ প্রতিরোধ এমন একটি বিষয় যা রোগ জীবাণুর বিরুদ্ধে আপনার শরীরকে লড়াই করতে সহায়তা করে। এজন্য আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেমন সে বিষয়ে জানা দরকার।[1]

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাদা রক্তকণিকা, লিম্ফ নোড এবং অ্যান্টিবডি দ্বারা গঠিত এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে। তবে আপনার যদি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল হয় তবে সেক্ষেত্রে কি করবেন। কিছু লক্ষণ আছে যেগুলো দেখে আপনি বুঝবেন যে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা দূর্বল।[2]

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা:

আপনার যদি যে কোন বিষয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হয় তবে তা ভালা লক্ষণ না। দীর্ঘদিন এমন হতে হতে আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলে। এতে শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা এবং শরীরে লিম্ফোসাইটগুলি হ্রাস পায় যা সাধারণত সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এটি সাধারণ সর্দি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস করে।

ঘন ঘন সংক্রমিত হওয়া:

এটি মেডিক্যালি প্রমাণিত যে আপনার যদি পাঁচবারেরও বেশি কানের সংক্রমণ হয়, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাকটেরিয়াল সাইনোসাইটিস বা দুবারের বেশি নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হন তাহলে আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ আছে।

ঠাণ্ডার সমস্যা:

চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্করা সাধারণত বছরে দুই থেকে তিনবার সাধারণ সর্দিতে ভুগতে পারেন। তবে যাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল সারা বছর জুড়ে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে।

অবসাদ:

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হলেও দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার জন্য আপনার সারাদিন ঘুম আসবে।

আরোগ্য লাভে দেরি হওয়া:

একটি দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা দ্রুত নতুন ত্বক তৈরি করতে পারে না, ফলে ক্ষত খুব ধীরে স্বাভাবিক হয়।রোগ প্রতিরোধ হলো স্বাস্থ্যকর প্রতিরোধক কোষ, যা ত্বকের ক্ষতি দ্রুত সারিয়ে তোলে।

দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা:

চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ ভাগ রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হজমের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এজন্য কোষ্ঠ্যকাঠিন্য, অ্যাসিডিটি, গ্যাস, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।

0 টি ভোট
করেছেন (28,740 পয়েন্ট)
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালের বিশেষজ্ঞরা বলছেন অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করলে ওষুধের পুরো কোর্স শেষ করা সবসময় উচিত কীনা তা এখন খতিয়ে দেখার সময় এসেছে।

 

তারা বলছেন পুরো কোর্স শেষ না করে মাঝপথে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করলে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না এর পক্ষে যথেষ্ট যুক্তি তারা দেখছেন না।

 

তারা বলছেন সুস্থ বোধ করলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যদি থামিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমানো সম্ভব কীনা এনিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

 

কিন্তু পারিবারিক ডাক্তাররা রোগীদের পরামর্শ দিয়েছেন শুধু একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে তারা যেন তাদের অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোন পরিবর্তন না আনে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 358 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 168 বার দেখা হয়েছে
31 অগাস্ট 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Maksud (3,610 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
4 টি উত্তর 492 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 225 বার দেখা হয়েছে
29 ডিসেম্বর 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 320 বার দেখা হয়েছে

10,771 টি প্রশ্ন

18,440 টি উত্তর

4,741 টি মন্তব্য

257,705 জন সদস্য

28 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 25 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. M D Akib

    110 পয়েন্ট

  2. kwin68team

    100 পয়েন্ট

  3. SheilaDuw865

    100 পয়েন্ট

  4. TamiJarnigan

    100 পয়েন্ট

  5. debetkaufen

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...